

সোমবার ● ২৩ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাড়ি থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাড়ি থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নিখোঁজ দেড় বছরের শিশু তাহিয়ার লাশ মিলল বাড়ি থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে হালদা নদীতে। তার বাবা সন্দেহ করছেন তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলো সে। নিখোঁজের পর তাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে স্বজনসহ শত এলাকাবাসী। ডুবুরি এসেও তল্লাশী চালায়। কিন্তু কোথাও মেলেনি তার হদিস।
অবশেষে নদীর শেষপ্রান্তে চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট সেতুর কাছে ভাসমান তার লাশ পাওয়া যায়। চারদিন পর রোববার বিকেলে পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরী করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসাপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। আজ সোমবার বিকেলে মর্গ থেকে লাশ রিলিজ দেওয়ার কথা রয়েছে।
তবে, বাবার সন্দেহ পূর্ব-পরিকল্পিতভাবেই তাহিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ নিখোঁজের সময় পরনে কোন কাপড় ছিলনা তাহিয়া’র। শুধুমাত্র প্যান্ট ছিল। লাশ উদ্ধারের পর তার গায়ে জামা-কাপড় দেখা যায়। এতে সন্দেহের দানা বাঁধে বাবার। পুরো বিয়ষটি সাংবাদিকদের কাছে পরে খোলাসা করবেন বলে তিনি আশ্বস্থ করেন।’
তাহিয়া উপজেলার পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের বাসিন্দা মো. মানিক ড্রাইভারের কন্যা। তার ছয় বছরের আরেকটি ভাই আছে। তাহিয়ার বাবা এলাকার একজন আদর্শ সিএনজি অটোরিক্সা চালক।
শিশুর স্বজনেরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে এগারটা পর্যন্ত শিশু তাহিয়াকে বসত ঘরের সামনে খেলাতে দেয় তার মা। এর পর থেকেই তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের বসত ঘরের অল্প দূরেই হালদা নদী। পরিবারের লোকজন ধারণা করেছিলেন মুহুর্তেই তাহিয়া হালদায় তলিয়ে যেতে পারেন। কারণ নদীতে অথৈ পানি। বিষয়টি জানাজানি হলে নদীর দু’পাড়ে উৎসুক মানুষ ভীড় করেন। বিভিন্নস্থানে তল্লাশি করেন।
নাজিরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘নিখোঁজের পর অবশেষে তার লাশ মিলেছে হালদায়। বাড়ি থেকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার দুরে চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট সেতুর কাছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা খবর দিলে শিশুটির বাবা সেখানে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন। নিহতের বাবার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবতে শুরু করেছি। এখন পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম।’
শিশুটির বাবা মোহাম্মদ মানিক কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আদরের কন্যার লাশ বহন করার শক্তি আমার নেই। আপনারা অনেক শ্রম দিয়েছেন, সহযোগীতা করেছেন। তবে লাশ স্বচক্ষে দেখার পর মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ তার পরনে প্যান্ট ছাড়া কোন কাপড় ছিলনা। ফলে আমার সন্দেহ হচ্ছে কেউ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে হত্যা করতে পারেন। তবে পুরো বিষয়টিকে পরিস্কার করতে ‘সময়’ নিচ্ছি। ময়নাতদন্ত শেষে আজ সোমবার লাশ দাফনের পর পরই বিষয়টি সাংবাদিকদের খোলাসা করতে চাই। এর আগে কিছুই তিনি বলতে চান না।’