

রবিবার ● ২০ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার টাকার জন্য খুন, গ্রেফতার-৫
মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার টাকার জন্য খুন, গ্রেফতার-৫
আকতার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৫) ও তার বড় বোন শ্যামলা বেগম (৬০) এর পরিকল্পনায় মাত্র ৩০ হাজার টাকা চুরি করতে গিয়ে স্বামী ফয়েজ আহমেদ (৮৫) কে বসতঘরে হাত-পা বেঁধে এবং মুখে কাপড় ঢুকিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এঘটনায় আকতার (৩২), রুবেল (২৫) এবং শাকিব (২৩) নামের অভিযুক্ত তিনজন এবং ফিরোজা ও তার বোন শ্যামলা’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার ১৯ জুলাই বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নোমান আহমেদ পিপিএম ও জোরারগঞ্জ থানার ওসি এম আব্দুল হালিম। ওইদিন অভিযুক্ত ৫ জনকে চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে শনিবার ভোরে অভিযুক্ত আকতার, রুবেল ও শাকিবকে সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানায়, দিনমজুর আকতার ফয়েজ আহম্মদের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের আস্থা অর্জন করে। ফয়েজ আহম্মদ কৃপণ প্রকৃতির হওয়ায় স্ত্রীকে ঠিকমতো খরচ দিতেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ থেকে ফিরোজা ৩০ হাজার টাকা চুরির পরিকল্পনা করেন এবং এতে আকতার ও তার বোন জড়িত হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আকতার বারইয়ারহাট বাজার থেকে রশি কিনে সহযোগী ইয়াছিন, রুবেল ও শাকিবকে ডেকে নেয়। ঘটনার রাতে ফিরোজা ধাত্রী কাজের অজুহাতে বাইরে গেলে তারা দরজা খোলা পেয়ে ঘরে ঢুকে ফয়েজ আহম্মদকে ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে ফেলে। তিনি জেগে উঠে চিৎকার করলে মুখে কাপড় গুঁজে নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পুলিশ আরও জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী আকতার, ইয়াছিন, রুবেল ও শাকিব ঘরের ড্রয়ার থেকে ৩০ হাজার টাকা চুরি করে। পরে আকতার ১৪ হাজার টাকা এবং রুবেল ও শাকিব মিলে ১৬ হাজার টাকা ভাগ করে নেয়। ঘটনার পরদিন সকালে ফিরোজা বেগম বাড়ি ফিরে দেখেন স্বামী নিহত এবং আকতার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন দিবাগত রাতে জোরারগঞ্জ থানাধীন করেরহাট ইউনিয়নের বদ্ধ গেড়ামারা এলাকার ফয়েজ আহমেদ নামের বৃদ্ধকে বসতগৃহে হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুখে ঘুসি মেরে অজ্ঞাতনামা আসামীরা হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে ২৬ জুন সকালে পুলিশ নিহত ফয়েজ আহমেদকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আলমগীর বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।