

মঙ্গলবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ঘোলা পানিতে কেউ যেন মাছ শিকার না করতে পারে : জুঁই চাকমা
ঘোলা পানিতে কেউ যেন মাছ শিকার না করতে পারে : জুঁই চাকমা
স্টাফ রিপোর্টার :: সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর-২০২৫ রাঙামাটি সদর উপজেলার পৌর এলাকার ১০টি পূজা মন্ডপের সনাতন ধর্মাবলম্বি সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ, ভক্ত ও পূজারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুঁই চাকমা।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যেন ঘরপোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দিতে না পারে এবং ঘোলা পানিতে কেউ যেন মাছ শিকার না করতে পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, এখন শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বি সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা আগামী অক্টোবর মাসের ৬ তারিখ প্রবারণা পূর্ণিমা এবং ৭ অক্টোবর তারিখ থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসব।
জুঁই চাকমা বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি পাহাড়ে একটি অশুভ চক্র ষড়যন্ত্র করে দুর্গাপূজা ও কঠিন চীবর দানোৎবের আগে নানা কৌশলে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
তিনি খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীর গণ ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার ও আইনানুগ বিচারের দাবি জানান। পাহাড়ি-বাঙ্গালী উভয় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও তিনি আহবান জানান। এছাড়া যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করেন আন্তর্বর্তীকালিন সরকারের নিকট।
জুঁই চাকমা আরো বলেন, রাঙামাটিতে উৎসবের আগে রাজনৈতিক দল/পার্টির গুলোর সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যতার অঙ্গীকার, জেলার সকল গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর তৎপরতা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন, স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমপোযোগি পদক্ষেপ এর কারণে খাগড়াছড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনা রাঙামাটির শান্তিপ্রিয় জনসাধারণকে স্পর্শ করেনি। এজন্য তিনি জেলার সকল প্রশাসনকে পার্টির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি জেলার সকল প্রশাসনকে জিরোটলারেন্স নীতি অনুসরন করার অনুরোধ জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ রিজার্ভ বাজারের শ্রী শ্রী গীতাশ্রম মন্দির ও আইচ ভবন পূজা মন্ডপ, তবলছড়ি বাজারের শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দির, আসামবস্তির শ্রী শ্রী শীতলা মন্দির, পুরাতন বাসস্টেশনের পৌর কলোনীর শ্রী শ্রী নারায়ন মন্দির, ভেদভেদী পাড়ার শ্রী শ্রী কালী মাতৃ মন্দির, কলেজ গেইটের শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির, গর্জনতলীর শ্রী শ্রী অখন্ড মন্ডলী মন্দির, কাঠালতলীর শ্রী শ্রী দুর্গা মাতৃ মন্দির ও হ্যাপি মোড় এর শ্রী শ্রী জগদ্বাত্রী মাতৃ মন্দিরের দূর্গাপূজার মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক জুঁই চাকমা প্রতিটি মন্ডপের পরিদর্শন বইয়ে পার্টির পক্ষে মতামত লিপিবদ্ধ করেন।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালিন প্রতিটি মন্ডপ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে আপ্যায়ন এবং তাদের সহযোগিতার জন্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উল্লেখিত মন্ডপ পরিচালনা কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বি সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালিন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন, রাঙামাটি সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অমর চাকমা, সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমেলী চৌধুরী, জেলা কমিটির সদস্য অরুনজিতা চাকমা, ভূমিহীন সংহতির মনিকা চাকমা, জেলা যুব সংহতির আহবায়ক পলাশ চাকমা ও সদস্য সচিব সাইমুন ইসলাম প্রমূখ জুঁই চাকমার সাথে ছিলেন।