শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার-১০ ●   পূর্ব হিঙ্গুলী মোহাম্মদীয়া কমপ্লেক্স দাখিল মাদরাসা’র অভিভাবক সমাবেশ ●   সাবেক এমপি শেখ সুজাতের উপর হামলা : অস্ত্রসহ হামলাকারী আটক ●   মিরসরাইয়ে বিদ্যুৎ স্পর্শে প্রাণ গেলো ব্যবসায়ী অহিদুন্নবী’র ●   মে দিবসে সবাই শ্রমিকের পক্ষে বলে, কিন্তু তাদের অধিকার দেয়না ●   গাবতলীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে আলোচনা সভা ●   দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি : খায়রুজ্জামান ●   রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে বোঝাপড়া ছাড়া করিডর প্রদানের উদ্যোগ থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে ●   রাঙ্গুনিয়াতে দুর্বৃত্তের আগুনে মুরগির খামার পুড়ে ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   মাদক আশক্ত সন্তান তার পিতা মাতার উপর হামলা ●   জরুরী অবস্থাতেও নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার স্থগিত করা যাবেনা ●   ঝালকাঠিতে আম বাগান হয়ে উঠেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত ●   নবীগঞ্জে পলাতক আসামী গ্রেফতার ●   জনশুমারি ও গৃহগণনায় বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর নাম সংযুক্ত করার আবেদন ●   ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এর ফেলোগণদের সাথে রাঙামাটিতে মতবিনিময় সভা ●   রাবিপ্রবি’তে পেশাদারিত্ব বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   ফটিকছড়িতে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে তিন শিক্ষক গ্রেফতার ●   নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে ●   ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার ●   রাঙ্গুনিয়াতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সচেতনতা মুলক ক্যাম্পেইন ●   কাউখালীতে ১১টি ভারতীয় গরু আটক ●   বেতবুনিয়ায় পিকাপ ভ্যান সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত- ৫ আহত- ২ ●   বিভক্তি বিভাজনের পথে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেয়া যাবেনা- সাইফুল হক ●   রাঙামাটিতে জমকালো আয়োজনে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ●   তথ্য চাওয়ায় মসিকের প্রকৌশলী কর্তৃক সাংবাদিকদের গালাগালি ●   সাংবাদিক কামরুজ্জামানের সুস্থতা কামনা করেছে জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ●   রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা নারী ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী ফাহিম চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ●   স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ●   পর্বতারোহী প্রকৌশলী কাওছার রূপক-কে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর
রাঙামাটি, শনিবার, ৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো
বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো

---বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: কৃষি ও কেঁচো। জড়িয়ে আছে নিবিড়ভাবে। কৃষিতে কেঁচোর অবদান অপরিসীম। প্রাকৃতিকভাবে কেঁচোই বাঁচিয়ে রেখেছে কৃষি। মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধিতে অন্যতম সহায়ক। এ জন্য কেঁচোকে বলা হয় প্রকৃতির ‘লাঙল’ ও কৃষকের বন্ধু। কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম : Metaphir posthuma. এনিলিডা বা অঙ্গুরীমাল পর্বের অতি পরিচিত, মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাস করা প্রাণী। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পৃথিবীজুড়ে ৪ হাজারেরও বেশি প্রজাতির কেঁচো রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০টির বেশি প্রজাতি শনাক্ত করে কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন সর্বপ্রথম কেঁচোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সকলকে জানান। উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কেঁচো সাধারণত ফসলি জমি, বতসভিটার আশপাশে ভেজা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় বাস করে। এরা আলো ও তাপ সহ্য করতে পারে না। দিনে গর্তে বাস করে। রাতে খাদ্যের জন্য বের হয়। এদের চোখ, কান ও ফুসফুস নেই। ত্বকের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়। কেঁচো সাধারণত সাত-আট ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। খনন ও চলন ক্রিয়ার মাধ্যমে ৩ মিটার পর্যন্ত মাটি কর্ষণ করতে পারে কেঁচো। ফলে মাটিতে ছিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। মাটির গহ্বরে পানি প্রবেশে সাহায্য করে। মাটির তলায় স্থিতিশীলতা এবং বায়ু চলাচল বৃদ্ধি পায়। যা ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। এ ছাড়াও কেঁচো সার (কেঁচো কম্পোস্ট) নতুন মাত্রা যোগ করেছে কৃষি ক্ষেত্রে। বর্তমানে কমে যাচ্ছে প্রকৃতির লাঙল হিসেবে পরিচিত কেঁচো। জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে পরিবেশের অতি উপকারী এ প্রাণীটি। তাছাড়া এখন ‘এলফিস’ ধরতে একশ্রেণির শিকারিরা কৃষি জমি থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রচুর কেঁচো ধরে ব্যবহার করে থাকেন। কথা হয় বিশ্বনাথের বাউসী গ্রামের ধানি জমিতে কেঁচো ধরতে আসা বলাই (৭০) -এর সঙ্গে। তিনি নবীগঞ্জের কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের কড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, প্রতিদিন এলফিস ধরার ২০০ থেকে ২৫০টি বড় সাইজের কেঁচো প্রয়োজন হয়। একেক দিন একেক জমি থেকে কেঁচো ধরি। কেঁচো এলফিস ধরতে সাহায্য করে। এর বাইরে তার আর কোনো উপকারের কথা জানা নেই। পরিবেশবিদরা বলছেন, কেঁচো কমে যাওয়ায় এর বিরুপ প্রভাব আমাদের পরিবেশ ও অর্তনীতিতে পড়েছে। জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পেয়ে কমে যাচ্ছে ফসল উৎপাদন। এ বিষয়ে কথা হলে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহযোগী শিহাব খালেদীন সাংবাদিকদের’কে বলেন, কেঁচোর অপকারী কোনো দিক নেই বললেই চলে। প্রকৃতির ‘লাঙল’ কেঁচো ধানি জমির মাটি আলগা করে। অতি উপকারী এ প্রাণী এখন ব্যবহার করা হয় জৈব সার তৈরির কাজেও। এক সময় বৃষ্টি হলে জমিতে প্রচুর কেঁচো দেখা যেত। বর্তমানে অতিমাত্রায় কীটনাশক ও সার ব্যবহারের ফলে এরা হারিয়ে যাচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)