বুধবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে ৫ কোটি টাকার উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্প : কাজ শুরুর আগেই মেয়াদ শেষ
বিশ্বনাথে ৫ কোটি টাকার উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্প : কাজ শুরুর আগেই মেয়াদ শেষ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ২০১৭ সালের ২ ফেব্র“য়ারি থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ৩০ জুন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক সম্প্রসারিত ভবন ও হলরুম নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। প্রায় ৫ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৭৫ টাকার ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কন্ট্রাক্ট মতে ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৭ হাজার ২শ’ টাকা ব্যয় ধরা হয়। কিন্তু ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের মেয়াদকালের দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাসে কাজ শেষ হওয়াতো দূরের কথা, হল রুম নির্মাণ কাজ শুরুই হয়নি! আইনি জটিলতায় হল রুম নির্মাণের জায়গায় আম, জাম, রেইন্ট্রি, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় ২২টি গাছও অপসারণ করা হয়নি। অপরদিকে গাছ অপসারণ কিংবা অন্য কোন জটিলতা না থাকলেও আটকে আছে প্রশাসনিক সম্প্রসারিত ভবনের নির্মাণ কাজ। সম্প্রসারিত ভবনের ভিটেতে কোনমতে লিন্ডার টেনে এক কোটি টাকা বিল তোলে নিয়ে নির্মাণ কাজও বন্ধ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে বিশ্বনাথের প্রশাসনিক ভবন ও হল রুম নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম মনোওর আলী, উপজেলা সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক মধু মিয়া, ‘ইউএনও, উপজেলা প্রকৌশলী, সাইট ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের সমন্বয়হীনতা এবং তাদের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন। তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, গাছ তো কেবল অজুহাত মাত্র। আসলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আর ঠিকাদার নিজেরা নিজেদের ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত থাকায় হল রুমের কাজ শুরু হয়নি আর প্রশাসনিক ভবনের কাজও আটকে আছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক সম্প্রসারিত ভবন ও হল রুম নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে ৫কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এজন্য ২০১৬ সালের শেষের দিকে পুরনো হল রুমটি ভেঙে দেওয়া হয়। স্থানান্তরিত করা হয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারমান, কৃষি অফিস, বিআরডিবি অফিসসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তর। কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৭ হাজার ২শ’ টাকা ব্যয় ধরে নির্মাণ কাজের টেন্ডার পান সিলেটের ‘মেসার্স আক্তার ট্রেডার্স’র মালিক জামাল আহমদ চৌধুরী। ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর ওই উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি ও স্থানীয় সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স আক্তার ট্রেডার্স’র মালিক জামাল আহমদ চৌধুরী ও তার ম্যানেজার মাকসুদ আহমদের সঙ্গে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, সিলেটের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্য না পাওয়ায় গাছগুলো তিনবার টেন্ডারের পরও বিক্রি করা যায়নি।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দায়ী নন দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, গাছ না কাটা আর ঠিকাদারের অসহযোগীতার কারণে নির্মাণ কাজ আটকে আছে। এলজিইডি মন্ত্রনালয়ের প্রকল্প পরিচালক বরাবরে লিখিত দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা পেলে কাজ শুরু করা হবে।





আগামী নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে
চট্টগ্রাম পুস্তক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিযদ নির্বাচনে অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দত্ত বিপুল ভোটে নির্বাচিত
রাঙামাটি ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হলো পার্বত্য বড়ুয়া কনভেনশন-২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-৯৭ আদ্যোপান্ত শীর্ষক আলোচনা : চুক্তিতে অসংগতি থাকায় শান্তির বদলে অশান্তি বেড়েছে
মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ
অবিলম্বে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী টার্মিনাল চুক্তি থেকে সরে আসুন
সংকট নিরসনে জেলা পরিষদকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান নাগরিক পরিষদের, হরতালে সমর্থন
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সংকট উত্তরণের প্রচেষ্টা থাকলেও তা গুরুতর সাংবিধানিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে
অবশেষে নানা মহলের আপত্তিতে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত
শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে পার্বতীপুরে বিক্ষোভ