শিরোনাম:
●   লংগদুতে পিসিজেএসএস এর গুলিতে ইউপিডিএফের দুইজন নিহত ●   রাঙ্গুনিয়াতে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু ●   ২০ মে রাঙামাটিতে অর্ধদিবস অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ ●   ঘোড়াঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৮ জনের কারাদণ্ড ●   প্রজন্ম ক্রীড়া সংঘের দিবারাত্রি মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ●   লংগদুতে সন্তু গ্রুপের সদস্যরা ইউপিডিএফ এর দুই সদস্যকে হত্যার নিন্দা ●   রাউজানে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ●   প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল মানুষ এক ছাতার নিচে বাস করবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   সন্দ্বীপে কালভার্ট নয় যেন মরণ ফাঁদ ●   নির্বাচনী ডিউটিতে অর্থের বিনিময়ে অপ্রশিক্ষিত আনসার সদস্য নিয়োগের অভিযোগ ●   উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ে যাচ্ছে চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী ●   উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কমবে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ●   আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক ●   পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   কাউখালীতে প্রান্তিক পর্যায়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্মূলে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন ●   খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা আধাবেলা অবরোধ পালিত ●   শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক শিক্ষকদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ●   স্কুলের মালামাল নিয়ে যাওয়ায় থানায় অভিযোগ ●   সন্দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই ●   কুষ্টিয়াতে সামাজিক দ্বন্দে স্বজনদের হামলায় ভাতিজা নিহত ●   আবারো উত্তপ্ত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা ●   রাজধানীতে তিন পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন ●   প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে পল্লী চিকিৎসকের আত্মহত্যা ●   এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের ●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : বিয়ানীবাজারে প্রতিক বরাদ্দ ●   রাঙামাটি লেকসিটি নার্সিং কলেজে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন ●   তহসিলদার শরিফুলের ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা ●   ঈশ্বরগঞ্জে কোটি টাকা ইজারা বকেয়া আদায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা ●   গুইমারায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামী গ্রেফতার
রাঙামাটি, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ৮ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » বোরো ধান কাটা শ্রমিক সংকট : ১ মণ ধানে একজন শ্রমিক
প্রথম পাতা » কৃষি » বোরো ধান কাটা শ্রমিক সংকট : ১ মণ ধানে একজন শ্রমিক
৫১৫ বার পঠিত
বুধবার ● ৮ মে ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বোরো ধান কাটা শ্রমিক সংকট : ১ মণ ধানে একজন শ্রমিক

---বাগেরহাট  প্রতিনিধি  :: বাগেরহাট সহদেশের সব এলাকাতেই প্রায় শুরু হয়ে এসেছে মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তোলার ধুম। ফলে চলতি বোরো মৌসুমের ধান কাটা ও মাড়াই শেষে গোলায় তুলতে এখন ব্যস্ত চাষিরা।এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। ফণির তাণ্ডবে কৃষকরা আধাপাকা ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করলেও শ্রমিক সংকটের কারণে তা হয়ে উঠেনি।

মাঠে একযোগে ধান কাটা শুরু হওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ সাড়ে শ’ ৫থেকে ৬শ’টাকা দরে। অথচ একজন শ্রমিকের দাম হাকানো হচ্ছে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা।কিছু কিছু এলাকাতে মজুরি আরও বেশি। শ্রমিকের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। গত কয়েকদিনের ঝোড়ো হাওয়ায় মাঠের বেশির ভাগ ধান নুইয়ে পড়াই শ্রমিক লাগছে তুলনামূলক বেশি।বাগেরহাটের ৯ উপজেলার প্রায় এলাকাতেই শুরু হয়ে এসেছে মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তোলার ধুম। ফলে চলতি বোরো মৌসুমের ধান কাটা ও মাড়াই শেষে গোলায় তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষি শ্রমিকের দাম বেশী থাকায় হতাশ চাষিরা, তাদের এই হতাশা পুরো মৌসুম জুড়ে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে শ্রমিক স্বল্পতা ও অতিরিক্ত মজুরি। শ্রমিক সংকট ও মজুরির অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই এখন এক মণ ধানের বাজার মূল্য একজন শ্রমিকের দিনের পারিশ্রমিকের সমান। কিছু কিছু এলাকাতে মজুরি আরও বেশি। এ বিষয়ে স্থানীয় ধান চাষি আলমগীর হোসেন জানান, একজন শ্রমিক তিন বেলা খাওয়া এবং দিন শেষে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা দিতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় একজন শ্রমিকের পেছনে দিন শেষে যে খরচ তা উঠবে বলে মনে হয় না। গত মৌসুমেও শ্রমিক সংকট ও মজুরির হার এমন তীব্র ছিল না। কিন্তু নানা কারণে এবার শ্রমিক সংকট এতো বেশি যে, আগের মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুণ পারিশ্রমিকও দিতে হয়েছে কোনো কোনো এলাকায়। শ্রমিক সংকট ও পারিশ্রমিকের এ পার্থক্যের কারণ হিসেবে জানা যায়, এ অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় একই সময়ে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় শ্রমিক চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকরা প্রয়োজনীয় শ্রমিক পায় না।
চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন ফকিরহাটে গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, এরমধ্যে আগের ১বিঘা জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি ধান পেঁকে গিয়েছে অথচ কাটা-মাড়াইয়ের কাজে এলাকায় কোনো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এই এলাকার শ্রমিকরা সাধারণত সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কাজ করে থাকে। এখন ভরা বোরো ধান কাটা মৌসুমে এলাকার বাইরে থেকে শ্রমিক এনে তারা দিনভর ধান কাটা মাড়ায় কাজ করে একজন শ্রমিক ৯শ’থেকে হাজার টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে। একই কথা বললেন ফকিরহাটে গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, এবার বাগেরহাট ৯উপজেলায় ধানের ফলন ভাল হয়েছে। এরইমধ্যে ধান কাটা মাড়াও শুরু হয়েছে। ফণির আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে কৃষকরা তাদের আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করে। এছাড়া মাঠের ধান পেকে যাওয়ায় সবায় একযোগে ধান কাটা শুরু হওয়ায় শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।এ বিষয়ে ফকিরহাটের স্থানীয় ধান চাষী মন্টু জানান, একজন শ্রমিক তিন বেলা খাওয়া এবং দিন শেষে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দিতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় একজন শ্রমিকের পেছনে দিন শেষে যে খরচ তা উঠবে বলে মনে হয়না। গত মৌসুমেও শ্রমিক সংকট ও মজুরির হার এমন তীব্র ছিল না।

কিন্তু নানা কারণে এবার শ্রমিক সংকট এতো বেশি যে, আগের মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুণ পারিশ্রমিকও দিতে হয়েছে কোনো কোনো এলাকায়। শ্রমিক সংকট ও পারিশ্রমিকের এ অস্বাভাবিকতার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখো গেলো ব্যতিক্রম বাদে পুরো দেশের চালচিত্র একই রকম। দেশের অধিকাংশ এলাকায় একযোগে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকরা প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাননি। তবে আগাম চাষের এলাকায় এ সমস্যা ছিল না।

শ্রমিক সংকটের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সারাদেশে আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং তৈরি হয়েছে গ্রামীণ পর্যায়ে বিভিন্ন খামার, কারখানা ও ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান। সেইসঙ্গে সারাদেশেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নগরায়ন ও শিল্পায়ন।

এছাড়া অধিকাংশ দরিদ্র পরিবারের লোকজন জীবিকার তাগিদে পোশাক কারখানা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি, শহর এলাকায় রিকশা-ভ্যান, টেম্পু, অটোরিকশা চালনার কাজে যুক্ত হয়েছেন। এ পেশায় উপার্জন বেশি হওয়ায় কৃষি শ্রমিকের জীবনে বেশিরভাগ মানুষই আর ফিরে যেতে চান না। অনেকেই মুরগী খামার, মাছ চাষ, মুদি দোকান করছেন। ফলে দিনকে-দিন কমে গেছে কৃষি শ্রমিক।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)