শিরোনাম:
●   বিএনপির নেতা কর্মীদের পুলিশী ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়ার কোন অবকাশ নেই : সাইফুল হক ●   মিরসরাইয়ে বিদেশি সিগারেটসহ যুবক গ্রেফতার ●   হাজারীখিল অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হল ৩৩ অজগর ছানা ●   আত্রাইয়ে গাঁজা-মদসহ মা-মেয়ে গ্রেপ্তার ●   চুয়েটে পুরকৌশল বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   রাউজানে দেয়াল ধসে কিশোরের মৃত্যু ●   চবিতে পিসিসিপির কমিটি গঠন ●   তেল খরচ লাখ টাকা, ভেটেরিনারি ক্লিনিক এর চিকিৎসা কোথায় ? ●   পার্বতীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাঁজাসহ পিতা ও পুত্র গ্রেফতার ●   কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী লিপ্টন ও ট্রিপল মার্ডারে রাজু শোন অ্যারেস্ট ●   কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়ার বর্ষপূর্তি উদযাপন ●   মাধবপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত ●   আলীকদমে দুর্গম পাহাড়ে মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছে বিজিবি ●   তায়কোয়ানডো এডহক কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তি জনি ●   নিউইয়র্কে দুই দিনব্যাপী ইসলামিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত ●   রাবিপ্রবি’তে জুলাই বিপ্লবের স্মরণে র‌্যালি ●   ৩ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচী ঘোষিত হবে ●   ফটিকছড়ি পৌরসভার ৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ●   পার্বতীপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ●   নবীগঞ্জে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযান : আটক-১৩ ●   ফটিকছড়িতে মায়া হরিণ সাবক উদ্ধার ; চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর ●   চুয়েটের ১৩৯তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত ●   আত্রাইয়ে পুত্রের হাতে পিতা খুন ●   নবীগঞ্জে ৩ সন্তানের জননী শেফালীর লাশ উদ্ধার ●   ঈশ্বরগঞ্জে গণধর্ষণের অভিযোগে চাচা সহ গ্রেফতার-২ ●   পার্বতীপুরে ৫পরিবারের চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ ●   আলীকদমে ইয়াবাসহ আটক এক যুবক ●   চুয়েটে প্রথমবারের মতো টেডএক্সচুয়েট অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে হামলায় আহত আব্দুল্লাহ ফকিরের মৃত্যু ●   রাঙামাটির জিপি ও বিএনপি নেতা এড. মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে পেশাগত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
রাঙামাটি, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ১০ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » আগে আমাদের কেউ দাম দিত না এখন দেয়
প্রথম পাতা » কৃষি » আগে আমাদের কেউ দাম দিত না এখন দেয়
শুক্রবার ● ১০ মে ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আগে আমাদের কেউ দাম দিত না এখন দেয়

---চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি  :: পাবনার চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের পৈলানপুর গ্রামের মৃত শমসের প্রাং এর ছেলে আলেপ হোসেনের বাড়িতে ৯ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় পৌছি তখন শাবানা, নার্গিস, ববিতা, মনি, খুশী, সাথী, হাঁসি, লাবনী, শায়লা, কাজলী, মরিয়ম, পাখি, সোনিয়া, বৃষ্টি, মৌসুমী এমন মনোহরা নামের গাভী গুলো আয়েশ করে শুয়ে শুয়ে জাবর কাটছিল। আলেপকে ডাকতেই বাড়ির মধ্য থেকে তার স্ত্রী শিল্পীয়ারা পারভীন বেড়িয়ে এসে জানান, মাঠে ঘাস কাটতে গেছেন তার স্বামী। কিছুক্ষণের মধ্যে গাভীর খাবার ঘাস নিয়ে বাড়ি ফিরলে কথা হয় আলেপ ও শিল্পীয়ারার সাথে।
একটা গাভী থেকে পঞ্চাশটি গরুর মালিক হওয়া ¯œাতোকোত্তর ডিগ্রীধারী উনচল্লিশ বছর বয়স্ক আলেপ তার সফলতা প্রসঙ্গে বলেন, “২০০৭ সালে পাবনার এডওয়ার্ড বিশ^বিদ্যালয় কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে এম এ ডিগ্রী অর্জন করার পর বেসরকারী সংস্থা ব্রাক, সৌর বিদ্যুৎ বিপনন, ও গার্মেন্টস এ কিছুদিন কাজ করি। এর কোনটিই ভাল লাগে না। তখন বাড়ি ফিরে গরুর খামার করার স্বপ্ন দেখি। এমন সময় বাবা আমাদের পৃথক করে দেন। পৈত্রিক সংসারের ভাগ বাটোয়ারায় আমি একটি দুগ্ধবতী গাভী পাই। তখন বাড়ি বাড়ি থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে মানুষের গাভীর দুধ কিনে ও আমার গাভীর দুধ ব্রাকের স্থানীয় চিলিং সেন্টারে বিক্রি শুরু করি। ভালই লাভ হতে থাকে। এর পর ৮২ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি গাভী কিনি। এ গাভীটিও প্রতিদিন প্রায় ৩০ লিটার দুধ দিতে থাকে। এটি ২০০৯ সালের কথা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে গাভীর সংখ্যা। এঁড়ে বাছুর গুলো বড় করে বিক্রি করি আর বকনা বাছুর গুলো পালন করতে থাকি। দশ বছরের মাথায় আমার খামারে গাভী ও বাছুরের সংখ্যা ৫০ এ এসে দাড়ায়। এর মধ্যে কয়েকদিন পূর্বে সাতটি সহ এ পর্যন্ত অনেক ষাঁড়, গাভী বিক্রি করে প্রায় সাত বিঘা জমি কিনেছি। দশ বছর পূর্বে আমার একটা মাত্র টিনের ঘর ছিল। এখন তিন তলা ভিত দিয়ে চার রুমের ছাদওয়ালা বাড়ি করেছি। সব মিলিয়ে এখন আমি অনেক ভাল আছি”।
তিনি আরো বলেন, “এর জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখনো প্রতিদিন সকালে উঠে গরু গুলোর পরিচর্যা করি, দুই বার দুধ দোহন করি, গরু গুলোকে গোসল করাই, পানীয় পরিবেশন করি এবং আমাদের গ্রামে অবস্থিত ব্রাকের চিলিং সেন্টারে দুধ দিতে যাই। এখন আমি আমার গাভী গুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ২শ লিটার দুধ পাচ্ছি। এসব কাজে সহযোগিতার জন্য দুই জন মানুষ রাখা আছে। তারা ঘাস বোনা কাটাসহ অন্যান্য কাজে আমাকে সহায়তা করে। খাওয়া পরা ছাড়াও তাদের মাসে দশ হাজার টাকা করে বেতন দেই। বাড়িতে বায়ো গ্যাস প্লান্ট স্থাপন করেছি। গমের ভূষি, ভুট্রার গুড়া, নাড়িকেলের খৈল সহ গরুর অন্যান্য খাদ্য বাবদ প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এ ছাড়া অন্যান্য খরচ তো আছেই। এলাকার অনেক খামারী এখন আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসে। রোগ ব্যাধী সম্পর্কে তিনি বলেন, গাভীর ওলান ফোলা ও ক্ষুরা রোগ বেশি হয়। তবে বড় গাভী গুলোর শরীরের মধ্যে বোলাস ঢুকিয়ে দেয়া আছে। সূর্যমুখী প্রাণী সম্পদ কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকেই গাভী গুলো মনিটরিং করেন। যখন কোনটি কোন অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হতে যায় তখন তারা আমার মোবাইলে মেসেজ দেন। আমি ব্রাকের চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হই। তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেন। খামারের কাজে আমার স্ত্রী সার্বক্ষনিক ভাবে আমাকে সহায়তা করেন”।
আলেপের স্ত্রী শিল্পীয়ারা বলেন, “সাংসারিক কাজে সারাদিন বাড়িতেই থাকি আমি। বার বার গরু গুলো দেখাশুনা করি। এ ছাড়া যখন শ্রমিকেরা থাকে না তখন গরু গুলোর পরিচর্যা করি, ঘড় পরিষ্কার করি, খাবার দেই, পানি দেই, কোন গরুর কোন সমস্যা হলো কিনা দেখি। আমাদের দুইটি মেয়ে। বড় মেয়ে আইরিন সুলতানা চাটমোহর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আর ছোট মেয়ে সুমাইয়া আফরিন জান্নাতি’র বয়স ৩ বছর। সংক্ষেপে বলতে গেলে আমরা খুব ভাল আছি”। হাস্যোচ্ছলে তিনি আরো বলেন, “আগে আমাদের কেউ দাম দিত না এখন দেয়”।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)