সোমবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নবীগঞ্জে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল নিয়ে উত্তেজনা
নবীগঞ্জে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল নিয়ে উত্তেজনা
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মৌজপুর গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবোত্তর সম্পত্তি ও কয়েকটি গ্রামের হাওড়াঞ্চলের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জের ধরে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মৌজপুর গ্রামে কালাচান তলী নামকস্থানে যুগের পর যুগ ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীর লোকজন পূজা ও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন। কুমারকাদা, দুর্গাপুর হোসেনপুর, মৌজপুরসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন কালাচান তলীতে প্রবেশ এবং পাশ্ববর্তী হাওরাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হিসেবে এ রাস্তা ব্যবহার করে আসছিলেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সাম্প্রতি কালাচান তলীর দেবোত্তর সম্পত্তির রাস্তা ও হাওড়ে যাতায়াতের রাস্তা কুমারকাদা গ্রামের লন্ডন প্রবাসী হেলাল মিয়া বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তার লোকজনের মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পতি দখল করতে মরিয়া উঠে । হেলাল মিয়া প্রবাসে থাকায় তার মামা ওই গ্রামের মৃত মুনছব উল্লার পুত্র আকল মিয়া,সমশু মিয়া কর্তৃক উক্তস্থানে বাশের বেড়া দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এমন কী দেবোত্তর সম্পত্তি ও কালাচান তলীর রাস্তা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এঘটনায় এলাকার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে ওই গ্রামের মৌজপুরের বাসিন্দা অরুণ দেবনাথ জানান, পাকিস্তান শাসন আমল থেকে এই রাস্তা কালাচান তলীর রাস্তা ও হাওড়াঞ্চলে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ইদানিং হেলাল মিয়ার লোকজন উক্ত রাস্তার উপরে বাশের বেড়া দিয়ে এলাকাবাসীর চলাচলে বিঘœসহ আমাদের ধর্মীয় কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। আমরা দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধারে ও নিবিঘেœ চলাচলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দুর্গাপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি হাজী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমরা বয়স ৮০ বৎসর, আমরা জন্মের পর থেকে কয়েকটি গ্রামের লোকজন উক্ত রাস্তা হাওড়াঞ্চলে যাতায়াতে ও সনাতন ধর্মের লোকজন কালাচান তলীতে যাতায়াত করে আসছেন। কিছুদিন ধরে প্রভাবশালী চক্র উক্ত রাস্তা দখল করতে মরিয়া উঠায় আমাদের এলাকার শান্ত পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে।
যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে জানিয়ে বিশিষ্ট শালিস বিচারক আহমদ আলী,লিংকন দেবনাথ,বাছির মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন বলেন, আমরা একাধিক বার এবিষয়টি মিমাংসার স্বার্থে সামাজিক বিচারের মাধ্যমে শেষ করে দিতে চাইলে হেলাল মিয়ার লোকজন আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।
অভিযুক্ত হেলাল এর মামা আকল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা জায়গা ক্রয় করে আমাদের জায়গায় বেড়া দিয়েছে।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান বলেন, দেবোত্তর সম্পত্তি ও মানুষের যাতায়াতকারী রাস্তার বিরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই, এব্যাপারে খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





জেসিএক্স এর তিনদিন ব্যাপী আবাসন মেলা শুরু
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের মূখপাত্র নির্মল বড়ুয়া মিলনের জন্মদিনে বড়ুয়া নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা
সাভারে স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
রাঙামাটিতে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে বিজিবির শ্রদ্ধা
রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী
আগামী নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে
চট্টগ্রাম পুস্তক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিযদ নির্বাচনে অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দত্ত বিপুল ভোটে নির্বাচিত
রাঙামাটি ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হলো পার্বত্য বড়ুয়া কনভেনশন-২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-৯৭ আদ্যোপান্ত শীর্ষক আলোচনা : চুক্তিতে অসংগতি থাকায় শান্তির বদলে অশান্তি বেড়েছে