শিরোনাম:
●   পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ের চিত্র বদলে দিয়েছে : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ●   ৮ বছর পর খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন ●   ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলুন ●   রাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   মানিকছড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা ●   কাপ্তাই হ্রদের চারটি উপকেন্দ্র থেকে সাড়ে ১৫ কোটির উর্ধ্বে শুল্ক আয় করেছে বিএফডিসি ●   পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   ঘোড়াঘাটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ড্রাইভার ও হেলপার নিহত ●   অবিলম্বে ‘হিট ইমারজেন্সী ‘ জারী করুন, সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন ●   ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকগন ●   ঈশ্বরগঞ্জে মহিলা এমপি ব্যরিস্টার ফারজানাকে বরণ ●   মানিকছড়িতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু ●   অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা ●   নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা ●   সাজেকে নিহত ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ●   রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত ●   সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক ●   আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে রাঙামাটিতে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   তীব্র দাবদাহে মধ্যে কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার প্রক্রিয়া করেছে বন বিভাগ ●   কাপ্তাই সড়কে রাতেও চলছে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ●   রাঙামাটিতে চোরাই কাঠ ও বিদেশী সিগারেটসহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করেছে দক্ষিণ বন বিভাগ ●   দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে সাংবাদিক এর বাগান বাড়ি পুড়ে দেয়ার আজ ২ মাস : ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রকাশ ●   আঞ্চলিক পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ৩৫ বছর পরিচালিত হচ্ছে অনির্বাচিতদের দ্বারা ●   রাঙামাটির চার উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ : ৮ মে নির্বাচন ●   কল্পনা অপহরণ মামলা রাঙামাটি কোর্টে ডিসমিস করায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ক্ষোভ প্রকাশ ●   নিরীহ মানুষকে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে ২৫ এপ্রিল রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ●   আনসারের অস্ত্রলুটের ঘটনায় রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ জন কারাগারে ●   বান্দরবানে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ ●   নিজের অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আনসার সদস্যদের আত্মহত্যা ●   কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে ও বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে হ্রদের ড্রেজিং করা দরকার
রাঙামাটি, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » রাঙামাটিতে ন্যায় বিচার ফোরাম সদস্যদের তথ্যানুসন্ধান বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রথম পাতা » কৃষি » রাঙামাটিতে ন্যায় বিচার ফোরাম সদস্যদের তথ্যানুসন্ধান বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
৬৪৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাঙামাটিতে ন্যায় বিচার ফোরাম সদস্যদের তথ্যানুসন্ধান বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

---
ষ্টাফ রিপোর্টার :: কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসেস সিএলএস এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), রাঙামাটি ইউনিটের আয়োজনে ২১ জানুয়ারী সকাল সাড়ে নয়টায় রাঙামাটি শহরের কল্যাণপুরে এনজিও সংস্থা সাস এর সভাকক্ষে, ন্যায় বিচার ফোরাম সদস্যদের তথ্যানুসন্ধান বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
প্রশিক্ষণ কর্মশাল উদ্ভোধন করেন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম (পার্বত্য অঞ্চল) সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা৷
এসময় সাংবাদিক হরি কিশোর চাকমা,সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন,উন্নয়ন কর্মী লাকী চৌধুরী, এডভোকেট কক্সী তালুকদার, স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের কর্মী এনভিল চাকমা, উন্নয়ন কর্মী নাইউপ্রু মারমা, জনপ্রতিনিধি কালায়ন চাকমা, উন্নয়ন কর্মী হৃদয় কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, জনপ্রতিনিধি জ্ঞান প্রভা চাকমা, সাংবাদিক হিমেল চাকমা, উন্নয়ন কর্মী শ্রীজ্ঞনী চাকমা, সাংবাদিক সত্রং চাকমা, এ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা ও সাংবাদিক,উন্নয়ন কর্মী ও স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের নারী কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷
যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এবং ম্যাক্সওয়েল ষ্ট্যাম্প ( পিএমসি) ব্রিটিশ কাউন্সিল ও সেন্টার ফর ইফেকটিভ ডিসপিউট রেজুলেশন (সিইডিআর) এর সহযোগীতায় ব্লাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), রাঙামাটি ইউনিটের সমন্বয়কারী এডভোকেট জুয়েল দেওয়ান৷

---
এডভোকেট জুয়েল দেওয়ানকে সহযোগিতা করেন মেডিটেশন অফিসার রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা, ষ্টাফ ল’য়্যার এডভোকেট মিলন চাকমা ও এডভোকেসী অফিসার কনিম চাকমা৷
সংক্ষিপ্ত তথ্য মানবাধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন :
মানবাধিকার: মানবাধিকারহচ্ছে মর্যাদার দাবী৷ অর্থাত্‍, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকারই হচ্ছে মানবাধিকার৷ অপর কথায় যে অধিকার সহজাত, সার্বজনীন, অহস্তান্তরযোগ্য এবং অখন্ডনীয় তাই মানবাধিকার৷
মৌলিক অধিকার: যে অধিকারগুলো সংবিধানে স্বীকৃত এবং আদালতের মাধ্যমে কার্যকরযোগ্য তাই মৌলিক অধিকার ৷ প্রকৃত অর্থাৎ সব মৌলিক অধিকার মানবাধিকার কিন্তু সকল মানবাধিকার মৌলিক অধিকার নয় ৷
মানবাধিকার মৌলিক অধিকার
# ব্যাপক ধারণা৷ # মানবাধিকারের অংশ বিশেষ৷
# মানুষের সহজাত অধিকার৷ # সংবিধান স্বীকৃত অধিকার৷
# সকল মানবাধিকারের বাস্তবায়নআদালতের মাধ্যমে সমভব নয় ৷ # আদালতের মাধ্যমে বলবতযোগ্য৷
# সার্বজনীন: ভৌগলিক সীমারেখা দ্বারা আবদ্ধ নয়৷ # ভৌগলিক সীমারেখা দ্বারা আবদ্ধ৷

মানবাধিকারের মূলনীতিসমূহ: সমতা, সার্বজনীনতা, মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা, অবিভাজ্যতা, অহস্তান্তরযোগ্যতা, আন্তঃনির্ভরশীলতা৷
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা:
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পাস করে৷ এই ঘোষণাপত্রে ৩০টি অনুচ্ছেদ আছে৷ অনুচ্ছেদ ১ এ মানুষের মর্যাদা ও অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে সমতার কথা বলা হয়েছে৷ অনুচ্ছেদ ২ এ বৈষম্যহীনতার কথা বলা হয়েছে৷ অনুচ্ছেদ: ৩-২৭ পর্যন্ত অধিকারের কথা বলা হয়েছে৷ ২৮-৩০ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তিগত দায় দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে৷ নিম্নে সংক্ষেপে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার বিষয়গুলো বর্ণনা করা হলোঃ
১. সমতাঃ সকল মানুষ স্বাধীন অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে এবং সমান মর্যাদা ও সমান অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে৷
২. বৈষম্যহীনতাঃ মানুষের মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী, পুরুষ, ভাষা, রাজনৈতিক বা অন্য কোন মতবাদ, সামাজিক উত্‍পত্তি, সম্পত্তি, জন্ম বা অন্য কোন পদমর্যাদা/অবস্থানের কারণে পার্থক্য থাকতে পারে৷
৩. জীবন, স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অধিকার৷
৪. দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার অধিকার৷
৫. নির্যাতন ও অবমূল্যায়ন থেকে মুক্তির অধিকারঃ কারো প্রতি নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা অবমাননাকর আচরণ করা যাবে না৷
৬. আইনের চোখে একজন ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার৷
৭. আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান এবং আইনের আশ্রয় সমানভাবে পাওয়ার অধিকার৷
৮. উপযুক্ত আদালত থেকে বিচার পাওয়ার অধিকার৷
৯. বেআইনী আটক ও বন্দীদশা থেকে মুক্তি লাভের অধিকারঃ কাউকে খেয়াল খুশিমত গ্রেফতার বা আটক করা অথবা নির্বাসন দেয়া যাবে না৷
১০. নিরপেক্ষ প্রকাশ্য শুনানীর অধিকারঃ যদি কোন ফৌজদারী অভিযোগ আনা হয় তবে তাকে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে প্রকাশ্য ও ন্যায়ভাবে শুনানী লাভের অধিকার দিতে হবে৷ এরকম আদালতে প্রকাশ্য ও ন্যায্য শুনানী ব্যতিত কাউকে শাসত্মি বা দন্ড দেওয়া যাবে না৷
১১. অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত-নির্দোষ ব্যক্তির মত আচরণ পাওয়ার অধিকার৷
১২. পরিবার, বাড়ীতে এবং পত্র যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার৷
১৩. স্বাধীনভাবে নিজের দেশের যেকোনো স্থানে যাওয়া ও বসতি স্থাপন এবং অন্য দেশে যাওয়া ও ফিরে আসার অধিকার৷
১৪. অমানবিক যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অধিকার৷
১৫. জাতীয়তা পাওয়া এবং পরিবর্তন করার অধিকার৷
১৬. বিয়ে করা এবং পরিবার গঠন করার অধিকারঃ প্রত্যেক নারী পুরুষের জাতিগত বাধা, জাতীয়তার বাধা অথবা ধর্মের বাধা ছাড়া বিয়ে করার ও পরিবার গঠন করার অধিকার থাকবে৷ বিয়ের ব্যাপারে, বিবাহিত অবস্থায় ও বিবাহ বিচ্ছেদকালে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার থাকবে৷
১৭. সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকার৷
১৮. নিজস্ব বিশ্বাস ধর্মের স্বাধীনতার অধিকারঃ প্রত্যেকেরই চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে, তাই প্রত্যেকের যেমন- নিজ ধর্ম ও বিশ্বাস পালন করার স্বাধীনতা রয়েছে তেমনি তা পরিবর্তনেরও অধিকার রয়েছে৷
১৯. মতামত দেয়া ও তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতার অধিকার৷
২০. শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকার৷
২১. মুক্ত নির্বাচন ও সরকারে অংশগ্রহণের অধিকার৷
২২. সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার৷
২৩. কাঙ্খিত কাজ পাওয়া ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার৷
২৪. অবসর ও বিশ্রাম পাওয়ার অধিকার৷
২৫. পর্যাপ্ত জীবন-যাত্রার/স্বয়ংসম্পূর্ণ মানের অধিকার : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিত্‍সা ও প্রয়োজনীয় সেবামূলক কাজের সুবিধা লাভের মাধ্যমে প্রত্যেকের নিজের ও নিজের পরিবারের স্বাস্থ্য কল্যাণের জন্য উপযুক্ত জীবন যাত্রার মানের অধিকার আছে৷
২৬. শিক্ষার অধিকার
২৭. সাংস্কৃতিক জীবনে অবাধে অংশগ্রহণের অধিকার৷
২৮. মানবাধিকার রক্ষাকল্পে আন্তর্জাতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার নিশ্চয়তাঃ প্রত্যেকে এমন একটি সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অধিকারী যেখানে এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত অধিকার ও স্বাধীনতাগুলো পূর্ণভাবে আদায় করা যায়৷
২৯. অপরের অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি অস্বীকৃতি ও অশ্রদ্ধা প্রকাশ না করে এই অধিকারগুলো ভোগ করার নিশ্চয়তাঃ নিজের অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করার সময় প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে যে, তাতে যেন অন্যের অধিকার ও স্বাধীনতাগুলো খর্ব না হয় বা এ বিষয়ে কোনো অশ্রদ্ধা বা অস্বীকৃতি প্রকাশ না পায়, অধিকন্তু একটি গণতান্ত্রিক সমাজে নৈতিকতা, গণশৃংখলা ও সর্ব সাধারণের কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে এবং আইন মান্য করেই প্রত্যেকে তার অধিকার ও স্বাধীনতা প্রয়োগ করবে৷
৩০. উপরিউক্ত অধিকারগুলোর ব্যাপারে রাষ্ট্র, দল ও ব্যক্তির হসতক্ষেপ না করাঃ এই ঘোষণার ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে এর অন্তর্ভুক্ত কোনো অধিকার বা স্বাধীণতা ক্ষুণ্ন করার অধিকার কোনো রাষ্ট্র দল বা ব্যক্তি বিশেষের আছে এমন ধারণা করার মতো কোনো ব্যাখ্যা দেয়া চলবে না৷

---

সকল প্রকার বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ, ১৯৬৫
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণায় বলা হয়েছে প্রত্যেক মানুষ স্বাধীন হিসাবে জন্মগ্রহণ করবে এবং সমান মর্যাদা নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে এবং এক্ষেত্রে রাষ্ট্র কারো সাথে বর্ণ, রং বা জাতীয়তার কারণে কোন প্রকার বৈষম্য করবে না৷ এ লক্ষ্য অর্জনে জাতিসমূহের সমতার ধারণার ভিত্তিতে জাতিসংঘ ১৯৬৫ সালে সকল ধরনের বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সনদটি গ্রহণ করে৷ সনদে বর্ণবৈষম্য বলতে ‘যেকোন ধরনের পার্থক্য, প্রতিবন্ধকতা বা অগ্রাধিকার প্রদানকে বোঝানো হয়েছে যা বর্ণ, গোত্র, জন্মের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে এবং যার উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতি, ভোগ ও চর্চার ক্ষেত্রে বাদ দেয়া, বাঁধা দেয়া বা সীমারেখা আরোপ করা’৷
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক ধরনের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে৷ যেমন: আদিবাসীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ, তাদের ভূমির অধিকার, দালিত ও হরিজনদের প্রতি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য ইত্যাদি৷
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ, ১৯৭৯
নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রকৃত অর্থে সমতা অর্জনের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ গ্রহণ করে এবং ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সনদটি কার্যকরী হয়৷ ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ এই সনদে স্বাক্ষর করে৷ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে যে সব অন্তরায় পরিলক্ষিত হয় সেগুলো বৈষম্য বলে গণ্য হবে৷ এই সনদের অনুচ্ছেদ-১৫ তে বলা হয়েছে রাষ্ট্র- আইনের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষকে সমকক্ষ হিসাবে বিবেচনা করবে৷ পুরুষ ও নারী কেউ উত্‍কৃষ্ট বা কেউ নিকৃষ্ট এই ধারণার ভিত্তিতে কিংবা পুরুষ ও নারীর চিরাচরিত ভূমিকার ভিত্তিতে যে সব কুসংস্কার, প্রথা ও অভ্যাস গড়ে উঠেছে সেগুলো দূর করার জন্য এবং পুরুষ ও নারীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আচরণের ধরণ পরিবর্তন করার জন্যও রাষ্ট্র উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷ নারী ও পুরুষের সমতার নীতি কোন দেশের সংবিধানে অথবা অন্য কোন আইনে না থাকলে তা উপযুক্ত আইনে অন্তর্ভূক্ত করা এবং যে সকল ক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে সে সকল ক্ষেত্রে রাষ্ট্র যথোপযুক্ত আইন তৈরী করবে (অনুঃ২)৷ যে সকল আইন, বিধি, প্রথা ও অভ্যাস নারীর প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করে সেগুলো বাতিল করা এবং নারী-পুরুষের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র বিশেষ কোন অস্থায়ী পদক্ষেপ(Affirmative Action) গ্রহণ করলে তা বৈষম্য বলে বিবেচিত হবে না (অনুঃ৪)৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিলে উল্লেখিত কর্মসংস্থানের অধিকারকে পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি বিশেষ সুবিধা হিসাবে মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি প্রবর্তন, গর্ভাবস্থায় যে ধরনের কাজ নারীর জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত সে ধরনের কাজ থেকে বিশেষ ভাবে রক্ষার জন্য শরীক রাষ্ট্রের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে৷
বর্তমানে বাংলাদেশে নারীর প্রতি অনেক ধরনের বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়, বিশেষকরে, মজুরি বৈষম্য, সমাজে স্বাধীনভাবে চলাফেরা, বিয়ে ও বিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীর সম অধিকার, সম্পত্তিতে নারীর সম অধিকার, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর সম অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীর সম অংশগ্রহণ ইত্যাদি৷

বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালের ৬ নভেম্বর সিডও সনদের অন্তর্ভূক্ত (Accession) হয় এবং ২ ও ১৬(১)(সি) নং অনুচ্ছেদে এখনও সংরক্ষণ রয়েছে৷
শিশু অধিকার সনদ, ১৯৮৯:
শিশুদের অধিকার অধিকতর কার্যকর করার জন্য ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়৷ এই সনদের ৫৪টি অনুচ্ছেদে শিশু কল্যাণ নিশ্চিত করাসহ শিশুদের সকল প্রকারের শোষণ, অবহেলা, অপরাধমূলক কর্মকান্ড, রাজনৈতিক কাজে অপব্যবহার ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ সনদে ১৮ বছরের নিচে যেকোন মানুষকে শিশু বলা হয়েছে৷ সনদের অধিকারগুলোকে বেঁচে থাকার অধিকার, বিকাশের অধিকার, সুরক্ষার অধিকার, অংশগ্রহণের অধিকার এই চারটি গুচ্ছে ভাগ করা হয়েছে৷ যে চারটি মূলনীতির ভিত্তিতে এর অনুচ্ছেদের বিধানগুলোকে ব্যাখ্যা করা হয় সেগুলো হলো- বৈষম্যহীনতা, শিশু সর্বোত্তম স্বার্থ, শিশুর মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও পিতা-মাতার দায়িত্ব৷ এই সনদের অনুচ্ছেদ ৩ ও ৪ এ বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে অভিভাবক বা বাবা-মা শিশুর নিরাপত্তা দিতে পারবে না, সেসব ক্ষেত্রে দেশের সরকার তার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের আইনানুগ ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিবে৷ যে সকল অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন সেসব ক্ষেত্রে সরকার সর্বোচ্চ আর্থিক সহযোগিতা দেবে এবং যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আহ্বান জানাবে৷
শিশু অধিকার সনদে শিশুদের জন্য যেসকল অধিকার স্বীকৃত রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে শিশুর উন্নয়ন ও অংশগ্রহণের অধিকার৷ কিন্তু আমাদের দেশে শিশুরা এ দুটি প্রদান অধিকার থেকে বঞ্চিত৷ শিশু শিক্ষা, বিনোদন, কল্যাণ, শিশুর মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ইত্যাদি অধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন হচ্ছে৷ তাছাড়া দারিদ্রের কারণে শিশু শ্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু সবগুলো অধিকার, লঙ্ঘিত হয়৷ বাংলাদেশ ২৬ জানুয়ারী ১৯৯০ সালে শিশু সনদে স্বাক্ষর করে এবং ৩ আগষ্ট ১৯৯০ সালে সমর্থন বা অনুমোদন করে৷ বাংলাদেশ শিশু সনদের ১-৩, ৭-৮, ১০ ও ১৩ কিছু ঘোষণা সাপেক্ষে শিশু সদন অনুমোদন করে৷
নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা হেয়কর আচরণ অথবা শাস্তির বিরুদ্ধে চুক্তি, ১৯৮৪
নির্যাতন সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট ঘটনাবলি এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালে সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা হেয়কর আচরণ অথবা শাস্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি৷ যদিও নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির ৭ নং অনুচ্ছেদে নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক বা হেয়কর আচরণ এবং শাস্তি নিষিদ্ধ করে বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তথাপি নির্যাতনবিরোধী চুক্তিতে এ সম্পর্কিত বিশদ বিধান বর্ণনা করে নির্যাতন প্রতিরোধ এবং নির্যাতনমূলক আচরণের শাস্তির বিধান অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে৷ নির্যাতনের সংজ্ঞা প্রদানের পর চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোনো অবস্থাতেই নির্যাতন সমর্থনযোগ্য নয়৷ চুক্তিতে আরো বলা হয়েছে যে, এ মর্মে যদি বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান থাকে যে, নির্দিষ্ট রাষ্ট্রে কোনো ব্যক্তি নির্যাতনের সম্মুখীন হবে তবে ওই ব্যক্তিকে সে রাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ, নির্বাসন বা অন্যভাবে ফেরত পাঠানো যাবে না৷ এ চুক্তি অনুযায়ী পক্ষরাষ্ট্রগুলো নির্যাতনকে ফৌজদারি অপরাধভুক্ত করবে এবং উপযুক্ত শাসত্মির ব্যবস্থা করবে৷
আমাদের দেশের জনগণ বর্তমানে সবচেয়ে বেশী যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার তা এই চুক্তিতে আওতায়৷ নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা হেয়কর আচরণ অথবা শাস্তির মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে৷ বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে জনগণ নির্যাতন, আটক অবস্থায় নির্যাতন, বিচার বর্হিভূত হত্যা, গুম ইত্যাদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে৷তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ ও ফতোয়ার নামে অসংখ্য মানুষ বিচার বর্হিতভূত শাস্তির শিকার হচ্ছে৷ বাংলাদেশ এই চুক্তিতে ৯ মে ২০০৭ সালে স্বাক্ষর করে এবং ৩০ নভেম্বর ২০০৭ সালে সমর্থন বা অনুমোদন করে৷ তবে অনুমোদনের সময় অনুচ্ছেদ ১৪(১) এর বিষয়ে দেশের প্রচলিত আইনের সাথে মিল রেখে প্রয়োগ করার ঘোষণা দেয়৷
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংক্রান্ত চুক্তি, ২০০৬
২০০৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংক্রান্ত চুক্তি৷ চুক্তিটি কার্যকর হয় ৩ মে ২০০৮৷প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের পূর্ণ এবং সমান ভোগের নিশ্চয়তা বিধান ও তাদের অন্তর্জাত মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের প্রসার সাধনের উদ্দেশ্যে গৃহীত এ চুক্তির ১ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘প্রতিবন্ধী বলতে তাদেরই বোঝানো হবে যাদের দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিগত, সংবেদন সম্বন্ধীয় বৈকল্য রয়েছে যেগুলো আরও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সহযোগে তাদের অন্য সবার মতো সমাজে সমান, পূর্ণ এবং কার্যকর অংশগ্রহণে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়’৷

---
চুক্তির সাধারণ নীতি হিসেবে - ব্যক্তির অন্তর্নিহিত মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা, পূর্ণ ও কার্যকর অংশগ্রহণ, মানব বৈচিত্র্য ও ভিন্নতার প্রতি শ্রদ্ধা, সমান সুযোগ, প্রবেশগম্যতা, নারী-পুরুষ সমতা ইত্যাদি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে৷ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবনের অধিকারসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য অধিকার, যেমন- আইনের দৃষ্টিতে সমান বিবেচিত হওয়া, ন্যায়বিচারের সুবিধা, চলাফেরার স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন ও পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা, রাজনৈতিক ও জনজীবনে অংশগ্রহণ, খেলাধুলা, বিনোদনমূলক কর্মকা-সহ সাংস্কৃতিক কর্মকা- অংশগ্রহণ ইত্যাদির নিশ্চয়তায় রাষ্ট্রের দায়দায়িত্বের বর্ণনা রয়েছে চুক্তির বিভিন্ন অনুচ্ছেদে৷প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের বহুমাত্রিক বৈষম্যের কথা বিবেচনায় এনে চুক্তিতে প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুর মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা ভোগের নিশ্চয়তায় রাষ্ট্র কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে চুক্তির ৬ এবং ৭ নং অনুচ্ছেদে৷
চুক্তিতে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পূর্ণ নিশ্চয়তায় রাষ্ট্রের করণীয় হিসেবে উপযুক্ত আইনগত, প্রশাসনিক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাদের মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে পরিবার-সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি, তাদের সম্পর্কে প্রচলিত কুসংস্কার ও ক্ষতিকর ধ্যান-ধারণা এবং আচার-আচরণ পরিবর্তনে রাষ্ট্র কর্তৃক কার্যকর ও উপযোগী ব্যবস্থা নেয়ার বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে ৷
যদিও বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে তবুও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার৷ তারা আইনের দৃষ্টিতে সমান বিবেচিত হওয়া, ন্যায়বিচারের সুবিধা, চলাফেরার স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন ও পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা, রাজনৈতিক ও জনজীবনে অংশগ্রহণ ইত্যাদি অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ ইত্যাদি……

আপলোড : ২১ জানুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৩.৩০ মিঃ





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)