শিরোনাম:
●   স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার ●   সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলতে পারলেই স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   রুমার জঙ্গল থেকে গুলিবিদ্ধ দুইটি মরদেহ উদ্ধার ●   কাউখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ক মতবিনিময় সভা ●   মিরসরাইয়ে এসএসসি ২০২০ ব্যাচের দিবারাত্রি অলিম্পিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ●   ২০২৩ সালের সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুনাইদ ●   পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ের চিত্র বদলে দিয়েছে : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ●   ৮ বছর পর খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন ●   ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলুন ●   রাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   মানিকছড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা ●   কাপ্তাই হ্রদের চারটি উপকেন্দ্র থেকে সাড়ে ১৫ কোটির উর্ধ্বে শুল্ক আয় করেছে বিএফডিসি ●   পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   ঘোড়াঘাটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ড্রাইভার ও হেলপার নিহত ●   অবিলম্বে ‘হিট ইমারজেন্সী ‘ জারী করুন, সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন ●   ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকগন ●   ঈশ্বরগঞ্জে মহিলা এমপি ব্যরিস্টার ফারজানাকে বরণ ●   মানিকছড়িতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু ●   অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা ●   নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা ●   সাজেকে নিহত ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ●   রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত ●   সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক ●   আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে রাঙামাটিতে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   তীব্র দাবদাহে মধ্যে কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার প্রক্রিয়া করেছে বন বিভাগ ●   কাপ্তাই সড়কে রাতেও চলছে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ●   রাঙামাটিতে চোরাই কাঠ ও বিদেশী সিগারেটসহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করেছে দক্ষিণ বন বিভাগ ●   দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে সাংবাদিক এর বাগান বাড়ি পুড়ে দেয়ার আজ ২ মাস : ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রকাশ ●   আঞ্চলিক পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ৩৫ বছর পরিচালিত হচ্ছে অনির্বাচিতদের দ্বারা ●   রাঙামাটির চার উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ : ৮ মে নির্বাচন
রাঙামাটি, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত নবান্নের আয়োজন
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত নবান্নের আয়োজন
৪৩১ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঘোড়াঘাটে ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত নবান্নের আয়োজন

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তসুলতান কবির, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: ঘরে নতুন ধান! আত্মীয় স্বজনদেরকে নিয়ে পিঠা পুলির এক মহা উৎসব। অগ্রহায়ণ মাস জুড়েই প্রতিটি বাঙ্গালী ঘরের চিত্র এটি। আর এই আয়োজনকেই বলা হয় হেমন্তের প্রাণ বা নবান্ন উৎসব। কৃষকের সোনালী হাসির এই নবান্নের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার বাঙ্গালী পরিবার গুলোর মাঝে।

আজ থেকে শুরু হলো অগ্রহায়ণ মাস। আর পয়লা অগ্রহায়ণ মানেই বাঙ্গালী গেরস্থ বাড়িতে উৎসবের আমেজ। মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। নতুন ধানের গন্ধে ম ম উঠান বাড়ি। পাশাপাশি নতুন ধানের পিঠা, পুলি, পায়েশ রান্নাতে ব্যস্ত বাঙ্গালী পরিবার গুলো। ঘোড়াঘাট সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বাড়িতে মেয়ে-জামাই, আত্মীয়-স্বজনদেরকে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙ্গালী পরিবার গুলো। নেচে গেয়ে মনের আনন্দে কাঠের ঢেঁকিতে আটা কোটা ও পিঠা পুলি তৈরিতে ব্যস্ত মেয়েরা। নবান্নকে ঘিরে বেশ কয়েকটি গ্রামে জবাই করা হয়েছে গরু ও মহিষ। ভোর থেকে মাংস কিনতে ভীড় জমাচ্ছে বাড়ির জামাই সহ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। অনেক জায়গায় নবান্নকে ঘিরে চলছে পিকনিক। সবচেয়ে বেশি আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙ্গালী আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবার গুলো। পিঠা-পুলির পাশাপাশি বিভিন্ন আদিবাসী নৃত্য ও সঙ্গীতে আত্মহারা হয়ে উঠেছে তারা।

তবে আগেকার সেই নবান্ন উৎসব এখন আর চোখে পড়ে না। দিন পরিবর্তনের সাথে সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙ্গালী জাতির সেই চির চেনা নবান্ন উৎসব। আগে প্রতিটি বাঙ্গালী পরিবারেই হতো নবান্নের মহা আয়োজন। তবে এখন কিছু কিছু বাঙ্গালী গেরস্থ বাড়িতে স্বল্প পরিসরে এই আয়োজন হয়। সেটাও আগেকার মত জমকালো নয়। গ্রামে তাও দেখা মেলে নবান্ন আয়োজনের। কিন্তু শহরে এর কোন ছাপ নেই। শহরের নবান্ন মানে পিঠা-পুলির দোকান। আর সেই সব দোকান থেকে পিঠা-পুলি কিনে খাওয়া। আগেকার দিনের সেই নবান্নের আংশিক স্বাদ পাওয়া যায় গ্রামের পরিবার গুলোতে। বাড়ির একদিকে মা-দাদিরা কাঠের ঢেঁকিতে নতুন ধানের আটা কুটতে ব্যস্ত। অপর দিকে বাড়ির উঠোনে বোন, ভাবী, চাচীরা ব্যস্ত নানান রং বেরং এর পিঠা-পুলি ও পায়েশ-খীড় তৈরিতে।

কানাগাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, নবান্নের প্রকৃত স্বাদ কেবল কৃষকরাই পায়। মাসের পর মাস পরিশ্রম করার পর ফসল ঘরে তোলার মাঝে কি যে আনন্দ, তা বলে বোঝানো যাবে না। আবার নতুন ধানের পিঠা-রুটিতেও থাকে অন্য রকম স্বাদ।

জালালপুর গ্রামের আদিবাসী কৃষক পাল্টন হেমরম বলেন, ‘হামরা সারা বছর কৃষানী করে খাই। বছরের এই একটা সময় বেটি-জামাই নিয়ে আনন্দ করি। হামার হেরে বাপ দাদার আমলে আরো বড় বড় আয়োজন হচ্ছিল। এখন তো আর ওগলা হয় না।’

ঘোড়াঘাট পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, আমরা আগে যে নবান্ন দেখতাম আর এখন যে নবান্ন উৎসব পালিত হয়, তার মাঝে অনেক পার্থক্য। নবান্ন উৎসবের সেই প্রফুল্লতা এখন আর আমাদের মাঝে নেই। বর্তমান প্রজন্ম নবান্ন সম্পর্কে জানেই না। বাঙ্গালী জাতির এই মহা উৎসবকে টিকিয়ে রাখতে গেলে আগেকার দিনেই সেই সাংস্কৃতি চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বাঙ্গালী জাতির সেই ইতিহাস জানাতে হবে। আমাদের আন্তরিকতার অভাব এবং অধিক ডিজিটালাইজেশনের কারণে এই উৎসব গুলি আর তেমন চোখে পরে না।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)