শিরোনাম:
●   ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকগন ●   ঈশ্বরগঞ্জে মহিলা এমপি ব্যরিস্টার ফারজানাকে বরণ ●   মানিকছড়িতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু ●   অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা ●   নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা ●   সাজেকে নিহত ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ●   রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত ●   সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক ●   আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে রাঙামাটিতে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   তীব্র দাবদাহে মধ্যে কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার প্রক্রিয়া করেছে বন বিভাগ ●   কাপ্তাই সড়কে রাতেও চলছে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ●   রাঙামাটিতে চোরাই কাঠ ও বিদেশী সিগারেটসহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করেছে দক্ষিণ বন বিভাগ ●   পাহাড়ি দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে সাংবাদিক এর বাগান বাড়ি পুড়ে দেয়ার আজ ২ মাস : ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রকাশ ●   আঞ্চলিক পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ৩৫ বছর পরিচালিত হচ্ছে অনির্বাচিতদের দ্বারা ●   রাঙামাটির চার উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ : ৮ মে নির্বাচন ●   কল্পনা অপহরণ মামলা রাঙামাটি কোর্টে ডিসমিস করায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ক্ষোভ প্রকাশ ●   নিরীহ মানুষকে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে ২৫ এপ্রিল রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ●   আনসারের অস্ত্রলুটের ঘটনায় রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ জন কারাগারে ●   বান্দরবানে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ ●   নিজের অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আনসার সদস্যদের আত্মহত্যা ●   কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে ও বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে হ্রদের ড্রেজিং করা দরকার ●   রাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয় সভা ●   ঝালকাঠি ২ উপজেলায় তিন পদে ২৪ জনের মনোনয়ন দাখিল ●   রুমা-থানচি ব্যংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফ এর আরও ৫ জন রিমান্ডে ●   অপসংবাদিকতা রোধে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ প্রণয়নে কাজ করছে প্রেস কাউন্সিল ●   খাগড়াছড়িতে বলি খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ●   প্রচন্ড তাপদাহে পানির জন্য চলছে হাহাকার : পানি শূন্য কুষ্টিয়ার গড়াই নদী ●   ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ জনের মৃত্যু ●   নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য সস্তা : দাম বাড়ানোর দাবি ●   তীব্র দাবদাহে ৭ দিন বন্ধ দেশের সকল স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা
রাঙামাটি, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ১১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » তেলের দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষকরা
প্রথম পাতা » কৃষি » তেলের দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষকরা
৩৫৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১১ আগস্ট ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তেলের দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষকরা

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গুড়দাহ গ্রামের বড় চাষি ছমির উদ্দীন বিশ্বাস দশ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করে এখন হতাশ। রোপা আমন ছাড়াও মাঠে তার ১৫ বিঘা জমিতে আউস ধান রয়েছে। ভরা আষাঢ় ও শ্রাবনে বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষেতে টানা সেচ দিতে হচ্ছে। তারপর বেড়েছে সারের দাম। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অচল হয়ে পড়েছে পানির মটর। এতে তার লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে। একই গ্রামের জামাল উদ্দীন বিশ্বাস তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে চাষাবাদ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন তেলের দাম না কমালে চাষে লোকসান হবে। অর্জিত হবে না লক্ষ্যমাত্র। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মজনুর রহমান এবছর সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন। প্রতিবছর তিনি ৮ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করতেন। কিন্তু এবছর তেল ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবাদ কমিয়ে দিয়েছেন। তার উপর নেই বৃষ্টি। খরায় পুড়ছে ঝিনাইদহসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চল। ফলে কৃষকরা ডিজেল চালিত যন্ত্রের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে। আর এতে বাড়ছে খরচ। ফলে ঝিনাইদহে কৃষিতে বিপর্যয় ও উৎপাদন ঘাটতির আশংকা দেখা দিয়েছে। কৃষক ছমির উদ্দীন জানান, রোপা আমন বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি নেই। ফলে বিঘা প্রতি সেচ বাবদ অতিরিক্ত ১২’শ টাকা গুনতে হবে। সব মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। হরিণাকুন্ডুর শীতলি গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, ধান নিড়ানো, ধান কাটা, ধান লাগানো ও ধান মাড়াই করা সব কাজেই জোন (কামলা) লাগছে। কিন্তু জোনের দামও বেড়ে গেছে। তারপরও রয়েছে ডিজেল চালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ, ধান বাড়িতে আনা ও ধান মাড়াই। রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের কৃষক সাকেদ আলী জানান, কৃষি নির্ভর এই দেশে সার, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে এক সময় কৃষকরা চাষ ছেড়ে দিবে। তিনি জানান, কৃষকদের এখন বড় সমস্যা হচ্ছে সেচ ও সার। এই দুটোর দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মানুষ নিজে খাওয়ার জন্য ছাড়া বিক্রির জন্য ধান চাষ করতে আগ্রহ হারাবে। শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের কৃষক গোলাম নবি ও আতিয়ার রহমান জানান, জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারনে আমার মতো উপজেলার কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অনেক কৃষক ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারনে ঠিকমত সেচ দিতে পারছে না। যে কারনে শৈলকুপা এলাকায় রোপা আমন ও সবজি চাষে লোকসানের আশংকা করছেন তারা। সাধুহাটির কৃষক বাবলুর রহমান জানান, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারনে সেচসহ অনান্য খরচ দ্বিগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে এবার লোকসান গুনতে হবে। অনেক কৃষক তেলের দাম কমানো বা যারা প্রকৃত কৃষক তাদের কৃষি কার্ডের মাধ্যমে কম মুল্যে ডিজেল সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, ঝিনাইদহ জেলায় রোপা আমন এক লাখ চার হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের অক্ষ্যমাত্রা ছিল। বুধবার পর্যন্ত (১০ আগষ্ট) পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ৫৩ হাজার ২৬২ হেক্টর। এছাড়া দুই হাজার ৫ শত ৫৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকারের সবজি আবাদ হচ্ছে। তিনি বলেন, জেলায় দুই লাখ কৃষক পরিবার আছে। কৃষকরা পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায় এখনো পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি। আমরা রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। গ্রামের কৃষকদের দাবী সার ও তেলের দাম বাড়ার কারনে তাদের এবছর উৎপাদন মুল্য বেড়ে যাবে, সেই সাথে ক্ষতির মধ্যে পড়বে কৃষকরা।

আহত ব্যাক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, দেড় বছর আগে মহেশপুর উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী সুলতান গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়। এরপর থেকে সে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে আসছিল। গত ৬ জুন পুরন্দরপুর গ্রামের হালিমা খাতুনের বাড়িতে সুলতান ও হালিমাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে তার দুই ছেলে রহিম ও রাসেল। রাতে ওই ওয়ার্ডের মেম্বর মিজানুর রহমান ও পাশের ওয়ার্ডের মেম্বর আরিফুর রহমানসহ সুলতানের ভাই ফরিদ হোসেনের উপস্থিতিতে সুলতান ও হালিমার বিয়ে হয়। সকালে হালিমাকে নিয়ে সুলতান তার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন বাড়িতে ঢুকতে না দিলে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে ১৩ দিন থাকার পর সুলতানের ভাই ফরিদ ও তার পরিবারের লোকজন মেনে নেওয়ার আশ^াসে গ্রামে ডেকে আনে। সেখানে মারধর করে তাদের জোর করে তালাক দেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর অসুস্থ হলে গত ২৪ জুলাই যশোরে ভর্তি করা হয় সুলতানকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ৩ তারিখে মারা যায়। এ ঘটনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রতিপক্ষরা হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এতে নির্দোষ ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। সুলতান অভিযোগ করে বলেন, সুলতানের লাশ বাড়িতে আনলে শুরু হয় রাজনীতি। ওই এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, পুলিশ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আমার ভাই মিজানুরের কাছে নির্বাচনে হেরে এটিকে হত্যা মামলা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি মামলা প্রত্যহারের দাবী জানান তারা। এদিকে মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের সুলতান হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পুরন্দপুর ঘাটপাড়ায় নুরানী মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকার অসংখ্য নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত সুলতানের স্ত্রী আলেয়া খাতুন,ছেলে রিয়াজ হোসেন, রিফাদ হোসেন, বড় ভাই ফরিদ হোসেন,গ্রামবাসীর পক্ষে ফজলুর রহমান,মুক্তা বেগম,আলী আহম্মদ প্রমুখ। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু নিহত সুলতান হত্যার ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই ফতেপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মিজান তার সমর্থকদের নিয়ে নিহত সুলতান (৪৫) কে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাছের সাথে বেঁধে ব্যাপক নির্যাতন করে। সুলতান বুকে ও পেটে মারাত্মক আঘাত পেয়ে যশোর সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রায় একমাস পর তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মিজান মেম্বারকে প্রধান আসামী করে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। যার নং-১১(৮)২২। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় জড়িত কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

কালীগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁদবা গ্রামে পারুল খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তার স্বামী মতিয়ার রহমান পলাতক রয়েছে। বুধবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। রাতে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে স্ত্রী পারুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মতিয়ার রহমান। এতে ঘটনাস্থলেই মারা গেলে পালিয়ে যায় মতিয়ার রহমান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত পারুলের মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিবেশী হযরত আলী ও আলম হোসেন জানান, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই সংসারের ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। পারিবারিক কলহের জেরেই গভীর রাতে পারুল বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, মরদেহ থানায় নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বিভিন্ন সারের দোকানে ঘুরেও পটাশ সার পাচ্ছেন না চাষিরা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে পটাশ সারের অভাবে রোপা আমন চাষ ব্যাহত হচ্ছে। অথচ এ সময় পটাশ সারের বেশি প্রয়োজন। বিভিন্ন সারের দোকানে পটাশ সারের জন্য ঘুরেও সার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানান চাষিরা। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টরে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ৪৭ হাজার হেক্টরে চারা রোপণ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ শতাংশ। বৃষ্টির অভাবে চারা রোপণ করতে পারছেন না চাষিরা। সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছেন। এতে খরচ বেশি হচ্ছে। আমন চাষ বৃষ্টিনির্ভর। এবার বর্ত্যয় ঘটছে। এদিকে চাষের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। তারপর ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে পটাশ সারের অভাব। শৈলকুপা উপজেলার খালকুলা গ্রামের চাষি আইয়ুব আলি জানান, এবার সাত বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করবেন। এ পর্যন্ত সেচ দিয়ে আড়াই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এখনো সাড়ে ৪ বিঘা জমি পড়ে রয়েছে। চারা রোপণের পর পটাশ সার দিতে হয়। নইলে ফলন কমে যাবে। সার ডিলারদের দোকানে ঘুরে ঘুরেও সার পাচ্ছেন না। একই উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের চাষি এলাহী মোল্লা বলেন, সার ডিলাররা বলছেন, পটাশ সার নেই। তার এক বস্তা সার দরকার। ১ কেজি সারও কিনতে পারেননি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, জুলাই মাসে জেলায় পটাশ সারের বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫৭১ মেট্রিক টন। সরবরাহ পাওয়া গেছে ১ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন। চলতি মাসে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৬০১ টন। পাওয়া গেছে ৯২ টন। তিনি বলেন, পটাশ সার সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। দ্রুত সংকট কেটে যাবে বলে জানান তিনি। বিএডিসি যশোরের যুগ্ম পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, পটাশ সার রাশিয়া, বেলারুশ ও কানাডা থেকে আমদানি করা হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া থেকে সার আমদানি করা যাচ্ছে না। বেলারুশ থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, এ সংকট শিগ্গির কেটে যাবে। তিনি আরো বলেন, পটাশ সার পরেও ব্যবহার করা যাবে। ফলন কমবে না।

দুই বোনকে ভারতের যৌনপল্লীতে বিক্রয়কারীরা গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ :: ভারতে নারী পাচার চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। আসামিরা নারীদের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে সেখানকার যৌনপল্লীতে বিক্রি করতেন। বুধবার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম। যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন-রানা আহমেদ, মো. সুজন মিয়া, মো. সাহাবুদ্দীন এবং নাইমুর রহমান ওরফে শামীম ওরফে সাগর। ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিআইডির মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তারা জরিনা (ছদ্মনাম) ও শিউলি (ছদ্মনাম) নামের দুই বোনকে বেশি বেতনের প্ররোচনায় ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ২০২১ সালের ৪ মে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করেন। ভারতে অবস্থানরত সহযোগীদের সহায়তায় দুই বোনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়। সেখানে দুই বোন যৌন নির্যাতনের শিকার হন। পরবর্তীতে যৌনপল্লী থেকে পালিয়ে ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় এই দুই বোন এ বছরের ২২ মার্চ বাংলাদেশে ফেরত আসেন ও আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখেছি তারা দুই বোনকে ভারতে পাচার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যারা যারা জড়িত থাকবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। সিআইডি জানায়, পাচার হওয়া দুই জনের একজন মো. ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী ও অপরজন শ্যালিকা। ইউসুফই তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে দালালের কাছে তুলে দেয়। কয়েকদিন আগেই ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, সংসার করা ইউসুফের উদ্দেশ্য ছিল না। ভারতে পাচার করার জন্যই তিনি বিয়ে করেন। নতুন যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তদন্তাধীন। এই চক্রের দেশি-বিদেশি সদস্যদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

ঝিনাইদহে জাসদের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে জাসদের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শহরের উজির আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজের মিলনায়তনে জেলা জাসদের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা জাসদের সভাপতি চন্দন চক্রবর্ত্তী’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু। এছাড়া জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক ও জাতীয় যুব জোট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শামীম আকতার বাবু, মাগুরা জেলা জাসদের সহ সভাপতি মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু, যশোর জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ আহমেদ বাপ্পি, ঝিনাইদহ জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আজিজ খান, জেলা জাসদের দফতর সম্পাদক জনাব শাহানুর, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল, জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক বিদ্যুৎ হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক। বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ওবায়দুর রহমান চুন্নুসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, জ্বালানী তেল ও সারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের কোন বিকল্প নেই। জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে দেশের সব কিছুর দাম বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের মূল্যস্ফিতি এমন পর্যায়ে গেছে যা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এই মূহুর্তে জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহরসহ নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে কৃষক, শ্রমিক মেহনতি মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে আনতে হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)