বৃহস্পতিবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ঢাকা » নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী : সাইফুল হক
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী : সাইফুল হক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন মানুষের পেটে আগুন, মার্কেট আর বাজারেও আগুন ; সরকার কোনভাবেই দায় এড়াতে পারেনা। তিনি বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয় মিটাতে মানুষ দিশেহারা ও নাকাল। বাজারের আগুনে মানুষ আজ বড় অসহায়।এরমধ্যে জীবন টিকিয়ে রাখতে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে। গোটা বাজার ব্যবস্থায় রীতিমতো নৈরাজ্য চলছে।সরকারের সাথে মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের অশুভ আঁতাত ও যোগসাজশের কারণেই বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন; বাজারে চলছে চরম স্বেচ্ছাচারীতা। উৎপাদন, সরবরাহ ও মজুদে তেমন কোন ঘাটতি না থাকলেও প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, সরকারের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম অস্বীকার করায় এরা এখন আরও বেপরোয়া।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, যে সরকার মশা মারতে পারে না সেই সরকার কিভাবে দেশ চালাবে। ডেংগুতে মৃত্যুকে তিনি একধরনের হত্যাকাণ্ড হিসাবে আখ্যায়িত করে ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।
গতকাল জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাশের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, হয়রানি ও নিপীড়ন মূলক নতুন এই আইন নাগরিকদের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী, কোন সভ্য দেশ পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি ও গ্রেফতারের অনুমতি দিতে পারে না।তিনি বলেন, বিরোধী দল ও মতকে দমন করার এই আইন দেশকে আরও নিপীড়নমুলক ও স্বৈরতন্ত্রী করে তুলবে।
তিনি বলেন গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে সরকার আজ দেশ ও জনগণকেই বাজি ধরেছে। তিনি অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে আর একটি গণজাগরণ - গণঅভ্যুত্থাননের ডাক দেন।
আজ দুপুরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভকালে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, ঢাকা মহানগর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে পার্টির বিক্ষোভ মিছিল প্রথমে পুরানা পল্টনে পুলিশের ব্যারিকেড এর সম্মুখীন হয়। নেতা কর্মী এই ব্যারিকেড ভেংগে জিরো পয়েন্ট দিয়ে সচিবালয়ের মুখে দ্বিতীয় ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়।এখানে পুলিশের সাথে সাথে নেতা কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।এতে পার্টির কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হয়।
পরে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, দাবি আদায় না হলে অচিরে সচিবালয় ঘেরাওসহ আন্দোলনে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।এরপর তিনি বিক্ষোভ এর কর্মসূচী সমাপ্ত ঘোষণা করেন।





১২ ডিসেম্বর থেকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনের মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে
আগামী নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে
গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়কের দায়িত্বে সাইফুল হক
বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামের শরিকদের সাথে বেঈমানী করেছে : লেবার পার্টির চেয়ারম্যান
আগামী ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই
যমুনা অভিমুখী বামপন্থীদের মিছিলে পুলিশী হামলা ঘটনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির তীব্র নিন্দা
ডিসি ও ইউএনওকে রিটার্নি কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
জুলাই সনদের স্বাক্ষরকারী দল হিসাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি গণভোটে হাঁ এর পক্ষে জনমত সংগঠিত করবে
ডা.মিলনের প্রতি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা