

শুক্রবার ● ৬ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » আজ নিতেই হবে এমন প্রতিজ্ঞা বলে পশু ক্রয়ে ছুটছেন ক্রেতারা
আজ নিতেই হবে এমন প্রতিজ্ঞা বলে পশু ক্রয়ে ছুটছেন ক্রেতারা
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,ফটিকছড়ি :: আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানিরর দিন। তাই এখনো যারা কোরবানি পশু নেননি তারা ছুটছেন পশু ক্রয়ে। আজ নিতেই হবে এমন প্রতিজ্ঞা বলে। ফলে ফটিকছড়িতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট।
উপজেলার আজকের নির্ধারিত হাট বাজার ছড়াও মৌসুমি বেপারিদের কাছেও ছুটছেন ক্রেতারা।গরুর শোরুম খ্যাত খামারে । এসব শোরুমে ভাল বিক্রি হচ্ছে বলেও জানা গেছে। কারন হিসেবে জানা যায়,বাজার ছাড়া এসব স্থান থেকে পশু নিলে হাছিল দিতে হয়না।এবং বেপারিরাও অল্প লাভ হলে পশু ছেড়ে দেয়। তাছাড়া অনেকে বাজারে ঘোরাঘুরি করে পশু ক্রয়ে আগ্রহি নয়। আবার অনেকে সময়ের কথা বিবেচনা করে এসব গরুর শোরুম থেকে ক্রয় করাটা ভাল মনে করে। একাধিক গরুর শোরুম ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের প্রচন্ড ভীড়। তুলানামূলক ভাল বিক্রিও হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানে এভাবে গরু মহিষ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আজ কোরাবানি পশুর শেষ হাট নাজিরহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়,যথেষ্ট পরিমাণ গরু বাজারে আসছে। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মনে শংকা কাজ করছে। বিক্রেতারা ভাবছের দাম কমে যাচ্ছে কিনা,আরা ক্রেতারা ভাবছেন দাম বেড়ে যাচ্ছে কিনা। এমন চিন্তা ভাবনায় গরু কিনে কেউ জিতছেন কেউ ঠকছেন এমন মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে।
গরু ক্রয় করতে আসা মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন,আজতো গরু নিতেই হবে। সময়তো আর নেই।
গরু বেপারি মোহাম্মদ কামাল বলেন,অনেক গরু এনেছি।ভাল বিক্রি হচ্ছে। অল্প লাভ হলেই ছেড়ে দিচ্ছি।
এবছর গরুর দাম একটু বেশি হলেও মানুষ সেই দিকে লক্ষ্য না করে যার যার পছন্দের কোরবানির পশু ক্রয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আজ।
এদিকে কোরবানি পশুর রাখা ও পালন করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই কোরবানি পশু ক্রয় করেন শেষ সময়ে। আর এ সময়ে পশু ক্রয়ে কেউ কেউ লাভবান হয় আর কেউ ঠকেন। মানুষের মুখে মুখে শুনা যায়, অমুকের পশুটা ভাল হয়েছে সে জিতেছে আর অমুকের গরুটা মূল্য বেশি হয়েছে সে ঠকেছে।কেউ কেউ এরকমও বলতে শোনা যাচ্ছেযে কেউ কিনছে গরু আর কেউ কিনছে দড়ি।
কোরবানি পশু ক্রয় বিক্রয়ের এ শেষ সময়ে উপজেলার সর্বত্রই এমন দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। চলছে কোরবানি পশু নিয়ে আলোচনা ও মূল্য নিয়ে হিসাব নিকাষ। ক্রয় করে কোরবানি পশু নিতে দেখলেই জিজ্ঞেস করছে দাম কত হয়েছ? উত্তর দিতে দিতে রীতিমত অনেকে হাঁপিয়ে উঠছে।
গরু ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ আরমান বলেন,দাম কত হয়েছে উত্তর দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছি, আর পারছিনা।
বৃষ্টি বাদলে গরু রাখার ঝামেলায় এত আগে গরু নেননি বলেন মোহাম্মদ বাদল ।
এ পসঙ্গে মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেন,আসলে এটাই হচ্ছে একটা আনন্দ।কোন গরু কত হয়েছে তা জানা।
এদিকে উপজেলার পাড়া মহল্লায় সর্বত্রই ক্রয়কৃত কোরবানি পশু দেখা যাচ্ছে। বাড়ির উঠানে,দোকানের সামনে। কেউ কেউ দুর্চিন্তায় পড়েছেন বৃষ্টি আসলে গরু কোথায় রাখবে। অনেকেই আবার খড় খুঁজছেন গরুর জন্য। এক কথায় উপজেলা জুড়ে বইছে পবিত্র ঈদুল আযাহার আনন্দ।
পাশাপাশি ফটিকছড়ি উপজেলা চায়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। দোকানিরা জানাই কোরবান কে সামনে রেখে রুটি-পরটা বাখরখানী অর্ডার দিচ্ছেন এবং নিচ্ছেন।
সিজল নাজিরহাট শাখার পরিচালক আলী নেওয়াজ বলেন বাখরখানীর যথেষ্ট অর্ডার পাচ্ছি।
এছাড়া কোরবানির শেষ প্রস্তুতি হিসেবে অনেকে ছুটছেন মাংস কাটার বিভিন্ন সরাঞ্জম ক্রয়ে।