শনিবার ● ২০ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ডাইরিয়ার ওষুধ
বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ডাইরিয়ার ওষুধ
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: বর্তমান সরকার প্রত্যান্ত অঞ্চলসহ দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷ কিন্তু এর উল্টোপথে রয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিত্সকরা৷ ওই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ১৯৮৬সালে সরকার উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর নামক স্থানে ৩১শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করে৷ বর্তমানে ওই কমপ্লেক্সটি ৫০শয্যায় উত্তীর্ণ করা হচ্ছে বলে কর্মরতরা জানান৷ যেখানে ডায়রিয়া রোগেরও ওষুধ পাওয়া যায়না! তার নাম হচ্ছে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৷ আবার টাকা দিলে ওষুধ মেলে এমন অভিযোগও অনেক পুরাতন৷ এতে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওপর অনাস্থা রয়েছে ভুক্তভোগীদের৷ আর এই অনাস্থার জন্ম নেয়ায় রোগীদের নিয়ে অভিভাবকরা ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সময় নষ্ট না করে সিলেটের হাসপাতালে চলে যান৷ তাই কমর্রতরা নিজেদের ইচ্ছে মতো ডিউটিতে যাওয়া আসা করতে পারেন৷ কর্মরতরা কৌশলে রোগীদের সঙ্গে অশুভ আচরণ, হাসপাতালে ওষুধ নেই বলে রোগীদের সঙ্গে টালবাহানা আর এক শিশুর ওষুধ তিন শিশুকে ব্যবহারের কথা বলায় জনমনে এমন অনাস্থার জন্ম নিয়েছে৷ হাসপতালে কর্মরতদের এমন দায়িত্ব অবহেলার কারণে দিন দিন রোগী শুন্য হয়ে পড়ছে হাসপাতাল৷ হাসপাতালে গেলে দেখা যায় হাতেগুনা দু’একজন শ্বাসকষ্ট রোগী রয়েছেন৷ তাও এসকল রোগীরা একেবারে গরীব ও মত্স্যজীবি এলাকার৷ তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় অনেক কষ্ট করে এবং নিরুপায় হয়ে তারা শিশুদের নিয়ে ভর্তি আছেন৷ টাকা থাকলে হয়তোবা তারাও অন্যদের মতো জেলা শহরে কোনো একটি হাসপাতালে চলে যেতেন৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গত ১৫ই আগস্ট ভোর ৫টায় এক স্কুল ছাত্রীর ডায়রিয়া রোগের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার অভিভাবক৷ ওই ছাত্রী ভর্তি হওয়ার পর কর্তব্যরতরা বলেন শরীরে পোষ করার ডায়রিয়ার স্যালাইন ও ইনজেকশন নেই৷ বাহির থেকে নিয়ে আসতে হবে৷ এসময় ওই অভিভাবক ক্ষুব্ধ ও নিরুপায় হয়ে একটি স্যালাইন ও একটি ইনজেকশন ফার্মেসী থেকে ক্রয় করে আনেন৷ আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুধু খাওয়ার স্যালাইন আর কয়েকটি পেট ব্যথার ট্যাবলেট দেয়া হয়৷
ওই দিন সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় আড়াই মাসের কন্যা শিশু তানিয়া বেগম, ১১মাসের মুজম্মিল আলী ও ৩ বছরের নাসিমা বেগম নামের তিন শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন৷ তাদের মায়ের সঙ্গে আলাপ করলে জানা যায় এক শিশুর সিরাপ তিন শিশুকে ভাগ করে খাওয়ার জন্য বলেছেন ডাক্তার৷ তারা আরও জানান এর আগের দিন (১৪আগষ্ট) তিনজন রোগী কাছ থেকে নগদ ১শত ও ১শত ৫০টাকা করে নিয়ে স্যালাইন পোষ করা হয়েছে৷ তার পাশাপাশি ওই দিন সকালে ৮০বছরের বৃদ্ধা রেহেনা বেগম স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েভর্তি হন৷ তিনি ভর্তির পর কর্তব্যরত ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে বাহির থেকে ক্রয় করে এনে খাওয়ার কথা বলেন৷ দুপুর ১২পর্যন্ত আর কোনো ডাক্তার ওয়ার্ডে যাননি৷
এব্যপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বিভাষ চন্দ্র মাণী সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন,শরীরে পোষ করার ডায়রিয়ার স্যালাইন না থাকারতো কথা নয়৷ আচ্ছা বিষয়টি দেখছি বলে ফোন রেখে দেন৷ তার এমন অনিশ্চিত বক্তব্যটা হতবাক হওয়ার মতোই৷





বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ
কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা জরুরি
সিগারেট ফিল্টার ও ভেপিং প্লাস্টিক দূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে প্রজ্ঞা-আত্মার বৈঠক
আত্রাইয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হাজার-হাজার মানুষ
গাইনি চিকিৎসকের অবহেলায় আবারো বন্ধ হতে যাচ্ছে অপারেশন কার্যক্রম
ঝালকাঠি সদর হাসপতালে ১ মাস থেকে কার্যক্রম বন্ধ প্যাথলজির সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা
রাঙামাটি আরপিটিআইতে কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ বিষয়ে ৫দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনি
নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ সার্জনের অভাবে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত
চোখে ভাইরাস লাগা রোগের প্রকোপ চরমে
সিলেটে স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ