শিরোনাম:
●   উপ সচিবের ভাই শীর্ষ চরমপন্থী নেতা লিপ্টনসহ গ্রেফতার-৩ ●   কুরবানির পশুর চামড়ার সিন্ডিকেট আগের চেয়ে বেশী সক্রিয় : উপযুক্ত দাম নাই ●   চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনভিপ্রেত ●   আজ নিতেই হবে এমন প্রতিজ্ঞা বলে পশু ক্রয়ে ছুটছেন ক্রেতারা ●   রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠন ‎ ●   ফটিকছড়িতে পশু জবাই ও মাংস কাটা সরঞ্জাম কেনার হিড়িক ●   মধ্যপাড়া পাথর খনি লোকসান কাটিয়ে লাভে পথে ●   ঝালকাঠিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ফাইলবন্ধী : বরাদ্ধের অর্থ প্রানীসম্পদ কর্মকর্তার পকেটে ●   ফটিকছড়িতে শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরাবানি পশুর হাট ●   রাঙামাটিতে হৃদের পানিতে ডুবে এক ছাত্র নিখোঁজ ●   শান্তিবাহিনীর সদস্যদের গণহত্যায় দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারের দাবি ●   চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকী-সম্পাদক রুবেল ●   দিন রাত টুং টাং শব্দ ছন্দ ফটিকছড়ির কামারের দোকান ●   রাঙামাটিতে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস উদযাপন ও বৃক্ষ রোপন ●   মার্কা নয় ব্যক্তি দেখে ভোট দেবেন : সারজিস আলম ●   তরুণ প্রজন্ম সুরক্ষায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ জরুরি ●   কষ্টিয়ায় হেলালের শেল্টারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজন গ্রেফতার ●   জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা : জনদুর্ভোগ ●   ফটিকছড়িতে তাল শাঁসের কদর বেড়েছে ●   দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলবাসে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বাস খাদে ●   ঈশ্বরগঞ্জে বাস-মাহেন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ●   আস্থা অর্জনে সরকারকে তাদের নিরপেক্ষ বৈশিষ্ট রক্ষা করতে হবে ●   প্রার্থীদের দলের প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক : ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি ও এসপিদের নেতৃত্বে জেলা কমিটি বাতিল : ইসি ●   ভেষজ শরবতের আয়ে সংসার চলে ফজলের ●   মানুষের মন বুঝতে না পারায় সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও বামপন্থীরা বড় কিছু করতে পারেনি ●   পিসিপি’র বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির প্রমান মিলেছে ●   মিরসরাইয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত-১ ●   ফটিকছড়িতে হেলে পড়েছে সাত তলা ভবন ●   বেতবুনিয়াতে ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের জায়গা বিক্রয়ের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর এর বিরুদ্ধে ●   রাঙামাটিতে আবু বক্কর সিদ্দিক এর বিরোদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসি
রাঙামাটি, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » ফসলের ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করে চলেছে মৌয়ালরা
প্রথম পাতা » কৃষি » ফসলের ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করে চলেছে মৌয়ালরা
রবিবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফসলের ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করে চলেছে মৌয়ালরা

---নওগাঁ প্রতিনিধি :: (১০ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.২৩মি.) আমড়া গাছের ঝোপের মধ্যে মৌমাছিদের বাসা, সেখানে প্রকান্ড এক চাক রয়েছে খাসা। এখন আর আমড়া গাছের ঝোপের মধ্যে নয় সরিষা খেতের পাশে বক্সের মধ্যে মৌমাছিদের বাসা। সত্যি আগের দিনে গ্রামের বনে জঙ্গলে গ্রামের পাশে বড় বড় গাছের মগ ডালে মৌমাছিদের প্রকান্ড প্রকান্ড মৌচাক সচরাচর চোখে পড়ত। এখন আর সেই আগের দিনের মত যেখানে সেখানে মৌচাক চোখে পড়েনা। আর এর জন্য অনেকেই কৃত্রিম পদ্ধতিতে চাষাবাদকে দায়ী করেছেন।
প্রতিটি ফসলে যে হারে কীটনাশক ব্যাবহার হচ্ছে আর আগের দিনের মত প্রাকৃতিক বনজঙ্গল উজাড় হয়ে যাচ্ছে ফলে যেখানে সেখানে বিভিন্ন ধরনের বনফুল সহ হরেক রকম ফুল ফোটেনা, চাষাবাদ করে কৃষকের ফসলের মাঠে যে টুকু ফুল ফোটে তাও আবার কীটনাশকের দাপটে বিষাক্ত থাকায় ওই ফুলে মৌমাছি সাধারণত বসতে পারেনা আর এই জন্যই আগের দিনের মত যেখানে সেখানে বড় বড় মৌচাকও চোখে পড়েনা।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে মানুষ আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় এখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌচাক তৈরী করে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে চলেছে। তারই বাস্তব চিত্র সাপাহার উপজেলা সদর সংলগ্ন সাপাহার-জবই বিল রাস্তার পার্শ্বে মানিকুড়া গ্রামের ফসলের ক্ষেতে দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার গোদাগাড়ী ও গোমস্তাপুর হতে দু’জন মৌয়াল ওই গ্রামের পাশে প্রায় ৫০বিঘা একটি সরিষা খেতের পাশে মধু চাষে তাদের মৌ-বক্স গুলি সারিবদ্ধভাবে বসিয়েছে। বুধবার বিকেলে গোদাগাড়ী পাহারপুর নামাজগ্রামের মধু চাষী আতাউর রহমান ও গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর আন্ধারইল গ্রামের আমিরুল ইসলাম এর সাথে আলাপ করে জানা গেছে তারা গত ২০০০সাল হতে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মধু চাষ শুরু করেন। শুরুর দিকে কয়েকটি মৌ-বক্স দিয়ে তারা ব্যাবসা শুরু করলেও বর্তমানে তাদের সংগ্রহে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ’টি মৌবাক রয়েছে। প্রতি ১০/১২দিন অন্তর তারা প্রতিটি বক্স থেকে ১০/১৫কেজি করে মধু সংগ্রহ করে থাকেন আর প্রতি কেজি খাঁটি মধু ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন। এতে মাত্র ৫মাসের ব্যাসায় তাদের ৫ থেকে ৭লক্ষাধিক টাকা তাদের আয়ও হয়ে থাকে। বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ মোট ৫মাস মৌচাকের ব্যাবসা করে মোটা অংকের টাকার মুখ দেখলেও বাঁকি ৭মাস লক্ষ লক্ষ মৌমাছিকে বেধেঁ রেখে খাওয়াতে তাদের প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচও হয়ে থাকে বলে তার জানান। তবে বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ ব্যাবসা তাদের বেশ ভালই লাগে বলেও তারা জানিয়েছেন।
এছাড়া আগের দিনে খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে হলে বড় বড় গাছের ডালে উঠে অনেক কষ্ট করে মধু সংগ্রহ করতে হত। এখন ডিজিটাল যুগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করতে তেমন কোন ঝামেলা হয়না সহজেই মধু সংগ্রহ করা যায় ও খাঁটি মধু পাওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে মধু চাষ বেকারত্ব দুর করতে একটি সফল পন্থা বলেও তারা মনে করেন। বক্স পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ বেশ পুরনো হলেও সাপাহার এলাকায় এ পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ একবোরে নতুন তাই বৈজ্ঞানিক ও তৈরীকৃত কাঠের বক্স এর মধু সংগ্রহ পদ্ধতি দেখতে এলাকার শত শত দর্শক এখন ওই মাঠে ভিড় জমাচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)