শিরোনাম:
●   ঝালকাঠির সুগন্ধায় লঞ্চে আগুন : সেই রাতের স্মৃতি আজও কাঁদায় ●   এসএসসি’৯৭ মিরসরাই উপজেলা তৃতীয় পুনর্মিলনী বৃহস্পতিবার ●   পার্বতীপুরে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ প্রস্তুতি সম্পন্ন ●   রাউজানে আবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে আগুন ●   নবীগঞ্জে কৃষি জমি রক্ষায় অভিযান : অবৈধ মাটি কাটায় অর্থদন্ড ●   রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় না নিয়ে দূর্বৃত্ত সন্ত্রাসীসের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিন ●   বেতবুনিয়ায় ইউএনডিপি এলভিএমএফের ২ দিনের ইয়ুথ ক্যাম্প সম্পন্ন ●   মিরসরাই আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ ●   ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ●   রাঙামাটিতে দৈনিক ইত্তেফাক-এর ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ●   রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জুঁই চাকমা রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়ন জমা ●   ঈশ্বরগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ১১ ●   রোগ তালিকার শীর্ষে উচ্চ রক্তচাপ, নিরবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহের আহ্বান ●   দলীয় মনোনয়ন হাতে পেলেন রাঙামাটি-২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জুঁই চাকমা ●   রাউজানে এলজি ও কার্তুজ উদ্ধার ●   নবীগঞ্জে বীর মুক্তিযুদ্ধা সমরেন্দ্র দাশের পরলোক গমন ●   বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা খোলাবাজারে বিক্রির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ●   শিশু সন্তানকে ফেলে সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া, বিচার চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার স্বামী ●   দীপু দাসের লাশকে ঝুলিয়ে পোড়ানোর বিভৎসতা গণআতংক তৈরী করেছে ●   ইট ভাটা চালুর দাবিতে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ ●   কাউখালীতে ফেরিওয়ালা নিখোঁজ ●   ঝালকাঠিতে সাবেক মেয়র রানা আটক ●   দেখা নেই সূর্যের, আত্রাইয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা ●   রাউজান যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা ●   পার্বতীপুরে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ●   রাউজানে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার ●   আক্রান্ত প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবন পরিদর্শনে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ●   কাপ্তাই হ্রদে কায়াকিং করার সময় পর্যটকের মৃত্যু ●   ঈশান তালুকদার বাড়ী মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে আচারিয পূজা, অষ্ট পরিস্কার ও সংঘদান অনুষ্টান অনুষ্ঠিত ●   ৬ দফা দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » নওগাঁ » বৈশাখের স্বপ্ন চোখে কাগজের কৃত্রিম ফুল তৈরির কারিগররা
প্রথম পাতা » নওগাঁ » বৈশাখের স্বপ্ন চোখে কাগজের কৃত্রিম ফুল তৈরির কারিগররা
রবিবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বৈশাখের স্বপ্ন চোখে কাগজের কৃত্রিম ফুল তৈরির কারিগররা

---আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: (২৫ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩.০৭মি.) “এসো হে বৈশাখ এসো এসো” আসছে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এর পরই পহেলা বৈশাখ। ইতোমধ্যেই বৈশাখ বাঙালির ঘরের কড়া নাড়ছে। জীর্ণতা আর পুরানো সব গ্লানি মুছে বৈশাখ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসছে নতুন দিনের নতুন বছরের এক অনন্য আনন্দ উৎসব। আর এই বৈশাখকে বরণ করার জন্য চলছে নানান প্রস্তুতি। আর এই বৈশাখকে সামনে রেখে নানান রঙের ও প্রকারের বাহারী কাগজ, কাপড় ও শোলা দিয়ে কৃত্রিম ফুল তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার জামগ্রামের এই কুঠির শিল্পের ছোট-বড় কারিগররা। এই গ্রামে গোলাপ, স্টার, সূর্যমুখি, কিরনমালা, মানিক চাঁদ, জবা, বিস্কুট, গাঁদা সহ বিভিন্ন নামের ফুল তৈরি করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়েনের একেবারেই অবহেলিত একটি গ্রাম জামগ্রাম। নেই কোন ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাদেশের মধ্যে এটিই একমাত্র গ্রাম যেখানে কাগজ, কাপড় ও শোলার রঙ্গিন বাহারী বিভিন্ন রকমের কৃত্রিম ফুল তৈরি করা হয়। এখানকার তৈরি ফুলই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন উৎসব, ঈদ ও মেলাতে পুরুষরা নিয়ে গিয়ে ফেরি করে বিক্রয় করে। লাভও দ্বিগুন। কিন্তু যোগ্য পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এখনো এই হস্ত শিল্পটি আধুনকিতার দ্বোড় গোড়ায় পৌছেনি। গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়বে গাছের ছাঁয়া ভেজা বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন মিলে বসে বসে তৈরি করছে এই ফুলগুলো। বাংলাদেশের মধ্যে নানান রঙ্গের মন কাড়ানো এই সব বাহারী রঙ্গিন ফুল তৈরিতে এই জামগ্রামই একমাত্র গ্রাম। শুধুমাত্র এই গ্রামেই তৈরি করা হয় এই সব ফুল। তৈরির পর পরিবারের পুরুষরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে বিক্রয় করে। তবে দুই ঈদে, বিভিন্ন পূজা, মেলা ও পহেলা বৈশাখে এই সব ফুলের চাহিদা অনেক বেশি। প্রায় ৫০-৬০ বছর পূর্বে গ্রামে এই ফুল তৈরি করা শুরু হয় কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের হাত ধরে। এখন তা পুরো গ্রামের মানুষের বেঁচে থাকা ও আয়ের একমাত্র উৎসে পরিণত হয়েছে। এই ফুলে লাভ অনেক বেশি। একটি ফুল প্রায় দ্বিগুন মূল্যে বিক্রয় হয়। বর্তমানে এই গ্রামের প্রায় ৭শ পরিবার এই বাহারী ফুল তৈরি করার কাজে নিয়োজিত। সংসার দেখভাল করার পাশাপাশি এই গ্রামের মহিলা, পুরুষ ও ছোট-বড় সবাই এই ফুল তৈরি করার কাজ করে।

জামগ্রাম গ্রামের মো: রফিকুল ইসলাম জানান, এক সময় এই গ্রাম খুবই অবহেলিত ছিল। রাস্তা-ঘাট কোনটিই ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে একটু হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এই গ্রামে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসে নাই। তাই এই সব কারিগররা শত ইচ্ছে থাকলেও রাতে এই ফুল তৈরির কাজ করতে পারে না। তাই আমাদের এই শিল্পটিকে আরো গতিশীল করার জন্য আমাদের প্রয়োজন আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ।

মোছা: নিশাত আনজুমান জানান, আমরা আমাদের সংসারের সব কাজ সম্পন্ন করে পরিবারের পুরুষদের এই ফুল তৈরিতে সাহায্য করি। এই ফুলগুলোতে লাভ অনেক বেশি। আগে পুরুষরা বাহিরে গেলে দুবৃর্ত্তরা মাঝে মাঝে সবকিছু ছিনতাই করে নিতো কিন্তু এখন আর তা হয় না। এখন শুধু আমাদের এই গ্রামটিকে আধুনিক মান সম্মত গ্রামে পরিণত করা প্রয়োজন।
---মো. জনি সোনার জানান, ফুল তৈরিতে পরিবারের গৃহিণীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন বে-সরকারি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এই ব্যবসা করে আসছে। তাই মাস শেষে লাভের বেশি ভাগই দিতে হয় এই সব এনজিওতে। তাই সরকার যদি এই শিল্পর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য বিনা সুদে ঋণ দিতো তাহলে এই হস্ত কুঠির শিল্পটি আগামীতে আরো বেশি সম্প্রসারিত হতো। তাই এই গ্রামবাসীর সরাসরি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অত্যন্ত প্রয়োজন।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম জানান, এটি একটি ঐতিহ্যপূর্ন শিল্প। যার কদর সারা দেশে। সৌখিন মানুষ ও শিশুদের কাছে এই বাহারী কৃত্রিম ফুলগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। এই শিল্পটিকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য সরকারের কাজ করা উচিত। এই গ্রামের মানুষদের আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে পারলে তারা এই শিল্পটিকে আরো অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। এতে সরকার এই শিল্প থেকে অনেক অর্থ রাজস্ব হিসাবে আয় করতে পারবে। এই সব কারিগরদের জন্য যদি হস্ত শিল্পটির উপড় উন্নত মানের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হতো তাহলে এই শিল্পটি আরো আধুনিক মান সম্মত হতো। আমি চেষ্টা করবো এই গ্রামের মানুষদের কে আরো বেশি বেশি সহযোগিতা করার জন্য।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)