শুক্রবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন : প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি
৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন : প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি
৯ মার্চ ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণির মর্যাদা এবং ৬৪০০/- টাকা এবং সহকারি শিক্ষকদের একধাপ বেতন বৃদ্ধি করিয়া ৫২০০/- টাকা স্কেল ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী সহকারি শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ হয়েছে। কিন্তু সারাদেশে প্রধান শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলেও আজ পর্যন্ত কোন সমাধান হয় নাই। প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার কারণে ৯ মার্চ ২০১৪ তারিখের পর থেকে প্রধান শিক্ষকদের পাওনা টাইম স্কেল বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ যে সকল প্রধান শিক্ষক ৩য় টাইম স্কেল পেয়ে ৭ম জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৮০০০/- টাকা স্কেলে বেতন পেত। বর্তমান স্কেল অনুযায়ী তাদের বেতন ১৬০০০/- টাকা স্কেলে (১০ম ধাপে) নির্ধারণ হওয়ার কথা কিন্তু তাদের বেতন ১২৫০০/- টাকা স্কেলে (১১তম ধাপে) নির্ধারণ করতে হচ্ছে। এতে করে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষকেরা প্রতি মাসে প্রায় ৫০০০/- টাকা কম বেতন পাবেন। ২য় শ্রেণির মর্যাদার পর বেতন নির্ধারণে জটিলতা দূর করার জন্য প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমিতির নেতৃবৃন্দ একাধিকবার আবেদন, বৈঠক করলেও মন্ত্রণালয়ের অনীহার কারণে কোন সমাধান হয় নাই। দুই মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ৯ মার্চ ২০১৪ তারিখে প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণির মর্যাদা ঘোষণার পর প্রধান শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে চাকুরী জীবনে যে যতটা টাইম স্কেল পেয়েছে ঘোষিত ৬৪০০/- টাকা স্কেলের সঙ্গে ততটা টাইম স্কেল যোগ করে বেতন নির্ধারণ করলে প্রায় ৪০ হাজার প্রধান শিক্ষক আর্থিকভাবে ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রী, অর্থ সচিব এবং প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড মর্যাদাসহ বেতন নির্ধারণের এ জটিলতা অবিলম্বে সমাধান করা না হলে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আবারো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)