মঙ্গলবার ● ৯ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ৭ পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশ
ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ৭ পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের অমিত শিকদার নামের এক চাকুরি জীবিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ৭ পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী নিদের্শ দিয়েছেন ঝিনাইদহ আদালত। আগামী ২৯ এপ্রিল তারিখের মধ্যে দায়ি পুলিশ সদস্যদের সকলের বর্তমান অবস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা আদালতে সরবারহ করার নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম। দায়ি পুলিশ সদস্যরা হলেন-কালীগঞ্জ থানার ২০১৬ সালে কর্মরত এস আই লিটন কুমার, এস আই বিশ্বজিত পাল, এ এস আই গাফফার, ২ জন কনস্টেবল, ওসি ও ডিউটি অফিসার। আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলার চাকুরিজীবি অমিত শিকদার ও কার্তিক বিশ্বাস রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে কাশিপুর রেলগেট এলাকায় পৌছালে ডাইরি এন্ট্রি না করে বের হওয়া কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল তাদের পথরোধ করে দেহ তল্লাসী করে। তল্লাসী শেষে ২ জন কনস্টেবল অমিত শিকদারকে নসিমনে করে থানায় নিয়ে আসে এবং কার্তিক বিশ্বাসকে মোটর সাইকেলে থানায় নিয়ে আসে এ এস আই গাফফার। রাতভর অমিত শিকদার ও কার্তিক বিশ্বাসকে থানায় আটকে রাখে। পরদিন সকালে ৫২১ ও ৫২৯ নম্বর ডাইরি এন্ট্রি করে এবং কার্তিক বিশ্বাসকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই দিন থানায় কর্মরত এস আই লিটন কুমার বিশ্বাস মিথ্যা জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে ইয়াবা দিয়ে অমিত শিকদারকে চালান দেয়। মামলা নং-৫, তারিখ-১১/০৩/১৬। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিশ্বজিত পাল স্বাক্ষীদের ১৬১ ধারায় অসত্য জবানবন্দী রেকর্ড করে ও অসত্য পুলিশ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির বিচার হয়। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় অমিত শিকদার ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে আদালতে দরখাস্ত জমা দেয়। দরখাস্তটি মিস মামলা হিসেবে অর্ন্তভূক্ত হয়। পরবর্তীতে আদালত মিস মামলাটির তদন্ত করতে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাসকে দ্বায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার পর আদালত ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারকে উক্ত ৫ জন পুলিশ সদস্য, সেই সময়ে অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ও ডিউটি অফিসার মাজেদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এছাড়াও অধিকতর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চলতি মাসে ২৯ তারিখে ৭ জনের বর্তমান অবস্থান ও স্থানীয় ঠিকানা আদালতে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এস আই লিটন কুমার, এস আই বিশ্বজিত পাল বর্তমানে র্যাবে, এ এস আই গাফফার দামুড়হুদা থানায় কর্মরত আছেন। এছাড়াও সে সময় ওসি আনোয়ার হোসেন ছুটিতে থাকায় দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সেকেন্ড অফিসার এস আই ইমরান বর্তমান ডিএসবিতে ওসি হিসাবে কর্মরত আছেন।





ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত
কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ