শিরোনাম:
●   কাপ্তাই হ্রদ বাঁচাতে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে রাঙামাটিতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী ●   কল্পনা অপহরণ মামলা খারিজের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে গণবিক্ষোভ ●   নিখোঁজ তরুণী উদ্ধার হওয়ার পরেও বাড়িতে ফেরাতে পারেনি পরিবার ●   ঈশ্বরগঞ্জে প্রার্থীদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা ●   গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একশ্রেণীর মাফিয়া চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে ●   বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রেস ইউনিটির নাম সংশোধন ●   রাবিপ্রবিতে GST গুচ্ছভুক্ত B ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে আহত-৪ ●   বান্দরবানে শিশু আইন-২০১৩ শীর্ষক ২ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ●   রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মাদকসহ গ্রেফতার-৫ ●   ঘোড়াঘাটে খাদ্য গুদাম সিলগালা কর্মকর্তা উধাও ●   নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হলেন সাংবাদিক লিয়াকত ●   সন্দ্বীপে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে গবাদি পশু বিতরণ ●   লন্ডনে এনায়েত খান মহিলা কলেজের সকল সদস্যদের মিলন মেলা ●   রেলের ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত ●   কাপ্তাই লেকে বেআইনী অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা দেড় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি ●   মহান মে দিবস ও শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম ●   পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ, সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ●   আত্রাইয়ে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন ●   ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ●   স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার ●   সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলতে পারলেই স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   রুমার জঙ্গল থেকে গুলিবিদ্ধ দুইটি মরদেহ উদ্ধার ●   কাউখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ক মতবিনিময় সভা ●   মিরসরাইয়ে এসএসসি ২০২০ ব্যাচের দিবারাত্রি অলিম্পিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ●   ২০২৩ সালের সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুনাইদ ●   পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ের চিত্র বদলে দিয়েছে : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ●   ৮ বছর পর খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন ●   ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলুন ●   রাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
রাঙামাটি, রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শুন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শুন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল
৭১৫ বার পঠিত
রবিবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শুন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল

---ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: বিশ্বাস করুন আর নাই করুন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে গত এক মাস ধরে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। শিশু ও গাইনি ছাড়া সব বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শুন্য রয়েছে। সবচে গুরংত্বপুর্ন অজ্ঞান, কার্ডিওলজি, মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় ১৮ লাখ মানুষের চিকিৎসা কেন্দ্রটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রতিদিন প্রায় পনের’শ রোগী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দুরদুরান্তের রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শুন্য থাকায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমান ওষুধ ‘মিসইউস’ হচ্ছে। মেডিসিনের কাজ ডাঃ জাকির হোসেনকে দিয়ে চালানো হচ্ছে। বলা যায় তিনিই এখন গোটা হাসপাতাল সামলাচ্ছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে একজন তত্বাবধায়ক, একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ইর্মাজেন্সি মেডিকেল অফিসার ও বিভিন্ন বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ধরে মোট ৪০ জন মেডিকেল অফিসারের পদ রয়েছে। এ সব পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১৬ জন। এর মধ্যে আবার তিনজন ডেপুটেশনে কাজ করছেন। বাকী ২৪টি পড়ে কোন চিকিৎসক নেই। যারা আছেন, তাদের মধ্যে প্রশাসনকি পদের অনেকেই ট্রেনিংয়ে ও মেডিকেল অফিসররা প্রায় জরুরী প্রয়োজনে সিএল, পোষ্টমটেম, মেডিকেল বোর্ডে, ভিকটিম ও কোর্টে হাজিরা দিয়ে থাকেন। এতে চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন এই ১৬ জন ডাক্তারের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে আসতে পারেন না। শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে দেখা গেছে তত্বাবধায়ক ডাঃ আইয়ূব আলী জরুরী কাজে খুলনা গেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে কোন রোগী নেই। সুত্র জানায়, নভেম্বর মাসে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদোন্নতি পেয়ে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে চলে গেছেন। সেই সব পদে এখনো কোন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়নি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান অফিসার আব্দুল কাদের জানান, বর্তমানে হাসপাতালে নাক-কান-গলা, হাড়জোড়, চক্ষু, অজ্ঞান, কার্ডিওলজি, মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। গাইনি বিভাগে ডাঃ আলাউদ্দীন ও শিশু বিভাগে ডাঃ আনোয়ারুল কর্মরত আছেন। সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ জাহিদকে জরুরী প্রয়োজনে ডেপুটিশেন দিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সবচে গুরুত্বপুর্ন অজ্ঞান বিভাগে কোন চিকিৎসক নেই। অজ্ঞান বিভাগে ডাঃ আব্দুর রহমানকে ডেপুটেশনে কাজ করানো হচ্ছে। তত্বাবধায়ক পদটিতেও ডাঃ আইয়ুব আলীকে ডেপুটেশনে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের সব অপারেশন বন্ধের পথে। এক কথায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল। স্বাস্থ্য সচিবের বাড়ি ঝিনাইদহে হলেও এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চুপ বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। সাধুহাটী ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসার জন্য আসা রোকনুজ্জামান নামে এক টাইলস মিস্ত্রি অভিযোগ করেন, আমরা ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানায়। অথচ তারা আমাদের সমস্যা দেখেন না। হাসপাতালে এসে শুনি বছরের পর বছর ডাক্তার থাকে না। কোন পদায়ন নেই। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন জনপ্রতিনিধিরা আসলে করেন কি ? হিরা খাতুন নামে এক রোগী জানান, তারা হাসপাতালে এসে বেড পান না। অনেক রোগী মেঝে, বারান্দা ও সিড়ি ঘরে চিকিৎসা নেন। অথচ আড়াই’শ বেডের নতুন ভবনটি আজো চালু হচ্ছে না। জুয়েল মাজহার নামে এক ছাত্র অভিযোগ করেন, তিনি কানের ডাক্তারের কাছে এসেছিলেন। কিন্তু এসে জানতে পারেন এই বিভাগে কোন চিকিৎসকই নেই। জুয়েলের মতো ১০/১২ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে তাদের ক্ষোভ ও অসন্তোষের কথা জানান। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অপুর্ব কুমার জানান, পদোন্নতি পাওয়ায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চলে গেছেন। সে সব পদে কোন ডাক্তার আসেনি। তিনি বলেন প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নেন। আর ভর্তি হন তিন’শর উপরে। এই বিশাল রোগীর চাপ ডাক্তার সংকটের কারণে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।

ঝিনাইদহে এখন শুধুই শীতের তীব্রতা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করার পর হঠাৎ করেই বেড়েছে শীত। শীত বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্মে কিছুটা স্থবিরতা এসেছে। ভোরে কাজে বের হতে গিয়ে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে অনেকেই চেষ্টা করছেন শীত নিবারণের। সকালের দিকে পথঘাট কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারনে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবি, পথচারী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। বিশেষ করে মৃদু বাতাস দুর্ভোগের মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন ডিসিকোর্ট এলাকার চা দোকানী মনছুর আলী বলেন, শীতের কারণে বাড়ী থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সকাল ১০ টা বাজলেও সুর্যের দেখা নেই। এতে শীত আরও বেড়েছে। শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কৃষক দবির উদ্দিন বলেন, সকালে মাঠে কাজ করতে যেতে পারছি না। শীতের সাথে সাথে হালকা বাতালে শরীরে কাপুনি উঠে যাচ্ছে। এজন্য অনেক বেলা পর্যন্ত বাড়ীতেই বসে থাকতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, ছিন্নমুল ও অসহায় মানুষের শীত নিবারণের জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গভীর রাত ও দিনের বিভিন্ন সময় কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

শৈলকুপায় অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে হাজার হাজার মণ কাঠ : পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা
ঝিনাইদহ :: ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ২৬টি ইটভাটা, যার মধ্যে ২৩টি অবৈধ। এসব ভাটায় প্রতিদিন পুড়ছে হাজার হাজার মণ কাঠ। আবাসিক পরিবেশ দূষণসহ ফসলী জমিতে গড়ে ওঠা ভাটাসমূহে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, নেই লাইসেন্স। সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্সের ধার না ধেরে উপজেলায় চলছে প্রায় ২ ডজন অবৈধ ইটভাটা। নীতিমালা লঙ্ঘন করে লোকালয় ও কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটাগুলো। কয়েকটি ভাটায় লোক দেখাতে কয়লার স্তুপ সামনে রেখে পেছন থেকে পোড়ানো হয় প্রতিদিন শত শত মন কাঠ। ড্রামচিমনি দিয়ে কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে লোকালয়ে। অথচ ইট প্রস্তুুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা ও কৃষিজমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। যেখানে ১২০ ফিট গাঁথুনি চিমনী থাকার কথা সেখানে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ ফিট ড্রাম চিমনীর মাধ্যমে ধোঁয়া উড়িয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটানো হচ্ছে। এছাড়াও ইটের সঠিক মাপ থাকার কথা ১০-৫-৩ ইঞ্চি। অথচ পুড়ানোর পর ইটের মাপ ৮ থেকে ৯ ইঞ্চির বেশী পাওয়া যায় না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বড়িয়া ইমরান ব্রিকস, এমই ও গ্রীন ব্রিকস, মহম্মদপুর স্টার ব্রিকস, হরিহরা টিটু ব্রিকস, দুধসর মিলন ব্রিকস ও শাহ ব্রিকস, ষষ্ঠিবর বর্ষা ব্রিকস, মাঠপাড়া বিএন্ডসি ব্রিকস ও চুন্টি ব্রিকস, আওশিয়া শাকিব ও শান ব্রিকস, হাটফাজিলপুর মোল্লা ও রাতুল ব্রিকসসহ বেশিরভাগ ইটভাটা জনবসতি এলাকায় এবং কৃষিজমির পাশে গড়ে উঠেছে। এসব ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স না দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। শ্রমিকরা জানান, এক একটি ভাটায় প্রতিদিন কাঠ পুড়ানো হয় প্রায় ৩শ থেকে ৪শ মণ। ২৬টি ভাটায় প্রতিদিন কাঠ পোড়ানো হয় প্রায় সাড়ে ৭হাজার মণ। ভাটাগুলোর পাশে রয়েছে কলা বাগান, কপিক্ষেত, মটর, বেগুন, ও ধানখেত। আর ১০০ থেকে ১৫০ গজের মধ্যে রয়েছে জনবসতি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই লোকালয় ও আবাদি জমির পাশে ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ইটভাটার মালিকরা বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬শে মার্চ ২১শে ফেব্রুয়ারীসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মসুচীর চাঁদাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তাঁরা এসব ইটভাটা চালাচ্ছেন। কৃষকরা জানান, কৃষিজমিতে বা জমির পাশে এসব ইটভাটা স্থাপন করায় তাঁদের ফসলের ক্ষতি হয়। ভালো ফলন পাওয়া যায় না। এসব ইটভাটার মালিকেরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁরা প্রতিবাদ করতেও সাহস পায়না। কৃষকদের এসব অভিযোগ সঠিক হিসেবে উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা ঠিক না। ফসলি জমির পাশে ইটভাটা স্থাপন করায় ফসলের উৎপাদন কম হয়। ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে এসব লক্ষ রাখা উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। শৈলকুপা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের নিকট জানলাম তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঝিনাইদহ মধুহাটি ভুমি অফিসে নানা কৌশলে চলছে ব্যাপক হয়রানি
ঝিনাইদহ :: ভিটে বাড়ি জমির ভুমি উন্নয়নের কর দিবেন কৃষক মজনুর রহমান ওরফে মজনু। তাই তিনি গেলেন ভুমি অফিসে। ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তা (নায়েব) বারবার হিসাব কষছেন, কখনও খাতা কলমে আবার কখনও মৌখিক ভাবে ক্যালকুলেটরের সাহায্যে। তিনি জানালেন, ৬ হাজার টাকা ছাড়া কখনও-ই কর পরিশোধ করা সম্ভব নয়। একটু কম দিয়ে কাজটি করে নিতে ঘুরছেন প্রায় ৪ মাস। কিন্তু হল না। নায়েবের হিসাব মত দুই দফায় ৬’হাজার টাকা পরিশোধ করলেন। এরপর একদিন হাসি খুশি মুখে নায়েব নানা বয়ান শুনিয়ে মজনুর হাতে দেয় মাত্র ৩ (তিন) টাকা ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধের একটি রশিদ। তিনি বাকি টাকার হিসাব জানতে চাইলেন এতে রাগে ক্ষোভে দূর্ব্যহার করে অফিসের বাইরে যেতে বলা হল তাকে। মজনু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের নওদাপাড়ার ওয়াসেল আলি কবিরাজের ছেলে। তিনি এমনই ভাবে অভিযোগ করলেন তার ইউনিয়নের ভুমি সহকারি কর্মকর্তা ইলতুত মিসের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ ও অভিজ্ঞতা শুধু মজনুর নয়। নায়েবের বিরুদ্ধে একাধিক কৃষকের কর পরিশোধের রশিদ ছিড়ে অপমান অপদস্ত করাসহ, ক্ষমতার অপব্যবহার, কৌশলে ঘুষ বানিজ্য রাজনৈতিক গল্প ফেঁদে কৃষকদের নাজেহাল করার অভিযোগের অন্ত:নেই। এবিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগি কৃষক লিখিত অভিযোগ করেছেন। অনুসন্ধান ও অভিযোগ জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের ভুমি অফিসের ভুমি সহকারি কর্মকর্তা হিসাবে ইলতুত মিস যোগদান করার পর থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেবা নিতে আসা কৃষকদের নানা ভাবে হয়রানি করে লাগামহীন ভাবে অর্থ বানিজ্য করে চলেছে। তিনি- ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের ওয়াসেল আলি কবিরাজের ছেলে মজনুর রহমান ওরফে মজনুর নিকট থেকে ৬’হাজার টাকা নিয়ে ৩ (তিন) টাকার ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রসিদ, ওয়াড়িয়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন মনার নিকট থেকে ১৩’শ টাকায় ২’শ ৬০ টাকার, লাল মোহাম্মদের ছেলে আকরাম হোসেনের নিকট থেকে ৪’হাজার টাকায় ২’হাজার ১৮ টাকার রসিদ, চোরকোল গ্রামের রমিজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে বাচ্চু মোল্লার নিকট থেকে ১’হাজার ৮’শ টাকা নিলেও ৯০ ও ১৯০ টাকার পৃথক দুইটি রসিদ দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। মামুনশিয়া গ্রামের তালেব মিয়ার ছেলে মতিয়ার রহমান মতির নিকট থেকে ৩’হাজার টাকায় দেড়’শ টাকার, আব্দুল আজিজের ছেলে লাল মিয়ার ২’হাজার ৫’শ টাকায় ১৬ টাকার, এছাড়া চোরকোল গ্রামের চাঁদ মন্ডলের ছেলে কামাল হোসেন, দাউদ হোসেনের ছেলে জিয়া উদ্দিনের নাম পত্তন রিপোর্ট দেয়ার জন্য ৫’শ টাকা রসিদ ছাড়া নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে শ্যামনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে কাশের আলির জমি নামপত্তন করার জন্য ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রসিদ এবং দলিল দেয়ার সময় ৫’শ টাকা নেয়ার পরও ২’হাজার ২’শ টাকা আরও দাবি করা হয়েছে। এ টাকা পরিশোধ না করলে কাজ হবেনা বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এছাড়া কামতা গ্রামের হাবিবুল্লাহ মিয়ার ছেলের নিকট থেকে ১’হাজার টাকা নিলেও ১০ টাকার ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রসিদ, ওয়াড়িয়া গ্রামের ছামসুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে মদিনের নিকট থেকে ৩’হাজার টাকা নেয়া হলেও তাকে ভুমি উন্নয়ন কর রসিদ দেয়া হয়নি। তার নিকট গেলেও রসিদ এমনকি টাকা কোন টাই তিনি ফেরত দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে মামুনশিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে লাল মিয়ার এবং বাজার গোপালপুরের পাঁচু মন্ডলের ছেলে রেজাউল ইসলামের ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রসিদ ছিড়ে ফেলা এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কোন কৃষক দেনায় জরাজীর্ণ হয়ে বা বিপদে পড়ে একপ্রকার বাধ্য হয়ে তার শেষ সম্বল জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। কৃষক জমি বিক্রির পর জমির ক্রেতা রেজিস্ট্রির জন্য তাগাদা দেন। এসময় জমি বিক্রিত ঐই কৃষকের নিকট নগদ টাকা থাকে। তিনি রেজিস্ট্রি করে দেবার জন্য ভুমি অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদের জন্য ভুমি সহকারি কর্মকর্তার নিকট যান। তখন তিনি কৃষকের হাতের নগদ টাকার সন্ধান পেয়ে নানা কৌশলে হয়রানি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগি কৃষক নায়েবের চাহিদা মত টাকা দিতে বাধ্য হয়। এবিষয়ে চোরকোল গ্রামের ভুক্তভোগি গোলজার হোসেন বলেন, তিনি (ভুমি সহকারি কর্মকর্তা) লেখা-পড়া জানাতে পারেন, সরকারি চাকুরিও করতে পারেন, তবে লোক হিসাবে ভালো নয়। কারন হিসাবে তিনি বলেন, গ্রামের কৃষকরা তার নিকট গেলে আজ যেভাবে হেনস্ত হচ্ছে। পূর্বে কোন ভুমি সহকারি কর্মকর্তার নিকট থেকে এমনটা হয়নি। এমকি তিনি নিজেও একজন ভুক্তভোগি। এব্যাপারে মামুনশিয়া গ্রামের মেম্বর ও আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, আমার গ্রামের একাধিক কৃষককে হয়রানি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। তারা আমার নিকট এমন অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক সঠিক ব্যবস্থার গ্রহন করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। ভুক্তভোগি মামুনশিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আনছার আলি জানান, আমাদের জমির জন্য গেলে, তিনি বাড়ির জমির ভুমি কর পরিশোধের রসিদ আনতে বলেন। রসিদ নিয়ে গেলে তিনি বলেন এটা সঠিক বা বৈধ ভাবে দেয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, এটা নিয়ে আমি পূর্বের অফিসারের সাথে কথা বলে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করবেন বলে তিনি জানান। আবার অভিযুক্ত ২নং মধুহাটি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ভুমি সহকারি কর্মকর্তা ইলতুত মিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার অফিসে দালাল মুক্ত করার জন্য কিছু লোকজনকে আমি বের করে দিয়েছি। আর কিছু লোক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও তিনি অভিযোগ করে বলেন। এঘটনায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদ্দোজা শুভ কথাগুলো শুনে কোন মন্তব্য করেননি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইউনিয়নের ভুক্তভোগি কৃষকবৃন্দ।





করোনা আপডেট এর আরও খবর

সিগারেট ফিল্টার ও ভেপিং প্লাস্টিক দূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে প্রজ্ঞা-আত্মার বৈঠক সিগারেট ফিল্টার ও ভেপিং প্লাস্টিক দূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে প্রজ্ঞা-আত্মার বৈঠক
আত্রাইয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হাজার-হাজার মানুষ আত্রাইয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হাজার-হাজার মানুষ
গাইনি চিকিৎসকের অবহেলায় আবারো বন্ধ হতে যাচ্ছে অপারেশন কার্যক্রম গাইনি চিকিৎসকের অবহেলায় আবারো বন্ধ হতে যাচ্ছে অপারেশন কার্যক্রম
ঝালকাঠি সদর হাসপতালে ১ মাস থেকে কার্যক্রম বন্ধ প্যাথলজির সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা ঝালকাঠি সদর হাসপতালে ১ মাস থেকে কার্যক্রম বন্ধ প্যাথলজির সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা
রাঙামাটি আরপিটিআইতে কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ বিষয়ে ৫দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনি রাঙামাটি আরপিটিআইতে কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ বিষয়ে ৫দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনি
নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ সার্জনের অভাবে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ সার্জনের অভাবে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত
চোখে ভাইরাস লাগা রোগের প্রকোপ চরমে চোখে ভাইরাস লাগা রোগের প্রকোপ চরমে
সিলেটে স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সিলেটে স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ সময়োপযোগী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ সময়োপযোগী
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)