শনিবার ● ৭ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » মুজিববর্ষে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘সম্প্রীতির সুষমা’
মুজিববর্ষে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘সম্প্রীতির সুষমা’
গাইবান্ধা :: মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতীয় শিল্পীদের ‘সম্প্রীতির সুষমা’ যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ও শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা আজ শনিবার গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি এই চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ঢাকাস্থ চারু শিল্পীদের সংগঠন চিত্রকল্প নামে সংগঠনটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসকেএস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ৭ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ১১ দিনব্যাপী এই চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্র শিল্পী শাহ মাইনুল ইসলাম শিল্পুর সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক, এসকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহমেদ লিটন এবং ভারতের কুচবিহারের দিনহাটার উত্তর বাংলা চারুকলা সোসাইটির সেক্রেটারী রতীন্দ্র নাথ সাহা ও চিত্রকল্পের আহবায়ক মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শিরিন আকতার।
ভারতের ৮ জন ও বাংলাদেশের ১২ জন শিল্পীর চিত্র প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনীতে ভারতীয় শিল্পী রতীন্দ্র নাথ সাহা, বিপদভঞ্জন সিকদার, বিমল দে সরকার, তরুণ কুমার মিত্র, মনতোষ বসাক, উত্তম বর্মন, জীবন বর্মন, অনুকুল বর্মন এবং বাংলাদেশের শিল্য্পী ইসতিয়াক তালুকদার সানি, আলাউদ্দীন আহমেদ, শাহ মাইনুল ইসলাম শিল্পু, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ইমরুল, আব্দুল মতিন, শিশির মল্লিক, উম্মে হাবিবা সুমি, মেহেদী হাসান, সাঈম মুনীর, সন্দীপ কুমার দেবনাথ, মাহিন মাহনুমা পালোমা ও বাসুদেব সাহার জলরং, তেল রং, এ্যাক্রিলিক, মিশ্র, কাগজ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, স্বাধীনতা যুদ্ধ, প্রকৃতি পরিবেশ নিয়ে আঁকা চিত্র প্রদর্শিত হয়।
সন্ধ্যায় পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরে শিশু শিল্পীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং শিশু শিল্পীদের কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি গাইবান্ধায় চণ্ডিপুর উপজেলা বাস্তবায়নের দাবি
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘চণ্ডিপুর উপজেলা’ নামে নতুন একটি উপজেলা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবিত চণ্ডিপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। পরে একই দাবিতে কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সম্পাদক এবিএম নুরুল আখতার। এতে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলার অন্তর্ভূক্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। যার আয়তন ৪২৬.৫২ বর্গ কি.মি.। পশ্চিম এলাকার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং পূর্বে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কঞ্চিবাড়ি, হরিপুর, শান্তিরাম ও ছাপড়হাটি। চণ্ডিপুর ইউনিয়নটি বর্তমান উপজেলার মধ্যস্থলে অবস্থিত এবং বাণিজ্যিক এলাকা।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের দূরত্ব ৪০ থেকে ৪৫ কি.মি.। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানভেদে তার চেয়েও দূরবর্তী হওয়ায় এই ৭টি ইউনিয়নের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা পাওয়া অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ১৯৮৩ সালে উল্লেখিত ৭টি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী চণ্ডিপুর ইউনিয়নকে উপজেলায় রুপান্তর করার জন্য আবেদন করা হয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রস্তাবিত চণ্ডিপুর উপজেলা নামকরণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার স্মারক নং ৪৭০/এল.জি, তারিখ-২৮/৮/১৯৮৪। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে একনেকে প্রস্তাবিত ‘চণ্ডিপুর উপজেলা’ বাস্তবায়ন করার আবেদন অনুমোদন করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য মো. জামিউল আনছারী লিংকন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী মোস্তফা মাসুম, চণ্ডিপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আ.ব.ম শরিয়ত উল্ল্যাহ, চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফুলমিয়া প্রমুখ।