শিরোনাম:
●   আলীকদমে ইয়াবা উদ্ধার : আটক-৩ ●   রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ●   ফটিকছড়িতে ৫ ডাকাত গ্রেফতার ●   কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের করোনা পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি ●   নরসিংদীতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ●   লন্ডন বৈঠক রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সন্দেহ অবিশ্বাস অনেকখানি দূর করবে ●   রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ●   ২১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসীকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শুভেচ্ছা ●   ফটিকছড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ●   আলীকদমে রহস্যজনক মৃত্যু : দুই পর্যটকের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ-১ ●   রাঙ্গুনিয়াতে নিজ দোকান থেকে মিঠুন দাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   আলীকদমে পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার : নিখোঁজ-২ ●   পার্বতীপুর রেলস্টেশনে সেনাবাহিনীর অভিযানে টিকিট কালোবাজারি আটক ●   অপহরণের ৯ দিন পর মুক্তিপন ছাড়াই উদ্ধার হলো দুলাল মিয়া ●   বন্ধ হওয়া মোবাইল টাওয়ার চালুর দাবিতে গণস্বাক্ষর ●   ফটিকছড়িতে কোরবানি পশুর চামড়া খালে : পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা ●   সৌরভের মৃত্যুতে আত্রাইয়ে বিভিন্ন মহলের শোক ●   উপ সচিবের ভাই শীর্ষ চরমপন্থী নেতা লিপ্টনসহ গ্রেফতার-৩ ●   কুরবানির পশুর চামড়ার সিন্ডিকেট আগের চেয়ে বেশী সক্রিয় : উপযুক্ত দাম নাই ●   চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনভিপ্রেত ●   আজ নিতেই হবে এমন প্রতিজ্ঞা বলে পশু ক্রয়ে ছুটছেন ক্রেতারা ●   রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠন ‎ ●   ফটিকছড়িতে পশু জবাই ও মাংস কাটা সরঞ্জাম কেনার হিড়িক ●   মধ্যপাড়া পাথর খনি লোকসান কাটিয়ে লাভে পথে ●   ঝালকাঠিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ফাইলবন্ধী : বরাদ্ধের অর্থ প্রানীসম্পদ কর্মকর্তার পকেটে ●   ফটিকছড়িতে শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরাবানি পশুর হাট ●   রাঙামাটিতে হৃদের পানিতে ডুবে এক ছাত্র নিখোঁজ ●   শান্তিবাহিনীর সদস্যদের গণহত্যায় দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারের দাবি ●   চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকী-সম্পাদক রুবেল ●   দিন রাত টুং টাং শব্দ ছন্দ ফটিকছড়ির কামারের দোকান
রাঙামাটি, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানি শিল্পকে আজও আঁকড়ে ধরে আছেন দুই ভাই
প্রথম পাতা » কৃষি » বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানি শিল্পকে আজও আঁকড়ে ধরে আছেন দুই ভাই
সোমবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানি শিল্পকে আজও আঁকড়ে ধরে আছেন দুই ভাই

ছবি : শামসুল হকছবি : সলিম উদ্দীন আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :: জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানি শিল্পকে আজও আঁকড়ে ধরে আছেন, পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার আপন দুই ভাই। তাঁরা হলেন, শামসুল হক (৬৭) ও সলিম উদ্দীন (৬৫)। এই আপন দুই ভাই বাপ-দাদার পৈতৃক পেশাকে জীবনের শেষ বয়সে এসেও পরিবর্তন করেননি। তাঁদের বাড়ী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের সুখ্যাতি গ্রামে। তাঁরা ঐ গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের দুই পুত্র। আধুনিক আর ডিজিটাল যুগেও আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি র্দীঘ ৫০ বছর ধরে তাঁরা এ পেশার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকিয়ে রেখেছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই শিল্প হারিয়ে গেলেও, তাঁরা হারিয়ে যাওয়ার ভিড়ে আজও লড়াকু সৈনিকের মতো এই ঘানি টেনেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন দুই ভাই। শামসুল হক জানান, তিন ভাই-বোনের মধ্যে আমি বড়। আমার বয়স যখন ১৭ বছর, তখন বাবা মারা যান। তারপর কয়েক বছর পরে মাও মারা যান। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর অভাবের সংসারের হাল ধরতে হয় দুই ভাইকে। সেই দিন কোনো কূল কিনারা খুঁজে না পেয়ে বাবার রেখে যাওয়া পেশা ঘানি শিল্পটাকে বেছে নিয়েছি। ঘানি টানার পাশাপাশি জমিতে কৃষি কাজও করেছি। এভাবে টাকা উপার্জন করে ছোট বোনকে বিয়ে দিয়েছি। এই করে চলতো আমাদের সংসার। এখন আমার পরিবারে ৫ জন ছেলে-মেয়ে। সবাইকে বিয়ে দিয়েছি। ছেলেরা কৃষি কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা-বানিজ্য করেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনো মতে জীবন-যাপন করছে। নাতি-নাতনিরা স্কুল-মাদ্রসায় পড়াশুনা করছে। সলিম উদ্দীন জানান, তখনকার দিনে ঘানি সরিষা তেলের চাহিদা খুব বেশি থাকায় বড় ভাই (শামসুল হক) বাবার রেখে যাওয়া ঘানিটা চালাতো আর আমি পৃথকভাবে কাঠের ঘানি ( গাছ ) স্থাপন করি। এমনকি এখনও ঘানি গাছ দুটো চলমান রয়েছে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির সরিষার তেল আসায়, ঘানির খাঁটি সরিষা তেলের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। তাই, বর্তমানে ঘানি থেকে যে তেল উৎপাদন করি তা নিয়ে আটোয়ারী উপজেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র ফকিরগঞ্জ, তোড়িয়া ও বারঘাটি বাজারে অস্থায়ী ভিত্তিতে মাটিতে দোকান বসিয়ে দুই ভাই পাশাপাশি বসে এখনও ঘানির খাঁটি সরিষার তেল ও খৈল বিক্রি করি । তিনি আরও জানান, বর্তমানে চাহিদা কম থাকায় দুইদিন পরপর ২০ কেজি সরিষার ঘানি টানা হয়। ২০ কেজি সরিষার দাম ১৬০০ টাকা। ২০ কেজি সরিষা থেকে ৬ কেজি তেল আসে। প্রতি কেজি খাঁটি সরিষার তেল ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করি। তেলের পাশাপাশি ২০ কেজি সরিষা থেকে ১৪ কেজি খৈল আসে। ৫০ টাকা কেজি দরে খৈল বিক্রি করা হয়। ৬ কেজি তেল বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০০ টাকা। ১৪ কেজি খৈল বিক্রি হয় ৭০০ টাকা। তেল ও খৈল ২ হাজার ৫০০ টাকা। ২০ কেজি সরিষার ঘানি টেনে মাত্র ৯০০ টাকা আয় করেন সলিম উদ্দীন এবং সমপরিমাণ আয় করেন তাঁর বড় ভাই শামসুল হক। ২০ কেজি সরিষার ঘানি টানতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। গড়ে প্রতি মাসে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করেন। আগে ঘানির খাঁটি সরিষার তেল কেনার জন্য দুর-দুরান্তর থেকে মানুষজন বাড়ীতে ভিড় করতো। আগে চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিদিন ৩০ কেজি থেকে ১ মন সরিষার ঘানি টানতাম। এখন চাহিদা কম হওয়ায় দুইদিন পরপর ২০ কেজি সরিষার ঘানি টানতে হচ্ছে। র্দীঘ ৫০ বছর ঘানি শিল্পের আয় দিয়েই তেমন কিছুই করতে পারেননি শামসুল ও সলিম দুই ভাই। তবে এই ঘানি থেকে যে টাকা আয় হতো তা জমিয়ে জমিয়ে ছেলে-মেয়েদেরকে কমবেশি লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। শুধু সলিম উদ্দীনের পরিবারে ৬ জন ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে মোশাররফ হোসেন আটোয়ারী মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজে স্নাতক (বি.এ) ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত। সে জানান, এ শিল্প যেন আমার বাবার এবং চাচার রক্তের প্রতিটি কনিকায় মিশে আছে। প্রতিদিন সকালে দেখি গরুর সঙ্গে ঘানি টানছেন বাবা ও চাচা। এই তেল বিক্রির টাকায় তিনি লেখাপড়া করছেন। প্রতিবেশী হবিবর রহমান জানান, দু’জনে কর্মঠ এবং খুবেই সহজ-সরল ব্যক্তি। এই বয়সে এখনো কৃষি কাজের পাশাপাশি দুই ভাই গরু দিয়ে কাঠের ঘানি টেনে সরিষার তেল তৈরি করে আসছেন। এটা এক বিরল দৃষ্টান্ত।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)