রবিবার ● ২৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ঘুষ নেয়ার ভিডিও প্রকাশের পর সানোয়ার হোসেনকে তলব
ঘুষ নেয়ার ভিডিও প্রকাশের পর সানোয়ার হোসেনকে তলব
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: সম্প্রতি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রাজীবপুর ভূমি অফিসের অফিস সহকারীর ঘুষ নেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার পরে টাকা ছাড়া ভূমিসেবা না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) সানোয়ার হোসেনকে তলব ও অফিস সহকারী আহাম্মদ হোসেনকে শোকজ করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, খারিজের জন্য টাকা লেনদেনের ভিডিওটি গত বুধবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, সহকারী ভূমি কর্মকর্তার চেয়ার ফাঁকা। টেবিলে দাঁড়িয়ে কাগজপত্র নিয়ে কথা বলছেন অফিস সহকারী আহাম্মদ হোসেন। ৫০০ টাকার নোট গুনে আহাম্মদের হাতে দিলে সেই টাকা নিজের পকেটে রাখেন আহাম্মদ। সেখানে ১৫ হাজার টাকা ছিল বলে নিশ্চিত করেন আহাম্মদ হোসেন। আহাম্মদ হোসেনের কর্মস্থল পাশের উচাখিলা ইউনিয়ন হলেও বছরখানেক আগে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে রাজীবপুরে পাঠায় কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার শতাধিক ভুক্তভোগীর গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর। ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজিবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সানোয়ার হোসেন কর্মরত আছেন প্রায় ছয় বছর যাবৎ। ভূমি অফিসের পাশেই তার বাড়ি হওয়ায় অফিস চলাকালীন তিনি তার বাড়িতেই অবস্থান করেন। ওই অবস্থায় বেশির ভাগ সময়েই ভূমি সেবাগ্রহীতারা অফিস কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পান না। যে কারণে ফোনে অথবা সরাসরি নায়েবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তার অফিস সহায়ক আহাম্মদ এবং প্রতিবেশী ভাতিজা হিরকের সঙ্গে দেখা করতে বলে। হিরক ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের কোনো কর্মচারী না হলেও ষে দিনভর অফিসেই থাকেন এবং নায়েব চাচার ঘুষ লেনদেনে সাহায্য করেন। হিরক এবং অফিস সহায়ক আহাম্মদ দুজনই খারিজ প্রতি ৮ হাজার থেকে ৪০ হাজারেরও ঊর্ধ্বে টাকা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে আদায় করেন।
তবে প্রতিবেদকের কাছে আহাম্মদ জানান, ‘ভিডিওটি মিথ্যা ও বানোয়াট। এগুলো ডিসিআর ফি এর টাকা ছিল। ডিসিআর ফি কত টাকা জানতে চাইলে তিনি কলটি কেটে দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
তবে ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম উজ্জ্বলের ভাষ্যমতে, তিন বছর ধরে খারিজের জন্য ঘুরছিলেন তিনি। অনেক লোক ধরেও যখন কাজ হয়নি তখন টাকা দেওয়ার ২০ দিনের মধ্যে খারিজটি করে দেওয়া হয়। ২০ শতাংশ জমি খারিজ করতে ১৮ হাজার টাকায় চুক্তি হয় আহাম্মদের সঙ্গে। নায়েবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হিরকের সঙ্গে যোগাযোগের পর সে আহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ভিডিও যখন করা হয় তখন ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হলেও পরে আরও তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আরো বলেন, নায়েব নিজের হাতে টাকা নেন না। আত্মীয় হিরক ও অফিস সহকারী আহাম্মদের মাধ্যমেই টাকা লেনদেন করেন। আরও ৩০ শতাংশ জমি খারিজের জন্য আহাম্মদের হাতে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) ছানোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ভিডিও এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আহাম্মদেই বলতে পারবে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান জানান, নায়েবের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, আগামী ২৭ তারিখে অভিযোগকারী ও নায়েবকে তলব করা হয়েছে। অফিস সহকারীর টাকা নেওয়ার ভিডিও দেখার পর তাকে শোকজ করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তাকে ডাকা হয়েছে। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।





মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে একদিনে এক কোটি টাকা দান
আজ ঈশ্বরগঞ্জ মুক্ত দিবস
ঈশ্বরগঞ্জে নবান্ন উৎসবের আমেজে গ্রামীণ জনপদ
ইউএনও’র উদ্যোগে ঈশ্বরগঞ্জে ১৪০ স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন
ঈশ্বরগঞ্জে মাইকিং করে প্রাথমিক বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঈশ্বরগঞ্জে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি
প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় নেই আগের জৌলুস
ঈশ্বরগঞ্জে জমি বিরোধে এক পরিবারের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ
ঈশ্বরগঞ্জের বিতর্কিত পিআইও রেজাউল করিমের বদলি
ঈশ্বরগঞ্জে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার