শিরোনাম:
●   সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   শারদীয় দূর্গোৎসব এর পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ●   বাংলাদেশের নতুন অভিযাত্রায় সবাইকে অবদান রাখতে হবে ●   বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চুয়েট দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ ●   কাউখালীতে ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন ●   তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ●   ফানুস উড়ানো ও কঠিন চীবর দান উদযাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা ●   বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা ●   ৪১ বিজিবি কর্তৃক স্থানীয় মৌজার হেডম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে : সুপ্রদীপ চাকমা ●   মিরসরাইয়ে আওয়ামীলীগ নেতার দখলে থাকা রিজার্ভ ফরেস্টের দেড় একর বনভূমি উদ্ধার ●   ২০ দিনের মধ্যে দাবী মেনে না নিলে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ঘেরাও কর্মসূচী ঘোষনা ●   কৃষি বাজারসহ কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতির সংস্কারও শুরু করুন : সাইফুল হক ●   আলী রীয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি ●   অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য বৈসম্যহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলা : সুপ্রদীপ চাকমা ●   বাংলাদেশের বিরোধীতাকারী পরিবারের সন্তান দেবাশীষ রায় সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য হতে পারেন কি না ? ●   বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকারের অনেক সাফল্যই হারিয়ে যাবে ●   ভিক্ষু সংঘের কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পুণ্যার্থীদের পূর্ণসঞ্চয় করার সুযোগ দিতে ভিক্ষু সংঘের প্রতি আহ্বান ●   খাগড়াছড়িতে বাজার ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার-৫ ●   প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে হত্যা মামলার আসামী শিক্ষক নূরুল ইসলাম আত্বগোপনে ●   কুষ্টিয়ায় সবজির বাজার অস্থির ●   কুষ্টিয়ার ভেঙ্গে দিয়ে লাপাত্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান : লাখো মানুষের দুর্ভোগ ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ●   দূর্গাপূজায় জি বাংলা সারেগামাপা খ্যাত শুভর নতুন বাংলা গান ও’ মাঝিরে’ ●   খাগড়াছড়িতে সম্প্রীতি সমাবেশ ●   পানছড়িতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ ●   দূর্গাপূজায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা : ইউএনও ●   মিরসরাইয়ে মামলাবাজের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘের পক্ষ থেকে কঠিন চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত : দায়ক-দায়ীকাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ●   রাঙামাটিতে সহিংসতায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও বৌদ্ধ বিহারে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার-৪
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ২৭ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » কৃষি » বাগেরহাটে ঘেরের ভেড়ীবাঁধে সবজি চাষ করে চাষিরা স্বাবলম্বী
প্রথম পাতা » কৃষি » বাগেরহাটে ঘেরের ভেড়ীবাঁধে সবজি চাষ করে চাষিরা স্বাবলম্বী
মঙ্গলবার ● ২৭ আগস্ট ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাগেরহাটে ঘেরের ভেড়ীবাঁধে সবজি চাষ করে চাষিরা স্বাবলম্বী

--- এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জসহ নয়টি উপজেলার মৎস্য ঘেরের ভেড়ীবাঁধে পতিত জমিতে চার স্তরের নিরাপদ সবজি চাষ করে কয়েক হাজার চাষি এখন অর্থনৈতিকভাবে আগের চেয়ে বেশ স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদের উৎপাদিত ১শ ট্রাক সবজি এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাজারে বিক্রয় হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে বইছে শান্তির সুবাতাশ। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা এবং স্মল হোল্ডার কম্পিটিটিনেভস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর মাধ্যমে চাষিদের প্রশিক্ষণ ও নানা ধরণের সহযোগীতা প্রদান করায় এটি সম্ভব হয়েছে। চাষিরাও তাদের এ অর্থনৈতিক ধারা অব্যহত রাখতে চাই।
বাগেরহাট কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৯টি উপজেলার মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, ফকিরহাট, চিতলমারী, মোল্লাহাট, মংলা, রামপাল, বাগহাট ও কচুয়ায় ১০ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ আবাদ হয়েছে। ৯ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিজ জমিতে আখ চাষ করে চাষিরা আশানুরুপ ফলন পেয়েছে। এতে অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে ভাল জাতের সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে সবজি কাটতে। সারি সারি ভ্যান দাড়িয়ে আছে এ সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখান থেকে সবজি স্থানীয় বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে নিয়ে যায়।
বাগেরহাট কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৯টি উপজেলার মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা,ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী, মংলা, রামপাল, বাগহাট ও কচুয়ায় ১০ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ আবাদ হয়েছে। ৯ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিজ জমিতে সবজি চাষ করে চাষিরা আশানুরুপ ফলন পেয়েছে। এতে অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে ভাল জাতের সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস এ অঞ্চলকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলার জন্য শতশত চাষিদের তাদের পতিত জমি ফেলে না রাখার জন্য নানা ধরণের পরামর্শ প্রদান করে আসছেন। শুধু তাই নয়, তারা যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন সেজন্য তাদেরকে হাতে-কলমে সবজি চাষের উপর নানা ধরণের প্রশিক্ষণ পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করে আসছেন। যারই অংশ হিসাবে তারা এ অঞ্চলের শতশত চাষিকে স্মল হোল্ডার কম্পিটিটিনেভস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর মাধ্যমে ঘেরের ভেড়ীবাঁধে পতিত জমিতে চাষাবাদ শুরু করার পরামর্শ প্রদান করেন। সেই পরামর্শ নিয়ে তারা সবজি চাষের উপর মনোযোগী হন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে শুধুমাত্র ঘেরের ভেড়ীবাঁধে মোট ৫৫শত হেক্টর জমিতে সবজির চাষ করা হয়েছে।
১৩ নং নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম,সাব্বির হোসেন সুমন সহ একাধিক চাষিরা জানান, তারা তাদের ঘেরের ভেড়ীবাঁধে চার স্থরের সবজি চাষ করেছেন। একই ঘেরের ভেড়ীবাঁধের উপর যে চার প্রকার সবজি চাষ করা যায় তা তাঁরা কোন দিন কল্পনাও করতে পারেননী। স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে তারা এ পদ্ধতিতে চাষ করা শিখেছেন।

তারা বলেন, ঘেরের ভিতরে মাছ আর ডাঙ্গায় অর্থাৎ ঘেরের ভেড়ীতে বরবটি সিম, করলা, তরমুজ, বাঙ্গি, শসা, চাল কুমড়া ও লাউ এবং দুই গাছের মাঝখানে বেগুন মরিচ টমেটোসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ করেছেন। শুধু তারা নয়, এ অঞ্চলের শতশত ঘের মালিক ও বিভিন্ন ব্যক্তি জমি হারি বা বরগা নিয়ে সবজির চাষ করেছেন। বাম্ফার ফলনও হয়েছে।
নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বিলে হাজার হাজার একর জমিতে মনোমুগ্ধকর সবজির চাষ করা হয়েছে। যা দেখলে মন প্রাণ জুড়িয়ে যায় এ যেন ভিন্ন এক অঞ্চল।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর হতে দুপুর পর্যন্ত শতশত কৃষক তাদের ঘেরের পাড়ে গিয়ে বিভিন্ন সবজি তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন। সেই সবজি বস্তায় ভরে ভ্যান যোগে কুরোলতলার মোড় বা বাজারে নিয়ে আসছেন। সেখানে কয়েকজন ক্রেতা তা ক্রয় করে বড়-বড় তুম্বু করে তা বস্থায় ভরে ট্রাক বা পিকাপে করে ঢাকা চট্টগ্রাম রাহশাহী ও খুলনার বিভিন্ন বড়বড় বাজরে নিয়ে যাচ্ছেন। চোখ জুড়ানো এ সমস্ত কার্যক্রম দেখে মন আরো মুগ্ধ হয়ে উঠে। এ যেন এক সবজির স্বর্গরাজ্য।
সবজি ব্যবসায়ী আল আমীন শেখ, রবিউল ইসলামসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তাদের এই মোড় হতে প্রতিদিন ২৮-৩০টি ট্রাকে করে বিভিন্ন প্রকার সবজি ঢাকা চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করার জন্য পাঠানো হচ্ছে। সবজির মোটামুটি মূল্য এখানে একটু কম হলেও চাষিরা খুশি। কারণ তারা ঘেরের পাড়ে বসেই তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারছেন।
রব্বান শেখ ও সিহাব উদ্দিন সহ একাধিক চাষিরা বলেন, মাত্র দেড় দু’মাসে তারা ৫০হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকার সবজি বিক্রয় করেছেন। শুধু সবজিই নয়, নিচেই রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এবং অন্য মৌসুমে ঘেরের ভিতর ধানের চাষও করেন তাঁরা। শুধু বেতাগা ইউনিয়ন-ই নয়, মানসা-বাহিরদিয়া, শুভদিয়া, নলধা-মৌভোগ, পিলজংগ ও লখপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওর্য়াডের ঘেরের পাড়ে সবজির চাষ হয়েছে বিপুল পারিমানে। এ উপজেলায় প্রায় ৫শত হেক্টর জমিতে শুধুমাত্র ঘেরের ভেড়ীতে সবজি চাষ হয়েছে। প্রতিদিন এই উপজেলা হতে প্রায় ২৫ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হচ্ছে। সবজি চাষে বাম্ফার ফলন হওয়ায় শতশত কৃষকের ভাগ্য বদলের পাশা-পাশি তারা অর্থনৈতিক ভাবে আগের চেয়ে অনেক স্বাবলম্বী হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চল অর্থনৈতিক ভাবে সম্মৃদ্ধ হতে সক্ষম হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৫৫শত হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। আমরা চাষিদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সার্বক্ষনিক মনিটরিং ব্যবস্থা এবং স্মল হোল্ডার কম্পিটিটিনেভস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর মাধ্যমে চাষিদের প্রশিক্ষণসহ নানা ধরণের সহযোগীতা করে আসছি। যে কারনে তারা অর্থনৈতিক ভাবে আরো স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সকল পতিত জমিতে চাষাবাদ করার জন্য স্থানীয় চাষিদের প্রতি আহবান জানান।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক বাবুল বলেন, আমরা কৃষিকে সর্বো”চ্চ গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই তারা যাহাতে কৃষি পণ্য সহজেই বাজারজাত করতে পারে সে জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছি।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙকর কুমার মজুমদার বলেন, বাগেরহাট জেলায় সবজি আবাদের উপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে। সরকার সময়মত বীজ, সার ও ঋণ প্রবাহ সচল রেখেছেন। যার ফলে এবছর বিভিন্ন সবজি বিশেষ করে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলায় ৯৫ হাজার টন সবজি চাষ ফলন হবে। আমরাও কৃষকদের সব ধরণের কারিগরি সহযোগিতা ও বাজারজাত করণের পরামর্শ দিয়েছি। যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারে সেজন্য আমাদের সব ধরণের চেষ্টা রয়েছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)