শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জের বিতর্কিত পিআইও রেজাউল করিমের বদলি ●   ইগনাইট মিরসরাই’র নতুন কমিটি গঠন ●   পার্বতীপুর প্রেসক্লাবের তফশিল ঘোষণা : ভোট গ্রহণ ৯ ডিসেম্বর ●   বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : চুয়েট ভিসি ●   রাঙামাটির ঘাগড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর ●   অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন এখনও জনআস্থা অর্জন করতে পারেনি ●   জোড়াতালিতে দাঁড়িয়ে আছে ঝালকাঠির বাসন্ডা সেতু ●   মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু জব্দ ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-৯৭ আদ্যোপান্ত শীর্ষক আলোচনা : চুক্তিতে অসংগতি থাকায় শান্তির বদলে অশান্তি বেড়েছে ●   আত্রাইয়ে মেধা যাচাই অনুষ্ঠিত ●   নানিয়ারচর জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার ●   অবিলম্বে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী টার্মিনাল চুক্তি থেকে সরে আসুন ●   রাঙামাটিতে ফের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত : ৩৬ ঘন্টার হরতাল প্রত্যাহার ●   রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’দিনের হরতাল ●   মিরসরাইয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সেনাসদস্যের বাড়িতে ডাকাতি ●   রাঙামাটি নবাগত জেলা প্রশাসকের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ●   রাঙামাটিতে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   গ্রেফতার আতঙ্কে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত, রোগীদের ভোগান্তি চরমে ●   চুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ শুরু ●   রাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ২য় কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন সম্পন্ন ●   মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ ●   অবিলম্বে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী টার্মিনাল চুক্তি থেকে সরে আসুন ●   সংকট নিরসনে জেলা পরিষদকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান নাগরিক পরিষদের, হরতালে সমর্থন ●   কাউখালীর আওয়ামীলীগের ৫ নেতা আটক : জামিন নামন্জুর জেলহাজতে প্রেরণ ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা প্রথা বাতিলের দাবি ●   জুলাই সনদ ও গণভোটকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে হবে ●   গাজীপুরে শহীদ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিল ১৫০০ শিক্ষার্থী ●   মিরসরাইয়ে আদর্শ বন্ধু ফোরামের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » কৃষি » কাসাভা চাষে পার্বত্য অঞ্চলের বন ভূমিতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে
প্রথম পাতা » কৃষি » কাসাভা চাষে পার্বত্য অঞ্চলের বন ভূমিতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে
সোমবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কাসাভা চাষে পার্বত্য অঞ্চলের বন ভূমিতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে

--- আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: পাহাড়ে উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ ফসল ‘কাসাভা’ চাষ ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে এ কাসাভা চাষ পার্বত্য অঞ্চলের বন ভূমিতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে, বিরুপ প্রভাব পড়ছে পাহাড় ও পরিবেশে। এতে করে প্রকৃতি হারাচ্ছে তার ভারসাম্য, কমছে মাটির উর্বরতা, নীচে নামছে পানির স্তর।

বৈজ্ঞানিক ভাষায় এর নাম ‘কাসাভা’ হলেও খাগড়াছড়িতে এটি ‘কাঠ আলু’ নামে পরিচিত। সমতল ভূমির চেয়ে পাহাড়ে এটির ফলন বেশি হয়।

বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ এই কাসাভা থেকে উন্নতমানের সাদা আটা পাওয়া যায়। যা দিয়ে রুটি, বিস্কুট, চিপস, গুক্লোজসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়।
এ ছাড়া শাগু, বিয়ার, পোল্ট্রি ফিড, বস্ত্র ও কাগজ তৈরির শিল্পে প্রচুর কাসাভার ব্যবহার হয়।
আফ্রিকা মহাদেশে কাসাভার চাষ বেশি হয়। সেখানকার মানুষ কাসাভা খেয়ে জীবন ধারণ করেন। বাংলাদেশে এটি অনেকের কাছে ‘শিমুল আলু’ নামে পরিচিত। পাহাড়ি অঞ্চলে অনেকটা অবহেলায় চাষ হওয়া এ উদ্ভিদটি এখন সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাহাড়ে সম্প্রসারিত দক্ষিণ আফ্রিকার ফসল কাসাভা চাষে মুল অর্থ যোগানদাতা প্রাণ আর এফ এল গ্রুপের প্রাণ এগ্রো বিসনেস লিমিটেড ও রহমান কেমিক্যালস লিমিটেড সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার প্রলোভনে আংশিক সহায়তাদানের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কাসাভা চাষে উৎসাহ জোগাচ্ছে গরিব লোকদের।

বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও প্রতিযোগিতা না থাকায় কাসাভার দাম বাড়ছে না। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই কোম্পানির মনগড়া মূল্যে কাসাভা বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের।
কোম্পানি দুটি প্রতি মে.টন কাসাভার মূল্য দেয় মাত্র ৮০০০ টাকা। এতে করে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রায় এক হাজার একর জমিতে এ বছর কাসাভার চাষ হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার খেদাছড়া এলাকার কৃষকরা জানান, বর্ষা মৌসুমে কাসাভা রোপণ করা হয়। এটি পাঁচ থেকে আট ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রতি একর জমিতে ৬-৭ মে. টন কাসাভা পান কৃষকরা।
সূত্র বলছে, এই শিমুল আলু (কাসাভা) চাষের জন্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, গুইমারা, মানিকছড়ি উপজেলার বেশি বনভূমি উজাড় করে হচ্ছে এর চাষ। যা মাটির টপ চয়েল উৎপাটন, ভূমি ধ্বস, মাটি ক্ষয় এর জন্য দায়ী।

এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখা মিলতো হরিণ,বনমোরগ, খোরগোশ, গুইসাপ, বানর, লজ্জাবতী বানর, গন্ধগোকুল, বন বিড়ালসহ বিভিন্ন পাখি ও সাপের। ছিলো নিরাপদ আবাসস্থলও। যা বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়।

আর পাহাড়ের উচু-নিচু বনভূমিতে কচি-কাঁচা গাছ কাটা থেকে শুরু করে বনভূমি ধ্বংসের কারনে এসব বন্যপ্রাণী হারিয়ে যেতে বসেছে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, কাসাভা চাষের বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয়েছে জানিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, জেলা বন ও পরিবেশ কমিটির সভায় এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। পাহাড়ে কাসাভা চাষ, প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ চাষে খারাপ প্রভাব, অনুমোদন, ভাল দিক খারাপ দিক তদন্ত করে জানালে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)