

মঙ্গলবার ● ২২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ঢাকা থেকে উক্য চিং মারমার নিথর দেহ ফিরল গ্রামের বাড়িতে : ছেলেকে হারিয়ে মা প্রায় পাগল
ঢাকা থেকে উক্য চিং মারমার নিথর দেহ ফিরল গ্রামের বাড়িতে : ছেলেকে হারিয়ে মা প্রায় পাগল
মিন্টু কান্তি নাথ, রাজস্থলী :: সেনা কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছে উক্য চিং মারমা।
ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হওয়া রাঙামাটির সন্তান উক্য চিং মারমার মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছেছে।
২২ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধা ৬টা ৩০ মিনিটে উক্য চিং এর মরদেহ বাহী এম্বুলেন্সটি রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের কলেজ এলাকায় এসে পৌঁছায়।
এর আগে গতরাত ২টায় ঢাকা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এদিকে তার লাশবাহী এম্বুলেন্সটি আসার পর আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসীদের আহাজারীতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু খবর শুনে তাকে দেখতে দুর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ ছুটে এসেছে। তারা সকলেই তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা। আগামীকাল বুধবার দুপুরের পর ধর্মীয় আচার শেষে পারিবারিক শশ্মানে উক্য চিং এর সৎকার করা হবে বলে পরিবার জানিয়েছে। ঢাকা থেকে ছেলের মরদেহ নিয়ে আসা উক্য চিং এর পিতা উসাইমং মারমা জানান, আমার ছেলে কখনো আমাদের অবাধ্য হতোনা। আমার ছেলেটা খুব মেধাবী ছিল। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল ছেলে। কিন্তু বাবা হয়ে ছেলের জন্য কিছুই করতে পারলাম না। আমি খবর পেয়ে ঢাকাতে গিয়ে তাকে আইসিইউতে দেখতে পেলাম। ছেলের সাথে ১ দিন আগেও কথা হয়েছিলো। আমি ঢাকায় ছেলের কাছে যাবো বলে বলেছিলাম। ঢাকায় আসলে ছেলেকে যা লাগে সব কিনে দিবো বলেছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ঢাকাতে গিয়ে ছেলের নিথর মরদেহ নিয়ে আসতে হলো।
এদিকে উক্য চিং এর মা তেজিপ্রু মারমা ছেলের এই মৃত্যু কোনভাবেই মানতে পারছিলোনা। ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় অবস্থায় রয়েছেন তিনি। বারবার ছেলের কথা বলে মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টায় ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনী একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্থ হয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেখানেই স্কুলে অবস্থান করছিলো রাঙামাটির ছেলে উক্য চিং মারমা। সে মাইলস্টোন স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো।