রবিবার ● ২৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান উদযাপন
নির্মল বড়ুয়া মিলন :: “থেরবাদী বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব” শ্লোগান নিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কঠিন চীবর দান উদযাপন করা হয়েছে।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি তে বহুজনের হিতের জন্য বহুজনের সুখের জন্য পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে গ্রাম হতে গ্রামান্তরে, নগর থেকে নগরে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচার ও প্রসার করেন, তথাগত মহাকারুনিক বুদ্ধের সাম্য,মৈত্রী, করুনারবানী সকলের মনে জাগ্রত করার নিমিত্তে শনিবার ২৫ অক্টোবর সকাল থেকে দিনব্যাপী শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রে এ উৎসব শুরু হয়।
ভারত বাংলা উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংঘমনিষা, থেরোবাদী আর্দশের একজন নন্দিত বৌদ্ধ পন্ডিত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মানবতাবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষু, বাংলার বৌদ্ধ সমাজ গগনে পবিত্র ত্রিপিটকের অনুবাদক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, বর্তমানে ফ্রান্সের বুদ্ধহয়া প্রজ্ঞা বিহারের অধ্যক্ষ, ভদন্ত জে, প্রজ্ঞাবংশ মহাথেরোর হাতেগড়া এই প্রতিষ্টানে প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে মহান দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্টিত হয়।
ইছাখালী অশোকারাম বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত সুমঙ্গল মহাথেরো মহোদয়ের সভাপতিত্বে উদ্ধোধক ছিলেন বেতবুনিয়া শীলছড়ি অভয়ারণ্যে ধ্যান কেন্দ্রের পরিচালক ভদন্ত সাধনানন্দ মহাথেরো, প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহা মন্ডলের সহ সভাপতি সংঘতিলক মৈত্রীপ্রিয় মহাথেরো, বিশেষ ধর্মদেশক ছিলেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহা মন্ডলের সাবেক মহাসচিব ও গহিরা জেতবন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত সত্যপাল মহাথেরো।
শীলছড়ি অভায়রণ্য ধন্য কেন্দ্রের কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হরিনা অমৃত ধাম বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত বিজয়ানন্দ থেরো।
অনুষ্ঠানে ভাল কাজের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থ) সুমন বড়ুয়া (যুগ্মসচিব), বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া, শরণ এনজিও এর সভাপতি অমলেন্দু বিকাশ বড়ূয়া ও মহাসচিব আলোক বিকাশ বড়ুয়াকে।
এ উৎসব উপলক্ষে ভোর থেকে নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে এ বিহারে উপস্থিত হন কাউখালী ও বেতবুনিয়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ।
এসময় শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে সকাল থেকে ফুলপূজা, বুদ্ধপূজা, দেশ-জাতি তথা সকল প্রাণীর হিত, সুখ ও মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা ও পঞ্চশীল গ্রহণের পর বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার, কল্পতরু দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ডদানসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলন করা হয়। হরিনা অমৃত ধাম বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত বিজয়ানন্দ থেরো জানান, আমরা যে কাপড়টি পরিধান করি, সেটিকে চীবর বলা হয়। প্রবারণা পূর্ণিমার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে একটি বিহারে একদিন এ চীবর দান অনুষ্ঠানটি করা যায়। তিনি আরো জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুতা থেকে কাপড় বুনে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে হয়। এজন্যই এটিকে কঠিন চীবর দান বলা হয়। মানব জীবনের সব অন্তরায় দূর হোক-এই কামনা করে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।





বেতবুনিয়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে ১ শ্রমিকের মৃত্যু
খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে অস্ত্রের মুখে শিক্ষিকা ধর্ষণের অভিযোগ
কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে ৩৮ কঠিন চীবর দান উদযাপন
কাউখালীতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন
রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
আমি মেহনতি মানুষের রাজনীতি করি : জুঁই চাকমা