শনিবার ● ১ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » ঢাকা » তীরে এসে তরি ডোবাবেন না : সাইফুল হক
তীরে এসে তরি ডোবাবেন না : সাইফুল হক
আজ ১ নভেম্বর শনিবার সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আহুত সংবাদ সম্মেলনে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ফেব্রুয়ারীর জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘তীরে এসে তরি না ডোবাতে’ সরকার ও রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এখন সরকারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।তিনি জুলাই সনদ, গণভোট ও ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবার আহবান জানান। তবে এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ হবে না,যা টেকসই করা যাবেনা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশসমূহ কেন্দ্র করে ঐক্যের পরিবর্তে আরও অনৈক্য দেখা দিয়েছে। ভিন্নমতের বিষয়সমূহ পুরোপুরি বাদ দিয়ে সুপারিশ প্রেরণ করায় কমিশনের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।এটা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও বিব্রতকর।কমিশনের সুপারিশে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনে সরকার যেভাবে সংবিধান সংশোধন আদেশ প্রদানের কথা বলা হয়েছে তাও পুরোপুরি অগ্রনযোগ্য। কারণ এই ধরনের কোন ক্ষমতা, এক্তিয়ার বা মান্ডেট অন্তর্রর্তী সরকারের নেই।এই ধরনের উদ্যোগ হবে প্রকারান্তরে সংবিধান অস্বীকার করার সামিল।তাছাড়া সংবিধান সংশোধনের এই ধরনের আদেশ এক ভয়ংকর নজিরও সৃষ্টি করবে।ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনেসংবিধান সংশোধনে এই উদাহরণকে ব্যবহার করার আশংকা থাকবে।এই ধরনের পদক্ষেপ পরোক্ষভাবে বরং কতৃত্ববাদী শাসনের রাস্তা খুলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, গণভোটের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিপুল অধিকাংশ দল আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠানে মতামত দিয়েছিল।বাস্তবে গণভোটের প্রশ্নে এর অন্যথা হবার সুযোগ নেই।তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে আর একটা নির্বাচন করার সময় ও সামর্থ্য সরকার বা নির্বাচন কমিশনের নেই। আর কোন কারণে গণভোটে ভোট প্রদানের হার স্বল্প হলে তা রাজনৈতিক দিক থেকে বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
কমিশনের সুপারিশে ২৭০ দিনের মধ্যে সকল ইস্যুসমূহ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পন্ন না হলে যেভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়ার কথা হয়েছে তা রীতিমতো উদ্ভট ও হাস্যকর। সংবিধান সংশোধন নিয়ে এই ধরনের ছেলেখেলার কোন অবকাশ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, সরকারের একটা ভুল পদক্ষেপ যেমন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে, আবার তাদের একটা পদক্ষেপ সংকটের উত্তরণ ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করব সরকার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতার পরিচয় দেবেন। সরকারের উচিৎ হবে বিপুল অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামত ও আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় রেখে বাস্তবানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।সরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় সরকার এখনও পাশ করতে পারেনি । এই পরীক্ষায় সরকারের ফেল করার সুযোগ নেই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকারকে দ্রুত যাবতীয় পক্ষপাতদুষ্টতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রকৃতপক্ষে দলনিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের বৈশিষ্ঠ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি যে, সরকারের মধ্যে থাকা সরকারগুলো ভেংগে দেয়া দরকার। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সমগ্র প্রশাসনকে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন সরকারের কার্যকরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা প্রয়োজন। সমগ্র প্রশাসনকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে ঢেলে সাজাতে হবে।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, যোবরান আলী জুয়েল, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন, আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।





জুলাই সনদ ও গণভোটকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে হবে
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সংকট উত্তরণের প্রচেষ্টা থাকলেও তা গুরুতর সাংবিধানিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল জরুরি
রাজনীতিতে নতুন জবরদস্তির আলামত দেখা যাচ্ছে
আইন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে শতভাগ নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠক
আগামীকাল ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকার
বাজুস এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন এনামুল খান দোলন
বাজুস এর নতুন সহ-সভাপতি হলেন ইকবাল হোসেন চৌধুরী