বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » তৃণমূল পর্যায়ে বাজেট ভাবনা- সরেজমিন ময়মনসিংহ অঞ্চল “সরকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে যেন বাজেট করে”
তৃণমূল পর্যায়ে বাজেট ভাবনা- সরেজমিন ময়মনসিংহ অঞ্চল “সরকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে যেন বাজেট করে”
ময়মনসিংহ অফিস :: (১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ১.৪৬মি) ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট উপস্থাপন করা হবে। ২০১৭-১৮ অথর্ বছরের ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার সর্ব বৃহৎ বাজেট নিয়ে ময়মনসিংহের অঞ্চলের প্রান্তজন অর্থাৎ তৃনমূল মানুষের বাজেট ভাবনা জানতে চেষ্টা করেছিলাম।
এ সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরী করার সময় বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার দিনমজুর, সবজি চাষী ,ধানচাষী,ফুটপাতের চা-দোকানি, প্রান্তিক কৃষক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ জন সাথে খোলা-মেলা কথা হলে তাঁরা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে অম্ল-মধূর মতামত ব্যক্ত করেন।
প্রায় সবারই এক কথা ,কৃষিতে ভূর্তকি বাড়ানো হউক আর জিনিস-পত্রের দাম নাগালের মধ্যে থাকলে তারা খেয়ে-পড়ে বেচে থাকতে পারবেন। অনেকে বাজেট নিয়ে নিজের ক্ষোভ ও ঝেড়েছেন।
ঈশ্বরগঞ্জের রড়জুড়া গ্রামের দিনমজুর কালাম বলেন,প্রতিদিন ভোর বেলা অন্যের জমিতে কামলা (মজুরি)দিলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩’শ টাকা পাই(পান)। ওই টাকা দিয়ে সংসারের প্রতিদিনের খরচ মেটানো সম্ভব হয় না।তার ভাষায়, বাজেট বুঝি না,তবে জিনিস পত্রের দাম কম থাকলে পরিবার নিয়ে খেয়ে-পড়ে দিন কাটানো যাবে।
গৌরীপুরের রামগোপালপুর গ্রামের সবজি চাষি নজরুল মিয়া বলেন, কীট নাশক,সার বীজ,ডিজেলের দাম সব সময় বাড়ে(বৃদ্বিপায়) কিন্তু আমরা পানির দরে শাক-সবজি বেচি(বিক্রয়করি) দাম পাইনা।
একই গ্রামের কৃষক মাহাতাব উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সরকার ধানের দাম বাড়াইলেও(বৃদ্ধি করলেও) কৃষক পায় না,পায় চাটুকার আর পাতি নেতারা। কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য পাইলে(পেলে)দেশের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। তাছাড়া কৃষিতে ভূর্তকি বাড়ানো উচিত।
হালুয়াঘাটের ধারা বাজারের ফুটপাতের চা-দোকানি মিরাজসিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমরার (আমাদের) বাজেট বুঝার (বুঝবার) দরহার (প্রয়োজন) কি? সরকার কম দামে জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করলে আমরার (আমাদের) সুবিধা অইতো(হতো)। বাজেট নিয়া মাথা ঘামাইনা কারণ কিছু বুঝিনা। তবে একটাই বুঝি নতুন বাজেট অইলে (হলে) হগল (সব) সময় জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
গফরগাঁওয়ের পাগলা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আল-আমিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সরকার কৃষকের ধানের দাম বাড়াইলে (বৃদ্ধি করলে) কৃষক লাভবান অইত (হতো)। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় কৃষক মেরুদন্ড সোঁজা করে দাঁড়াতে পারে না। এর লাগাম টেনে না ধরলে সাধারণ মানুষের কষ্ট কোনদিন যাবে না।বরং দিন দিন সকলের কষ্ট আরো বাড়বে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে সাধারণ মানুষের সুবিধা প্রাধান্য দিয়ে বাজেট পেশ করলে দেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি আসবে। সরকারেরও সুনাম বাড়বে বলে প্রান্তজনেরা মনে করেন।





ফটিকছড়িতে কোরবানি পশুর চামড়া খালে : পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা
কুরবানির পশুর চামড়ার সিন্ডিকেট আগের চেয়ে বেশী সক্রিয় : উপযুক্ত দাম নাই
চাইল্ড পার্লামেন্টের সুপারিশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধির আশ্বাস ডেপুটি স্পিকারের
খাগড়াছড়িতে ফ্রিল্যান্সিং করে সুমন এর আয় মাসে ৮ লাখ টাকা
ঠিকাদার-বিসিকের টানাপোড়নে আটকে আছে রাউজান বিসিক শিল্প নগরী কাজ
রাউজানে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
ঈদকে সামনে রেখে আত্রাইয়ে প্রস্তুত ৪৮ হাজার কোরবানির পশু
আক্কেলপুরে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি দিশেহারা মানুষ
বিশ্বনাথে এবি ব্যাংকের উপশাখার শুভ উদ্বোধন
আকমল পর্তুগালে দেশের সেরা তৃতীয় রেমিট্যান্সযোদ্ধা নির্বাচিত