শিরোনাম:
●   অবশেষে হাতপাখা নিয়ে লড়বেন বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি শাহীন ●   রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ●   ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোট বিষয়ক অবহিতকরণ সভা ●   সাইফুল হক ঢাকা-১২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ●   এশিয়ায় তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে ●   রিহ্যাব মেলায় আশিয়ান সিটির চমক: বিনিয়োগে কয়েক গুণ মুনাফা ও আধুনিক আবাসনের নিশ্চয়তা ●   মনোনয়ন বঞ্চিত শাহীনের বিএনপি থেকে পদত্যাগ ●   রাঙামাটির অসহায় কিশোরের চিকিৎসায় সেনাবাহিনী ●   রাঙামাটিতে ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক গৃহবধূর ●   রাঙামাটি জেলাবাসির সুখ-শান্তি কামনায় রাজবন বিহারে জুঁই চাকমা পূণ্যানুষ্ঠান ●   মিরসরাইয়ে এসএসসি ৯৭ ব্যাচের ৩য় পুনর্মিলনী পালিত ●   আত্রাইয়ে বিদ্যুৎ সংকট : বিপর্যস্ত জনজীবন ●   ঢাকা-ঝালকাঠি রুটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৫ : আহত ১২ ●   তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী অনুমোদনে অভিনন্দন ●   রাঙামাটিতে ট্যুরিস্ট বাস ডিজিটাল নিবন্ধন পদ্ধতি চালু ●   পাঁচশো টাকায় জীবন বাজী ঝালকাঠিতে কৃষকের মৃত্যু ●   কাউখালীতে শহীদ হালিম- লিয়াকত স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   ঝালকাঠির খ্রিস্টান পল্লীতে বড়দিনের উৎসব পালিত ●   পার্বতীপুরে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার গ্রেফতার-১ ●   রাঙামাটিতে অতি নিন্মমানের ইন্টারনেট গ্রাহক সেবা ●   ঝালকাঠির সুগন্ধায় লঞ্চে আগুন : সেই রাতের স্মৃতি আজও কাঁদায় ●   এসএসসি’৯৭ মিরসরাই উপজেলা তৃতীয় পুনর্মিলনী বৃহস্পতিবার ●   পার্বতীপুরে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ প্রস্তুতি সম্পন্ন ●   রাউজানে আবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে আগুন ●   নবীগঞ্জে কৃষি জমি রক্ষায় অভিযান : অবৈধ মাটি কাটায় অর্থদন্ড ●   রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় না নিয়ে দূর্বৃত্ত সন্ত্রাসীসের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিন ●   বেতবুনিয়ায় ইউএনডিপি এলভিএমএফের ২ দিনের ইয়ুথ ক্যাম্প সম্পন্ন ●   মিরসরাই আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ ●   ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ●   রাঙামাটিতে দৈনিক ইত্তেফাক-এর ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ২৯ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ব্রহ্মপুত্র নদে স্কুল বিলীন : পাঠদান খোলা মাঠে
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ব্রহ্মপুত্র নদে স্কুল বিলীন : পাঠদান খোলা মাঠে
রবিবার ● ২৯ জুলাই ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ব্রহ্মপুত্র নদে স্কুল বিলীন : পাঠদান খোলা মাঠে

---গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৪ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২২ মি.) এক বছর আগে সর্বনাশা ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে বিলীন হয়েছে গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামের কলমু এফএনসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু আজও বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। ফলে দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম চলছে পাশ্ববর্তী একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের খোলা মাঠে। সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে কোন রকমে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলছে। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে। জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় কলমু এফএনসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক ও দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংলগ্ন অবস্থিত বিদ্যালয়ের একতলা ভবনটি সর্বশেষে গেল বছরের ১৭ জুলাই নদে বিলীন হয়ে যায়। সেই থেকে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলছে ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠে। সরেজমিনে দেখা যায়, কামারজানি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের মাঠে একটি টিনের চালার নিচে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। মাটিতে পলিথিন ও বস্তা পেতে লেখাপড়া করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। একসঙ্গে গাদাগাদি করে কখনো রোদ কখনো বৃষ্টিতে লেখাপড়া করছে শিক্ষার্থীরা। আবার কখনো ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বারান্দা ঘেষেই ক্লাস নেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বলেন, ‘স্কুল ভবনটি বিলীন হওয়ায় পর থেকে ক্লাস করার উপায় ছিলো না শিক্ষার্থীদের। বিকল্প হিসেবে আশ্রয় নেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠে খোলা আকাশের নিচে। টিনের ছাপড়া ঘর তুলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম চলছে। খোলা জায়গায় কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করাতে নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। রোদে পুড়ে বসতে, লিখতে, পড়তে ধুলাবালি আর অসহনীয় গরমেও ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। তাছাড়া নেই টিউবয়েল ও কোন টয়লেট ব্যবস্থা। এক দুর্বিসহ পরিবেশে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বর্তমানে বিদ্যালয়ের নামে কিছু বরাদ্দ হয়েছে। সেই বরাদ্দের অর্থে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য অবকাঠামো তৈরীর পরিকল্পনা চলছে। দ্রুতই এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন, আঁখি, মামুন মিয়া জানায়, চটের উপর বসে লেখাপড়া করতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া রোদ আর বৃষ্টির সময় বই, খাতা ও গা ভিজে যায়। এতে তাদের লেখাপড়ায় চরম ক্ষতি হচ্ছে। রিমন মিয়া নামে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলেন, ‘সামনে আমাদের পরীক্ষা। স্কুলে চটের (বস্তা) আর পলিথিনে পড়াশুনা করতে তাদের সমস্যা হয়। এ পরিস্থিতির কারণে ভালো লেখাপড়া করতে না পারায় পরীক্ষায় তাদের ফলও খারাপ হবে। অভিভাবক এমদাদুল হক ও আবদুর রহমান বলেন, ‘ভবন না থাকায় ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। এ কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়াসহ পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে রোদ-বৃষ্টিতে পাঠদান কার্যক্রম চলছে বর্ষা আর বন্যায় তা বন্ধ হওয়ার আশষ্কা রয়েছে। এতে করে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে’।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফিউল ইসলাম নয়া মিয়া বলেন, ‘ভবন বিলীনের পর থেকে খোলা আকাশের নিচে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। তবুও শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। জমি না থাকায় স্কুলের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন নতুন করে বিদ্যালয়ের নামে ২৮ শতক জায়গায় হয়েছে। সেই জায়গাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আর পাঠদান ব্যহত হওয়ার কথা স্বীকার করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ম-ল বলেন, ‘জায়গা সংকটের কারণে ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের নামে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ মিলেছে। বরাদ্দের অর্থেই অস্থায়ীভাবেই বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। অস্থায়ী অবকাঠামো হলেও শিক্ষার্থীরা নিরাপদ শ্রেণি কক্ষে ক্লাস করতে পারবে। এছাড়া বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে আবেদন করা আছে। বরাদ্দ পেলেই স্থায়ীভাবে দোতলা পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে’। তবে বিদ্যালয়ের নতুন স্থায়ী ভবন নির্মাণসহ প্রয়য়োজনীয় অবকাঠামো তৈরীর পাশাপাশি শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দ্রুতই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এদিকে, প্রতিবছরই বর্ষায় গাইবান্ধার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এছাড়া এবারও অন্তত ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে। বর্ষার শুরুতেই ভাঙনের মুখে পড়ায় আতষ্কে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের আগেই সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)