শুক্রবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » কঙ্বাজারের কটেজ গুলিতে নজরদারী আবশ্যক
কঙ্বাজারের কটেজ গুলিতে নজরদারী আবশ্যক
![]()
কঙ্বাজার শহরের অন্যতম পর্যটন নগরী খ্যাত হোটেল মোটেল জোন সংলগ্ন  সাংস্কৃতিক কেন্দ্রর সামনে গড়ে উঠা বেস কয়েকটি কটেজে চলছে রমরমা দেহব্যবসা ৷  কটেজের মালিক,ম্যানেজার ও বয় ছেলেদের মদদেই চলছে দেহব্যবসা ৷ অনুসন্ধানে  দেখা যায়,উঠতি বয়সের ছেলেরাই বেশিরভাগ খদ্দের ৷ যার প্রেক্ষিতে যুবসমাজ দিন  দিন ধাবিত হচ্ছে অন্ধকারের দিকে ৷ বাড়ছে নারী ধর্ষন ,আর ইভটিজিং এর ন্যায় বড়  ধরণের অপরাধ ৷ পারিবারিক অশান্তিও বাড়তে থাকে পর্যায়ক্রমে ৷ অনুসন্ধানে আরো  দেখা যায়, একশ্রেনীর দিনমজুর থেকে আরম্ভ করে মধ্য বয়সের কর্মবিমুখ মানুষের  পদভারে মুখরিত থাকে এই কটেজ গুলো ৷ শুধু তা নই অনেক ক্ষেত্রে কলেজের নাম করে  বান্ধবিকে নিয়ে উঠে কোন না কোন কটেজে৷ যার ফলে বৃদ্ধি পায় অপরাধ প্রবনতা ৷
সূত্রে জানা যায়, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত কটেজ জোনের ৩য়  গলি ও ৪র্থ গলির দেহ ব্যবসা যেন প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসায় রুপান্তর হয়েছে ৷  এছাড়া দেহ ব্যবসায় সাফল্যের সহিত নাম কুড়িয়েছে সৈকতের ১ম ও ২য় গলি ৷
বিভিন্ন কটেজ গুলোতে দিন দুপুরে অহরহ চলছে অসাজিক কার্যকলাপ ৷ পর্যটন  এলাকার সুনাম রক্ষার্থে এসব কটেজ গুলোতে প্রায় চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী  বাহিনীর অভিযান ৷ তবুও থামছে না কটেজের এই পতিতা ব্যবসা ৷এসব অপর্কমের  বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে নস্ট হয়ে যাবে পর্যটন নগরী কঙ্বাজারের  সামাজিক পরিবেশ ৷
সুত্রে আরো জানা যায়,হোটেল মোটেল জোন এলাকার দালাল এর নেতৃত্বে বেশ  ক’জন পতিতা মহিলা শহরে আগত পুরুষদের নানান ছলে-কৌশলে যৌন চাহিদায়  উত্তেজিত করে নিয়ে যায় তাদের পুর্ব নির্ধারীত কটেজে ৷ নাম প্রকাশ না করার  শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, কটেজ জোন এলাকায় একাধিক কটেজ যেন মিনি  পতিতালয় পরিনত হয়েছে ৷ কটেজ গুলোতে অবাধে অসামাজিকতার তোড়জোড়ে যুব সমাজ  বিপথগামী হচ্ছে ৷ অনেক সময় দেখা যায় স্কুল,কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও তাদের  গার্লফ্রেন্ড নিয়ে এসব কটেজ গুলোতে সময় অতিবাহিত করে ৷ কটেজ গুলোতে এভাবে  অবাধ যৌনাচারে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন ৷ এছাড়া  হোটেল মোটেল জোন,কলাতলী,সুগন্ধা পয়েন্ট,লাবনী পয়েন্ট, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের  সামনে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ভাসমান পতিতাদের উত্পাত বৃদ্ধিপেয়েছে  ৷ এসব পতিতাদের নানা মুখি তত্পরতায় রক্ষণশীল পরিবারের লোকজন অনেক সময়  বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েযান ৷ এসব বেআইনী কাজ বন্ধ করতে প্রশাসনিক কোন  পদক্ষেপ নেই ৷ যে কারণে বৃদ্ধ থেকে বালক পর্যন্ত সব বয়সের মানুষ ধাবিত হচ্ছে  পাপের পথে ৷ বিশেষত ধ্বংসে অতল পথে পা বাড়িয়ে চলেছে দেশের অন্যতম প্রধান  শক্তি যুব সমাজ ৷ কথিত অছে এলাকায় রাত ঘনিয়ে এলে সামান্য টাকার বিনিময়ে  যৌনকাজ সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন দালাল চক্রও কাজ করে ৷
উল্লেখ্য গত ২৮ আগষ্ট হোটেল মোটেল জোনের সৈকত পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওশান এম্পাইয়ার কটেজ থেকে পতিতা ও খদ্দরসহ ৮ জনকে আটক করে পুলিশ ৷
ধারনা করা হচ্ছে এবার ঈদে কঙ্বাজার সমুদ্র সৈকতে প্রচুর পর্যটকের সমাগত হবে ৷ আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারী আবশ্যক ৷  আপলোড: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ২.২০ মিঃ

      
      
      



    গৌতম বুদ্ধের ছয়টি স্মৃতি বিজড়িত আষাঢ়ী পূর্ণিমা    
    রাঙামাটি জেলা পরিষদের অন্তবর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন : জনমনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া    
    ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ জনের মৃত্যু    
    ইউপিডিএফ এর দেয়া ৮৭টি দাবিতে ‘শান্তি চুক্তি’র প্রস্তাবে কি আছে  ?    
    করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ    
    ৮ বছরে চার হাজার ধর্ষণ : সাজা হয়েছে মাত্র ৫ জনের    
    দেশে ১৫ দিনে ৩৯ ধর্ষণ    
    উপজেলা নির্বাচন : বিনা ভোটে চেয়ারম্যান ১১২ ও  ভাইস চেয়ারম্যান ১১০