বুধবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে অপরাধি গাছের চারা
ঝিনাইদহে অপরাধি গাছের চারা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ২৩ বছর আগে বিজিবি’র চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছি। এখন বাড়িতে এসে ফলের চাষ করছি। মাঠে আমার প্রায় ৭ বিঘা জমিতে দেশী বিদেশী বিভিন্ন ধরনের ফলের ক্ষেত রয়েছে। এর মধ্যে মাঠের একপাশে প্রায় ৪৮ শতকের একটা জমিতে দার্জিলিংয়ের কমলা ও থাই পেয়ারার চাষ করেছিলাম। প্রায় ১ বছর ধরে গাছগুলো লালন পালনের মাধ্যমে বেশ তরতাঁজা হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সোমবার ভোর রাতের দিকে কে বা কারা আমার ক্ষেতের বেশিরভাগ ফলের গাছ গুলোর কলমের গোড়া থেকে ভেঙে দিয়েছে। বাকি গুলো দুমড়ে মুচড়ে রেখে গেছে। এখন এ কলম থেকে আর চারা হওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন,আমিতো কারও ক্ষতি করিনি। কিন্তু কে আমার এমন ক্ষতি করলো। এতে আমার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু যে দুষ্টু প্রকৃতির মানুষগুলো এটা করেছে তাদের কি লাভ হয়েছে। কথাগুলো বললেন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের রাড়িপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ ফলচাষী মশিয়ার রহমান। তিনি ওই গ্রামের ফেলু মোল্যার ছেলে। ফলচাষী মশিয়ার রহমান জানান, তিনি ১৯৯৭ সালে বিজিবি’র চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে বাড়িতে এসে ফল চাষ করছেন। এ চাষে সাফল্যও এসেছে। এ কারণে এলাকার মানুষ আমাকে একজন ফলচাষী হিসেবে চেনেন। কিন্তু এ কেমন শত্রুতা ? আমার একবিঘা ব্যয়বহুল দার্জিলিং লেবুর ১০৫ টি ও থাই পেয়ারার তরতাজা গাছের কলম ভেঙে দিয়েছে। প্রতিটি কলমের চারা প্রায় দুইশত টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। এরপরও জমি তৈরী ও পরিচর্যা খরচ তো রয়েইছে। কমপক্ষে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোষ যদি করে থাকি আমি করেছি কিন্তু গাছের কি অপরাধ। কারা এমন ক্ষতি করলো তা আমি দেখিনি। ফলে কাউকে দোষারোপও করা যাচ্ছে না। তারপরও আমি থানায় মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। পুলিশ ইতোমধ্যে আমার ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আইয়ুব হোসেন জানান, তাদের গ্রামের মশিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাঠে বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করে আসছেন। তার পরামর্শে গ্রামের অনেক কৃষক ফলচাষে ঝুঁকেছেন। কিন্তু তার ক্ষেতের গাছগুলোর যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, এ ব্যাপারে মুঠোফোনে আমাকে জানানোর পর স্থানীয় তত্বিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে ওই কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরও বলেন,কৃষকের ভরা ক্ষেত নষ্ট করলে সে ক্ষতি পুশিয়ে উঠার নয়। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলেই ব্যবস্থা নিবেন।
মহেশপুরে এমপির বাড়ি থেকে ৭টি সোনার নৌকা চুরি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ-৩ আসনের কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) সংসদ সদস্য এড শফিকুল আজম খান চঞ্চলের বাড়িতে চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাজের বুয়া মর্জিনা খাতুনসহ চার জনকে মহেশপুর থানায় আনা হয়েছে। এমপি অভিযোগ না দেওয়ায় রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার বা আটক কোনটাই দেখানো হয়নি। তারা হলেন মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর মাঠপাড়ার কওছার আলী মন্ডলের মেয়ে মর্জিনা খাতুন, একই গ্রামের নিজাম উদ্দীনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, বদর উদ্দীনের মেয়ে জবেদা খাতুন ও রহমান মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল সেট ও বেশ কয়েকটি সোনার নৌকা উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানায়। মহেশপুর থানার এসআই আব্দুল জলিল জানান, এমপি এড শফিকুল আজম খান চঞ্চলের মৌখিক অভিযোগে কাজের বুয়াসহ চারজনকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ না দেওয়ায় তাদের এমপির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন চুরি হওয়া নৌকাগুলো সোনার না ইমিটেশনের তা বলা যাচ্ছে না। মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, কয়েকটি নৌকা সাদৃশ্য বস্তু ও মোবাইল চুরি হয়েছিল। সেগুলো পুলিশ উদ্ধার করে ফেরৎ দয়েছে। তিনি বলেন নৌকাগুলো সোনা বা ইমিটেশন কিনা তা পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। তবে অসমর্থিক সুত্রে জানা গেছে, উপহার হিসেবে পাওয়া এমপি চঞ্চলের ৭টি সোনার নৌকা বাড়ি থেকে চুরি হয়েছিল। সেগুলো জীবননগরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রিও করা যায়। পুলিশ গোপনে সেগুলো উদ্ধার করে ফেরৎ দিয়েছে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এড শফিকুল আজম খান চঞ্চলের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেন নি।





ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত
কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ