শুক্রবার ● ২ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু
ঝিনাইদহে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রনাত হয়েছে ৯৭জন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে সদরে ৩জন ও মহেশপুরে ১জনের মৃত্যু হয়। আর উপসর্গ নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামে এক জন, কোঁটচাদপুর দুই জন, শৈলকুপার শিক্ষক পাড়ায় এক জন এবং মহেশপুরে তিন জনের মৃত্যু হয়। জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জেলা সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় সদর হাসপাতাল ল্যাব থেকে ২৪৪ টি নমুনার ফলা ফল হাতে এসেছে। এর মধ্যে ৯৭ জনের দেহে করোনার ধরা পরেছে। আর এসময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন-অর-রশিদ জানান, বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। রোগীর চাপ সামলাতে করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি রোগীর কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা। এদিকে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাইন। সকাল থেকে ওষুধ, কাচাবাজার ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। সড়কে জনসাধারণের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনেই সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে অনেকটা জনশুণ্য রাস্তা ঘাট। আর এ লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য বৃষ্টিরি মধ্যেও মাঠে আছেন প্রশাসন। এছাড়া প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। লে.কর্নেল মোর্শেদুল হাসান পিএসসি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী করোনা মহামারীর এ সময়ে সরকারি আদেশ নিশ্চিতকল্পে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার উদ্যেশ্যে নিয়োজিত রয়েছে। এরই অংশ হিসাবে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে।
ঝিনাইদহে কোরবানির জন্য প্রস্তুত এক লাখ ৩১ হাজার গরু ছাগল
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার গবাদিপশু। এবারের কোরবানিতে কোন পশু সংকট দেখছে না প্রাণী সম্পদ বিভাগ। তবে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শংকায় রয়েছে খামারিরা। জানা গেছে, এ বছর ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ৭৯ হাজার ১৭৫টি গরু ও ৫২ হাজার ৩২৮টি ছাগল কোরবানির জন্য তৈরী করা হয়েছে। করোনাকালে অনেকে চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে এসে বানিজ্যিক ভাবে খামার করেছেন। সে সব খামারে প্রস্তুত রয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা মুল্যের এসব কোরবানির পশু। প্রানী সম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহ জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২টি। গত বছর জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২টি কোরবানি করা হয়। গতবারের সংখ্যাাটিই কোরবানির চাহিদা হিসাবে ধরা হয়েছে। পশু কোরবানি দিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজারের মত পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যা দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হবে। শহরের নতুন কোটপাড়ার মহিউদ্দীন নামে এক খামারি জানান, সাধারণত ঝিনাইদহে অন্য জেলা থেকে কোরবানির গরু ছাগল আসে না। কিছু সৌখিন মানুষ আছেন যারা মহিষ, ভেড়া, দুম্বা ও উট কিনে আনেন। গত বছর ঝিনাইদহে গরু ও ছাগল ছাড়াও এমন ৬৪২টি পশু কোরবানি হয়েছিল। হরিণাকুন্ডুর হাফিজুর রহমান জানান, ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশে করোনা কারণে লকডাউন শুরু হলে প্রভাব পড়ে মানুষের ব্যবসা ও চাকরির উপর। অনেকেই চাকরি হারিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসে পশু পালন শুরু করেন। তিনিও চারটি পশু কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। বাজার ঠিক থাকলে লাভবান হবেন। তিনি বলেন পশু খাবারের দাম বেশি হওয়ায় ঋণ ও ধার দেনা করে খামার করেছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে করে পশুর বাজার ঠিক থাকবে কিনা এ নিয়ে আমরা শংকায় আছি। বাজার পড়ে গেলে ঝিনাইদহের শত শত খামারী পথে বসবে বলে তিনি মনে করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই গ্রামের সানা মুসল্লীর ছেলে রুবেল মুসল্লী ঈদের বাজার টার্গেট করে গরু মোটাতাজা করেছেন। একটি গরু ইতোমধ্যে ব্যেশ ভালো দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। এখনো তার খামারে একাধিক গরু রয়েছে। চলমান লকডাউন ও ঈদে পশুর হাট বন্ধ থাকলে পশু কেনাবেচা নিয়ে তার মতো অনেকেই শংকিত। গান্না বাজারের ইজারাদার নিলুয়ার জোয়ার্দার জানান, কোরবানির ঈদের আগে সবারই কম বেশি টার্গেট থাকে। কন্তু এবছর লকডাউনের কারণে হাট বসছে না। বাইরে থেকে ক্রেতা বা ব্যাপারীরা আসছে না। যার কারণে হাট ইজারা নিয়ে আমরা বিপদে আছি। নারিকেলবাড়িয়া বাজারের ইজারাদার অলিম্পিক হোসেন জানান, ঈদ সামনে করে পশুর হাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত খোলা স্থানে বসানো যায় কিনা তা বেবে দেখা দরকার। ঝিনাইদহ জেলা প্রণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, ঝিনাইদহ জেলায় কোরবানিতে যে পশুর চাহিদা রয়েছে তা পুরণ করে প্রায় সাড়ে ১২ হাজারের মত গরু ও ছাগল উদ্বৃত্ত থাকবে। সেইগুলো ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তবে আশা করা যায় ঈদের আগে খামারীরা এবং বাজারের ইজারাদারেরা যাতে বাজার ধরতে পারে সে বিষয়ে কার্যকরি সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে সরকার। আমারাও সে রকম পরামর্শ দিয়েছি।
ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের পিসিআর ল্যাবটি ৪ বছর ধরে অকেজো
ঝিনাইদহ :: করোনায় মানুষের জীবন যখন বিপন্ন। পরীক্ষার অভাবে যখন মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহ করে যখন কুষ্টিয়া বা যশোরে পাঠাতে হচ্ছে তখন ঝিনাইদহে আধুনিক ও উন্নতমানের পিসিআর ল্যাব থাকলেও তা এই অতিমহামারির মধ্যে চালু করা হচ্ছে না। ফলো করোনা আক্রান্ত রোগীদের ছুটে যেতে হচ্ছে কুষ্টিয়া ও যশোরে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ভাইরোলজী বিভাগে পিসিআর মেশিন বসানো হয়। কিন্তু বায়োসেপটিক ক্যাবিনেট ও দক্ষ জনবলের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর ঝিনাইদহ সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনা ও স্বদিচ্ছার অভাবেই ল্যাবটি চালু হচ্ছে না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এদিকে ঝিনাইদহ জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রায় সময় মানববন্ধন ও সভা সমাবেশ করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ জাকির হেগাসেন জানান, সঠিকভাবে বেশী সংখ্যক নমুনা পরীক্ষায় পিসিআর ল্যাবের গুরুত্ব অপরীসিম। তিনি বলেন সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহে দ্রুত গতিতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। গেল ২৪ ঘন্টায় ঝিনাইদহে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৫ জনসহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪২ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১৫ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় সনাক্তের হার ৪৭.৫২ %। এছাড়া এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ২৬.১১% এবং গেল এক মাসে সংক্রমণের এ হার ৩৮.১১%। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৩৪৫ জন। দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বেশী সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি ভেটেরিনারী কলেজের পিসিআর মেশিন ও ল্যাব চালুর দাবী জানান তিনি। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে ভাইরোলজী বিভাগে পিসিআর মেশিন আনা হলেও ৪ বছর ধরে পড়ে আছে। সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ গণেশ চন্দ্র মন্ডল খবরটি নিশ্চিত করে জানান, কলেজে একটি পিসিআর মেশিন থাকলেও তা দিয়ে করোনা পরিক্ষা করা যায় কিনা বলতে পারবো না। কারণ এখানে করোনার পরীক্ষার জন্য ল্যাবে যে বায়োসেপটিক ক্যাবিনেট থাকা দরকার সেটা নেই। নেই দক্ষ জনবল। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সমন্বয়কারী একরামুল হক লিকু বলেন, সরকারি ভেটেরিনারী কলেজে পিসিআর মেশিন ও ল্যাব থাকা সত্ত্বেও সেটি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পড়ে আছে। এ মহামারীতেও ল্যাবটি চালু করা যায়নি, এটি খুবই দু:খজনক। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতলের তত্ত্বাবধায়ক ডা: হারুন অর রশিদ বলেন , আমরা নমুনা সংগ্রহ করে কুষ্টিয়ায় পাঠায় আর হাসপাতালে এন্টিজেন টেস্টে এর মাধ্যমে পরিক্ষা করানো হয়। অথচ ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ল্যাবটি চালু হলে রোগীরা দিনের রিপোর্ট দিনেই পেয়ে যেতো।





ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত
কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ