

রবিবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে উৎসবের আগে সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যের অঙ্গীকার
রাঙামাটিতে উৎসবের আগে সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যের অঙ্গীকার
রাঙামাটি প্রতিনিধি :: পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি দীর্ঘদিন ধরে নানা জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মাবলম্বীর সহাবস্থানের অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে। সেই ঐতিহ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভায় আবারও জোরালোভাবে উঠে এলো শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা।
২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ। সামনে শারদীয় দুর্গাপূজা এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। একইসঙ্গে সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী খাগড়াছড়িতে ঘটে যাওয়া কিছু স্পর্শকাতর ঘটনাও আলোচনায় আসে।
বক্তারা একবাক্যে স্বীকার করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সবসময় সম্প্রীতির ঠিকানা। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য একটাই-এলাকার স্থিতিশীলতা নষ্ট করা। সভায় কঠোরভাবে জানানো হয়, সাম্প্রদায়িক উসকানি কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করা হবে।
বিএনপি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এনসিবি, জামায়াতে ইসলাম ও পিসিজেএসএস এর রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় গুরু, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয় সভা থেকে। জেলা প্রশাসক বলেন, “রাঙামাটি শান্তি ও সম্প্রীতির জেলা। আমরা চাই, সব সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদে, মিলেমিশে উৎসব পালন করুন।” তিনি আরও যোগ করেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকলেও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।
সভাটিকে অংশগ্রহণকারীরা কেবল একটি প্রশাসনিক বৈঠক নয়, বরং পার্বত্য চট্টগ্রামের বহুত্ববাদী সংস্কৃতির প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন। বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের আগে এই ঐকমত্য স্থানীয়দের মাঝে নতুন আস্থা জাগিয়েছে। রাঙামাটিবাসীর বিশ্বাস, ঐক্য ও সচেতনতা বজায় থাকলে অঞ্চলটি আবারও প্রমাণ করবে-এটি সত্যিই সম্প্রীতির দুর্গ।