শিরোনাম:
●   অবিলম্বে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী বিপজ্জনক কাজে টার্মিনাল চুক্তি থেকে সরে আসুন ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদে ২৫ নভেম্বর কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ●   ঝালকাঠির নেছারাবাদে সাংবাদিক লাঞ্ছনার তীব্র নিন্দা ●   কাউখালীতে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ●   ভূমিকম্পের আতঙ্কে পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি বন্ধ ঘোষণা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জমি বিরোধে এক পরিবারের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ●   ঈশ্বরগঞ্জের বিতর্কিত পিআইও রেজাউল করিমের বদলি ●   ইগনাইট মিরসরাই’র নতুন কমিটি গঠন ●   পার্বতীপুর প্রেসক্লাবের তফশিল ঘোষণা : ভোট গ্রহণ ৯ ডিসেম্বর ●   বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : চুয়েট ভিসি ●   রাঙামাটির ঘাগড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর ●   অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন এখনও জনআস্থা অর্জন করতে পারেনি ●   জোড়াতালিতে দাঁড়িয়ে আছে ঝালকাঠির বাসন্ডা সেতু ●   মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু জব্দ ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-৯৭ আদ্যোপান্ত শীর্ষক আলোচনা : চুক্তিতে অসংগতি থাকায় শান্তির বদলে অশান্তি বেড়েছে ●   আত্রাইয়ে মেধা যাচাই অনুষ্ঠিত ●   নানিয়ারচর জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার ●   অবিলম্বে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী টার্মিনাল চুক্তি থেকে সরে আসুন ●   রাঙামাটিতে ফের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত : ৩৬ ঘন্টার হরতাল প্রত্যাহার ●   রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’দিনের হরতাল ●   মিরসরাইয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সেনাসদস্যের বাড়িতে ডাকাতি ●   রাঙামাটি নবাগত জেলা প্রশাসকের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ●   রাঙামাটিতে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   গ্রেফতার আতঙ্কে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত, রোগীদের ভোগান্তি চরমে ●   চুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ শুরু ●   রাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ২য় কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন সম্পন্ন ●   মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ ●   অবিলম্বে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী টার্মিনাল চুক্তি থেকে সরে আসুন
রাঙামাটি, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » গুনীজন » মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান খোকন কান্তি বড়ুয়া
প্রথম পাতা » গুনীজন » মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান খোকন কান্তি বড়ুয়া
সোমবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান খোকন কান্তি বড়ুয়া

--- আমির হামজা, রাউজান :: মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে একটি স্বরণীয় ইতিহাস। পাকিন্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯টি মাস যুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা লাভ করেছি লাল-সবুজের পতাকার মাঝে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। সেই যুদ্ধে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খোকন কান্তি বড়ুয়া। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীরা যখন চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে রাউজানের দিকে দফায় দফায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা গোলাগুলি শুরু করেন। তখন এই গোলাগুলির শব্দে দুই উপজেলরার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মানুষের মাঝে শুরু হয় কান্নার আওয়াজ। যে যেখানে পড়েছে পালিয়ে জীবন বাঁচাতে গ্রাম ছেড়েছেন। হাটহাজারী থেকে যখন পাকিস্তানিরা রাউজানের দিকে গোলাগুলি শুরু করেন তখন গহিরা গ্রামের বীর মুক্তিযুদ্ধা খোকন কান্তির বড়ুয়া বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এরপর তারা সেখান থেকে চলেযান ফটিকছড়ি আব্দুল্লাহপুর গ্রামে তাদের মামার বাড়িতে। মাঝে মাঝে নিজের গ্রামের আসতেন তারা, এই সময়ে এদিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা রাউজানের গহিরা চলে আসেন, সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধা খোকন এর মা শুভদা বালা বড়ুয়া ছিলেন পুকুরে। তখন তার মা হানাদার বাহিনীদের দেখে ভয়ে পুকুরে ঘাটের নিছে লুকিয়ে পড়েন। সেইদিন তার মায়ের ভয়ের সেই দূশ্য দেখে  খোকন বড়ুয়া জেগে ওঠলেন, তিনিও শপথ নিলেন এই দেশের জন্য কিছু একটা করতে হবে। সেদিন থেকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য মনস্থির করলাম। “৩টি কবুতর বিক্রি করে কিছু চিরা ও মিঠা কিনে টানা কয়েকদিন হেঁটে হেঁটে। মুক্তিযুদ্বের প্রশিক্ষণ নিতে সোজা ভারতে পৌঁছি। ভারতে যাওয়ার আগে আমরা প্রথমে রাঙামাটি রাজবাড়ি একটি পাহাড়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময়। কিছু পাহাড়ীর চাকমা রাজাকার’রা আমাদের দেখে পাকিস্তানি বাহীদের খবর দিলে তারা এসে আমাদের আক্রমণ শুরু করেন। সেখানে আমার ১৮৬ জনের মধ্যে, ফটিকছড়ি থানার আবদুল্লাপুর গ্রামের দীপক বড়ুয়া ও হাটহাজারী থানার আমান উল্লাহ্ নামে দুইজন নিহত হয়। এরপর আমরা বাকিরা পালিয়ে ভারতের সাপরোম একটি ক্যাম্পে পৌঁছি। সেখানে বেশকিছু দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি আবারও দেশে চলে আসেন। পরে এই যোদ্ধা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১ নম্বর সেক্টরে কাজ করি। বঙ্গবন্ধু দেশকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন বাজি রেখেছেন। সেইদিন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, এই দেশে স্বাধীন যতোদিন না হবে ততদিন পর্যন্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের এই সংগ্রামে আমাদের অবদান রাখতে হবে। তখন আমি ১৬ বছর বয়সে ৯’ম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিলাম। তিনি জানান দেশের লাল-সবুজের পতাকা জন্য মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া ছিলো তার এক অদম্য সাহস আর ইচ্ছাশক্তি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)