সোমবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মাত্র সাত বছর বয়সেই জটিল সব গণিতের সমাধান দিতে পারে শিশু সাদ
মাত্র সাত বছর বয়সেই জটিল সব গণিতের সমাধান দিতে পারে শিশু সাদ
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: বিস্ময়কর এক বালকের সন্ধান পাওয়া গেছে যার বয়স মাত্র ৭ বছর। নাম সামিউন আলিম সাদ। আর এই বয়সে বিশ্বের যেকোন দেশের মানচিত্র আঁকতে পারেন আর জটিল সব গণিতের সমাধান দিতে পারেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সাদ। ২০২০ সালে বাড়ির পাশে একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি করে দেন সাদের বাবা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় শ্রেনী। তবে করোনা মহামারিতে দুই বছরে স্কুল জীবনের এক মাসও ক্লাসে যাওয়া হয়নি শিশু সাদের। স্কুলে না গেলেও এ দু’বছরে সামিউন আয়ত্ত করেছে ইংরেজি ভাষা। এই বয়সে ইংরেজিতে বলে দিচ্ছে সব দেশের ভূমি, পাহাড়, পর্বত আর সাগর মহাসাগরের অবস্থান। পৃথিবীর গঠন- প্রকৃতি ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির বর্ণনা করছে। চোখের পলকে কলমের স্পর্শে একে দিচ্ছে পৃথিবীর যেকোন দেশের মানচিত্র। বলে দিচ্ছে মহাকাশের সব গ্রহ উপগ্রহ আর নক্ষত্রের নাম অবস্থান আর দূরুত্ব। নিমিষেই করে দিচ্ছে অ্যালজেবরা ও জ্যামিতির মতো বিষয়ের জটিল সব সমস্যার সমাধান। সামিউন আলিম সাদ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী আবদুল আলীমের ছোট ছেলে। মা আয়েশা আক্তার কলেজ টিচার। সামিউন দুই ভাই বোনের ছোট। বড় বোন সামিয়া আলীম প্রমি ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাদের বসবাস কালীগঞ্জ শহরের মধুগঞ্জ বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে। গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। তার বাবা আবদুল আলিম জানান, বড় বোন প্রমি হাউজ টিচারের কাছে ইংরেজি পড়ত। তখন সামিউনের বয়স তিন থেকে সাড়ে ৩বছর। সে সময় সে ইংরেজি বই পড়তে চাইতো। এ সময় আমি তাকে ইংরেজি অক্ষর শেখা একটি এ্যাপস আমার এ্যান্ড্রয়েট ফোনে ডাউনলোড করে দিই। তখন থেকে সে আমাদের ব্যবহৃত এ্যন্ড্রোয়েট ফোন নিয়ে ইংরেজি ও আরবি ভাষা শেখা শুরু করে। এ ছাড়া লক্ষ্য করতাম ইউটিউবে বিভিন্ন বক্তৃতা শুনছে। আমরা বুঝতাম না ও কি করছে, তবে নিষেধও করতাম। এরইমধ্যে কয়েক মাসের মধ্যে সাদ সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইংরেজি শুদ্ধ উচ্চারণে রিডিং শিখে যায়। চার থেকে পাঁচ বছর বয়সে তার বোনের গণিত বই থেকে যে কোন জটিল এ্যালজেবরা ও জ্যামিতির সমাধান করে দিয়ে বাড়ির সবাইকে অবাক করে দেয় সাদ। প্রথম থেকে নবম শ্রেনীর সকল গণিত বই এর সকল এ্যালজেবরা ও জ্যামিতির সমাধান সে করে দেখায়। আয়ত্ত করে মহাকাশ ও পৃথিবীর সবদেশের ভৌগোলিক অবস্থানও। সামিউন আলিম সাদ এর মা আয়েশা আক্তার চার্লি জানান, প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি করার পর স্কুল থেকে যে বই দেয় সে বই সামিউন তিন দিনে শেষ করে ফেলে। তার মুখস্থ ক্ষমতা দেখে আমরা অবাক হয়ে যায়। এরপর ছেলে বাহনা শুরু করে দ্বিতীয় শ্রেনীর বই এনে দিতে। তার বাহনায় কৌতুহলি আমরাও তার পরের ক্লাসের বই এনে দিই। এবারও দুই তিন দিনের মধ্যে সব বই পড়া শেষ। এভাবে মাত্র দেড় বছরে প্রথম থেকে নবম শ্রেনীর সকল বই পড়ে শেষ করে ফেলে। কিন্তু তার বেশি আগ্রন জিওগ্রাফি, ম্যাথ ও জ্যামিতি, গ্রহ-নক্ষত্র, ফিজিক্স এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যধি মানুষের শরীরে কিভাবে কাজ করে এবং কি ক্ষতি করে তা নিয়ে। সাদ বাইরে ঘুরতে বা খেলা ধুলা করতে ভালবাসে না, এমনকি টেলিভিশন ও দেখতে চায় না। আবার কোন মেয়েদের সাথে ছবি তুলতে একবারেই নারাজ। মোবাইল ফোনে গেম ও খেলে না। তার কাজ বই পড়া ও ঞ্জান অর্জন ও নতুন কিছু শিখা। কালীগঞ্জ মোস্তবাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, শিশু সাদ অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। আমি নিজে তার সাথে কথা বলেছি। সে কোন কিছু লুকোচুরি না করে কথা বলতে পছন্দ করে। সে ক্লাস নাইনের বীজগণিত এবং জ্যামিতির সমাধান খুব সহজেই করতে পারে। সব থেকে বড় কথা ও সবকিছু বলে ইংরেজিতে। তার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন বিজ্ঞানী, গণিতবিদ অথবা মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার।





ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত
কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ