বৃহস্পতিবার ● ৪ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বছরের পর বছর বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক
বছরের পর বছর বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে বছরের পর বছর বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে অনুমোদনবিহীন হাজার হাজার অবৈধ ইজিবাইক। অনুমোদনবিহীন হাজার হাজার অবৈধ ইজিবাইক চলাচলে কোনো প্রতিকার নেই! সড়ক-মহাসড়ক, শহর-গ্রাম দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কয়েক হাজার ইজিবাইক। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, একটি ইজিবাইকের জন্য মাসে গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। এদিকে গোটা জেলার রাস্তাগুলো ইজিবাইকে ছেয়ে গেছে। ফিডার রোড ছাপিয়ে মহাসড়কগুলোর দখল নিয়েছে ইজিবাইক। নতুন নতুন কারখানা গড়ে তৈরি হচ্ছে ইজিবাইক। সদর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মাহমুদ বলেন, চলতি বছরে ১৭৩টি এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মাত্র ৭৪১টি ইজিবাইকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক আব্দুল কাদের জানান, পৌরসভা এলাকায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ইজিবাইক চলাচল করে থাকে। যার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। কালীগঞ্জ পৌরসভায় নিবন্ধিত ইজিবাইক রয়েছে ৮০০টি। ওজোপাডিকোর অনুমোদিত চার্জিং স্টেশন রয়েছে মাত্র দুটি। এক হাজারের বেশি ইজিবাইক সড়কগুলোতে চলাচল করে থাকে বলে জানা গেছে। হরিণাকু-ু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন জানান, ১০০টি ইজিবাইকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সড়কে চলাচল করছে ৩০০টিরও বেশি। শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম জানান, মাত্র ৭০টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চলাচল করে কমপক্ষে ৪০০ ইজিবাইক। মহেশপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ খান জানান, পৌরসভা থেকে ৪০০টির মতো লাইসেন্স দেওয়া আছে। এর বাইরেও শতাধিক লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক চলাচল করছে। তিনি আরও জানান, প্রতিদিন বহরে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ইজিবাইক। কোটচাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সোহেল ইজিবাইকের সঠিক হিসাব বলতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক শতাধিক ইজিবাইক পৌরসভা এলাকায় চলাচল করে। সূত্র জানায়, জেলার ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দিতে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে হাজার হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ। ওজোপাডিকো জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, জেলায় অনুমোদিত ৬৯টির মতো প্রি-পেইড চার্জিং স্টেশন রয়েছে। সেখানে ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। অনুমোদনহীন স্টেশনের সংখ্যার বিষয়ে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা। তবে মজার তথ্য দিয়েছেন তিনি। তিনি জানালেন ইজিবাইকের জন্য চারটি ট্যারিফে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করা হয়। অপ-পিক আওয়ারে (দিনের বেলা) ৬ টাকা ৮৮ পয়সা, সুপার পিক আওয়ারে (দুপুরে) ৬ টাকা ১১ পয়সা, ফ্লাট রেট ৭ টাকা ৬৪ পয়সা এবং পিক আওয়ারে (সন্ধ্যার পর) ৯ টাকা ৫৫ পয়সা। পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ৫০ মেগাওয়াট। অফ-পিক আওয়ারে ৪০ মেগাওয়াট। গোটা জেলায় সর্বমোট ৩৫টি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রতি ফিডারে তিন ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। কারণ হিসাবে এই কর্মকর্তা জানান, পিক আওয়ারে ৩২ থেকে ৩৩ এবং অফ-পিক আওয়ারে ২২-২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাপ্লাই পাচ্ছেন তারা। লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। অন্য একটি সূত্র জানায়, ওজোপাডিকো জেলার হরিণাকু-ু উপজেলা শহর ছাড়া ৫টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। এর মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৬ হাজার ৩২টি। জেলা পল্লী বিদ্যুতের জিএম মো. ইছাহাক আলী সাংবাদিকদের এ বিষয়ে তথ্য দিতে রাজি হননি। আরেকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ৯০ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ মেগাওয়াট।





ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত
কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ