শিরোনাম:
●   মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার করা সেলিমের কিডনি সচল অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতায় ভোগছেন ●   দাখিলেও দেশসেরা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা ●   সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে ●   মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ার থেকে উদ্ধারকৃত সেলিমের কিডনি অক্ষত ●   আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এডভোকেট মঈনুলকে সংবর্ধনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে ●   পাইন বাগান নব নির্মিত মাদরাসার ভবন ও হেফজ খানার উদ্বোধন ●   বামপন্থী নেতা হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক ●   ঘোড়াঘাটে ট্রাক চাপায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর মৃত্যু ●   রাবিপ্রবিতে GST গুচ্ছভুক্ত C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   চুয়েটে ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং ফর ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স-২ শীর্ষক প্রশিক্ষণ ●   ঝালকাঠিতে ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার ●   টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি ●   গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান এলিম, ভাইস-চেয়ারম্যান নাবেদ, শিলা ●   মিরসরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নয়ন বিজয়ী ●   কুষ্টিয়া সদরে আতাউর রহমান খোকসায় শান্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত ●   সন্দ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক বিতরণ ●   গোলাপগঞ্জে পুনঃনির্বাচিত মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম ●   ঘোড়াঘাট উপজেলায় শুভ চেয়ারম্যান,বাবু ও নার্গিস ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাটির নিচে পাওয়া গেলো প্রাচীন রৌপ্য মুদ্রা ●   ঘোড়াঘাটে ভোট গণনা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা ●   কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান সামশু দোহা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিংবাইউ নির্বাচিত ●   সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান আনোয়ার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হালিমা নির্বাচিত ●   নির্বাচনী ডিউটিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও ●   হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ ●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিরসরাইয়ে ভোটার ৩ লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন ●   প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল ●   রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব ●   ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ●   ঘোড়াঘাটে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন
রাঙামাটি, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ৬ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » নায়িকা শাবানার শৈশবের কাটানো গ্রামের বাড়ি
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » নায়িকা শাবানার শৈশবের কাটানো গ্রামের বাড়ি
৪০৮ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৬ জুলাই ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নায়িকা শাবানার শৈশবের কাটানো গ্রামের বাড়ি

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানের মেয়ে নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়িকা শাবানা। ছোটবেলায় পরিবারের সঙ্গে উপজেলার পশ্চিম ডাবুয়ায় নায়কা শাবানার শৈশব কেটেছিল নিজ গ্রামে। তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যাই অনেক বছর আগের পুরাতন সাদা রঙের একটি বাড়ি। সেই সময়ের ইটের তৈরি একটি টিনের ঘর। ঘরের দেয়াল-দরজা আর লাগানো তালায় ঝং ধরে আছে যেন বহু বছর ধরে। শাবনার সেই সাদা রঙের বাড়ি পাশে রয়েছে অনেক পুরাতন চন্দ্রীমা নামে একটি পাকা এক রুমের ঘর সেখানেও বড় হওয়ার পর থাকতো তিনি। এখনো যেন ঘরে বাহিরে শাবনার সব স্মৃতি হেঁটে বেড়েছে। জানা যায় গত জুন মাসের কোন একসময় নায়কা শাবনার আপন দুই বোন রিজভি ও রনজিনা তারা গ্রামে আসেন। কয়েকটি দিন গ্রামে সময় কাটিয়ে আবারও চলে যান। নায়কা শাবানকে গ্রামে আফরোজা সুলতানা (রত্না) নামে তাঁর পরিচিতি ছিলেন। ঢাকায় চলে যাওয়ার পর আফরোজা সুলতানা (রত্না) পরিবতে তাঁর শাবানা নামটি রাখা হয়। ছোটবেলায় তার শৈশবের দিনগুলো রাউজানের ঐ গ্রামে খেলাধুলা পড়াশোনার মধ্যে সময় কেটেছিল প্রকৃতির সঙ্গে। এখনো যেন সেই গ্রামে তাঁর শৈশবের সব স্মৃতি গ্রামের বাড়িতে রয়েছে। তাঁরা ঢাকায় চলে যাওয়া পর কয়েক বার নিজের শৈশব কাটানো জন্মস্থানে আসা হলেও, নিজ গ্রামে এখন শাবানর পদচারণা পড়ে না বললেই চলে। তাকে একবার দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে গ্রামের অসংখ্য মানুষ। শাবানার গ্রামের মানুষেরা জানান, গত ১৬ বছর আগে শাবানা গ্রামে এসেছিলেন, তারপর আর সেই গ্রামে তার পদচারণা এখনো পড়েনি। শাবানা গ্রামের বাড়িতে না আসলেও ২০১০ সালের দিকে শেষ একবার শাবানার মা ফজিলাতুন্নেসা এই বাড়িটিতে আসেন। তখন তিনি সেখানে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
নায়কা শাবানা ৫ ভাই-বোনের মধ্যে সেই সবার বড়, তাঁর ভাইয়ের নাম রিপন, শাহীন, বোন রিজভী ও রনজিনা। শাবানাদের বাড়ির সঙ্গে লাগানো হয়েছে তাঁর দুই চাচার বাড়ি। শাবানা গ্রামে থাকা অবস্থায় স্থানীয় রামসেবক প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হয় রাউজান আর.এস.সসি সরকারি হাই স্কুলে পড়া অবস্থায় পরবর্তীতে বাবার চাকরির সুবাদে তাঁকে ঢাকার গেন্ডারিয়ার মনিরা রহমান গার্লস হাই স্কুলে ভর্তি হন তিনি। সেখা মেটিক পাস করেন। জানা যায়
রাউজানের ঐতিহ্যবাহী ঘটনার মলকা বানু ইতিহাস নিয়ে জনপ্রিয় ছবি মলকা বানু’র শুটিং করেছিলেন শাবানা রাউজানের কয়েকটি এলাকায়। শাবানার চলচ্চিত্রে ইতিহাস টেনে জানা যায়, ১৯৬৭ সালে (চকোরী) চলচ্চিত্রে নাদিমের বিপরীতে নায়িকা হয় শাবানা, ছবির পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। পরে একে একে ৫০০ টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তবে জুটি হিসেবে নায়ক আলমগীর-শাবানা জুটি ছিল বাংলাদেশের সিনামা জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সেই সঙ্গে এই জুটির রেকর্ড গড়েন শাবানা। নায়ক রাজ্জাক, ওয়াসিম, জসিমসহ অসংখ্য ছবিতে তার অভিনয় ছিল দেখার মতো। পরে ১৯৯০ কাছাকাছি সময়ে তিনি বেশির ভাগ ছবিতে ভাবি বা মায়ের অভিনয় করতেন। সেখানেও তার অভিনয় দর্শকের মনে জায়গা করে নেন। ২০০০ সালে হঠাৎ রূপালী জগৎ থেকে তিনি আড়ালে চলে যান। এরপর আর কোন ছবিতে তাকে দেখা যাইনি। ষাট দশকের শেষ থেকে নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রামের রাউজানের মেয়ে নায়কা শাবানার অভিনয়।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে বসবাস করছেন শাবানার পরিবার। মাঝে মাঝে ঢাকায় আসতে দেখা গেলেও কিন্তু নিজের গ্রামের বাড়ি যেখানে তাঁর জন্ম রাউজানে এক যুগের বেশি সময় ধরে তাঁরা আসা হয়নি। তার নিজ গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারা বলেন শাবানা দাদুকে দেখার অনেক স্বপ্ন। আর গ্রামের মানুষরা প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন গ্রামের সবার প্রিয় রত্না। হয়তো কোন একদিন সবাইকে দেখতে আসবেন।





আর্কাইভ