শিরোনাম:
●   পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ, সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ●   আত্রাইয়ে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন ●   ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ●   স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার ●   সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলতে পারলেই স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   রুমার জঙ্গল থেকে গুলিবিদ্ধ দুইটি মরদেহ উদ্ধার ●   কাউখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ক মতবিনিময় সভা ●   মিরসরাইয়ে এসএসসি ২০২০ ব্যাচের দিবারাত্রি অলিম্পিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ●   ২০২৩ সালের সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুনাইদ ●   পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ের চিত্র বদলে দিয়েছে : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ●   ৮ বছর পর খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন ●   ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলুন ●   রাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ●   মানিকছড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা ●   কাপ্তাই হ্রদের চারটি উপকেন্দ্র থেকে সাড়ে ১৫ কোটির উর্ধ্বে শুল্ক আয় করেছে বিএফডিসি ●   পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   ঘোড়াঘাটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ড্রাইভার ও হেলপার নিহত ●   অবিলম্বে ‘হিট ইমারজেন্সী ‘ জারী করুন, সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন ●   ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকগন ●   ঈশ্বরগঞ্জে মহিলা এমপি ব্যরিস্টার ফারজানাকে বরণ ●   মানিকছড়িতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু ●   অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা ●   নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা ●   সাজেকে নিহত ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ●   রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত ●   সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক ●   আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে রাঙামাটিতে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   তীব্র দাবদাহে মধ্যে কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার প্রক্রিয়া করেছে বন বিভাগ ●   কাপ্তাই সড়কে রাতেও চলছে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ●   রাঙামাটিতে চোরাই কাঠ ও বিদেশী সিগারেটসহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করেছে দক্ষিণ বন বিভাগ
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১৯ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » মুক্তমত » ফরহাদ মজহার ও আমাদের নিরাপত্তাহীনতা
প্রথম পাতা » মুক্তমত » ফরহাদ মজহার ও আমাদের নিরাপত্তাহীনতা
৮৫৭ বার পঠিত
বুধবার ● ১৯ জুলাই ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফরহাদ মজহার ও আমাদের নিরাপত্তাহীনতা

---

সিরাজী এম আর মোস্তাক :: (৪ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১.৫৩মি.) ৬ জুলাই, ২০১৭ ইং তারিখে দৈনিক প্রথম আলোতে বিশিষ্ট লেখক ও কবি ফরহাদ মজহারের (৩ জুলাই) অপহরণ বিষয়ে একটি ভয়ঙ্কর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টটি সঠিক হলে, তা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। রিপোর্টটির শিরোনাম, “ফরহাদ মজহারকে মারধর করে অপহরণহারীরা (পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দি)”। সেখানে উল্লেখ হয়েছে, ‘অপহরণকারীরা ফরহাদ মজহারকে মাইক্রোবাসে তুলেই মারধর করে এবং বলে, ‘তুই বেশি বাড়াবাড়ি করছিস।’ বর্ণণাক্রমে সেখানে আরো উল্লেখ হয়েছে, ‘সেদিন (৩ জুলাই) রাতে ফরহাদ মজহার হানিফ পরিবহনে যশোরের নওয়াপাড়া বাজার অতিক্রম করে বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সামনে এলেই বাসটি থামানো হয়। অভয়নগর থানার পুলিশ বাসটির সুপারভাইজার হাফিজুর রহমানকে ফোন করে বাসটি থামাতে বলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ফরহাদ মজহারকে বাস থেকে নামিয়ে আনে। পরে র‌্যাব-৬ এর একটি দল তাঁকে পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে তাদের গাড়িতে তোলে। এ নিয়ে পুলিশ ও র‌্যাবের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে র‌্যাব তাঁকে নিয়ে উল্টোপথে খুলনার দিকে যেতে থাকে। তখন পুলিশের গাড়িটিও র‌্যাবের গাড়ির পিছু নেয়। প্রায় ১০ কিলোমিটার যাবার পর খুলনার ফুলতলায় ডিআইজির নির্দেশে পুলিশের আরো গাড়ি র‌্যাবের গাড়িকে ব্যারিকেড দেয়। র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এই অবস্থায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর পুলিশ ফরহাদ মজহারকে ঢাকায় নিয়ে যায়।’ এ রিপোর্টটি সঠিক হলে জনাব ফরহাদ মজহারকে ৪ জুলাই আদালতে তোলা ও জবানবন্দি নেয়ার প্রয়োজন ছিলনা। বিভিন্ন স্তরে তদন্তেরও দরকার ছিলনা। র‌্যাব-পুলিশের উল্লেখিত বিরোধে স্পষ্ট হয়েছে যে, ঘটনাটি সুপরিকল্পিত।
ফরহাদ মজহার একজন সাদামাটা মানুষ। সবসময় লুঙ্গি ও পাঞ্জাবী পরেন। মানিব্যাগের পরিবর্তে মেয়েদের মতো কাছে রাখেন ছোট্ট ব্যাগ। জীবনের শেষ বয়সে এসে বিবেকের তাড়ণায় সত্যের পক্ষে সৎসাহস দেখান। হয়তো এ সৎসাহসের পরিণামই হাড়ে-হাড়ে টের পেলেন। রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পর চরম মনোভঙ্গুর অবস্থা সত্ত্বেও আদালতে জবানবন্দি দিতে বাধ্য হলেন। এখন উক্ত জবানবন্দি ও পুলিশের তদন্তে পার্থক্য দেখা গেছে। হয়তো ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে সাধারণ মানুষও বলির পাঠা হচ্ছে। প্রশাসনের বহু কর্মকর্তাও এর শিকার হয়েছে। ফরহাদ মজহার ছাড়াও বহু ঘটনা রয়েছে।
২০১৬ সালে মহামান্য আদালত জঙ্গি ফাহিম নামে এক যুবককে ১০দিনের রিমান্ড দেয়। পুলিশের কাছে রিমান্ডে থাকার ২য় দিনে হাতকড়া অবস্থায়ই কথিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে সে নিহত হয়। এতে স্পষ্ট হয়, কথিত সন্ত্রাসীরা পুলিশের চেয়েও শক্তিশালী! তারা পুলিশের যিম্মায় থাকা ব্যক্তিকেও হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় পুরো জাতি স্তম্ভিত হয়। এর পরপরই কথিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা দেশে বেশকটি দুর্ধর্ষ ঘটনা ঘটে। ১ জুলাই, ২০১৬ তারিখে গুলশান হলি আর্টিজান রেষ্টুরেন্টে হামলা তার অন্যতম। সেদিন কথিত মাত্র ছয় জঙ্গি গ্রেনেড ছুঁড়ে ২পুলিশ হত্যা ও ৪০পুলিশকে আহত করার পর অবিশ্বাস্যভাবে ১৫বন্দিকে ছেড়ে দেয়। আর আমাদের দক্ষ প্রতিরক্ষা বাহিনী তাৎক্ষণিক অভিযান না চালিয়ে জঙ্গিদেরকে সারারাত অবকাশ দেয়। সন্ত্রাসীরা অবকাশ পেয়ে ২০জন বন্দিকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং হোটেলের রক্তাক্ত মেঝেতে সারারাত নিরবে কাটায়। পরদিন ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ শুরু হলে, সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করে নিহত হয়। তাদের পরিচয় এখনো স্পষ্ট নয়। কথিত পরিবার-পরিজন জঙ্গিদের লাশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। এতে সবাই বিস্মিত হয়। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।
এভাবে সিলেটে জঙ্গি অভিযানকালে ২/৩ মাইল জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও আচমকা হামলায় র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা আজাদ আহত হয়। তাকে বিমানে করে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। মুমূর্ষু সত্ত্বেও একদিনের মধ্যে দেশে ফিরে আনা হয়। এরপর ২দিনের মধ্যে সে মারা যায়। সিঙ্গাপুরের মতো সভ্য দেশে একজন বিদেশী মুমূর্ষু রোগীকে এভাবে ছাড়পত্র দেয়ার কথা নয়। মূলত সরকার যা জানায়, জনগণকে তাই মানতে হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার বা প্রতিবাদ করার সাহস কারো নেই। ফলে দেশের দক্ষ প্রতিরক্ষাবাহিনী, প্রতিবন্ধী বিরোধীদল ও সচেতন মানবাধিকার কর্মীসহ সবাই সরকার প্রদত্ত ‘সিঙ্গাপুরী বাঁশ’ মেনে নেয়। এতে দেশের নিরাপত্তাহীনতা প্রকাশ পায়।
উল্লেখিত বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোটেও ভালো নয়। র‌্যাব-পুলিশের বাগবিতন্ডা, পুলিশের যিম্মায় থাকা সত্ত্বেও কথিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, গুলশান হলি অর্টিজান রেষ্টুরেন্টে মাত্র ছয় জঙ্গির হলিখেলায় প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং সবশেষে সিঙ্গাপুরী বাঁশ দেখিয়ে সেনা কর্মকর্তা হত্যা, এসব মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। বরং আশংকা হচ্ছে, যেকোন সময়ে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে। বিডিআর বিদ্রোহের মতো বা তার চেয়েও মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ফরহাদ মজহারের বিষয়টি একটি হুমকি ধরে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
শিক্ষানবিশ আইনজীবী, ঢাকা, [email protected]





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)