শিরোনাম:
●   রাউজানে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ●   প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল মানুষ এক ছাতার নিচে বাস করবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   সন্দ্বীপে কালভার্ট নয় যেন মরণ ফাঁদ ●   নির্বাচনী ডিউটিতে অর্থের বিনিময়ে অপ্রশিক্ষিত আনসার সদস্য নিয়োগের অভিযোগ ●   উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ে যাচ্ছে চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী ●   উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কমবে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ●   আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক ●   পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ●   কাউখালীতে প্রান্তিক পর্যায়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্মূলে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন ●   খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা আধাবেলা অবরোধ পালিত ●   শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক শিক্ষকদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ●   স্কুলের মালামাল নিয়ে যাওয়ায় থানায় অভিযোগ ●   সন্দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই ●   কুষ্টিয়াতে সামাজিক দ্বন্দে স্বজনদের হামলায় ভাতিজা নিহত ●   আবারো উত্তপ্ত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা ●   রাজধানীতে তিন পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন ●   প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে পল্লী চিকিৎসকের আত্মহত্যা ●   এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের ●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : বিয়ানীবাজারে প্রতিক বরাদ্দ ●   রাঙামাটি লেকসিটি নার্সিং কলেজে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন ●   তহসিলদার শরিফুলের ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা ●   ঈশ্বরগঞ্জে কোটি টাকা ইজারা বকেয়া আদায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা ●   গুইমারায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামী গ্রেফতার ●   মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার করা সেলিমের কিডনি সচল অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতায় ভোগছেন ●   দাখিলেও দেশসেরা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা ●   সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে ●   মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ার থেকে উদ্ধারকৃত সেলিমের কিডনি অক্ষত ●   আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এডভোকেট মঈনুলকে সংবর্ধনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে
রাঙামাটি, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ১০ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব জাহানের শান্তি কামনা
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব জাহানের শান্তি কামনা
৫৩৫ বার পঠিত
রবিবার ● ১০ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গাজীপুরে বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব জাহানের শান্তি কামনা

---

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: সারা দুনিয়াকে হেফাজত, দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও বিশ্ব শান্তি কামনার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ৫০তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হলো৷

১০ জানুয়ারি রবিবার সকাল ১১টা ৭ মিনিটে শুরু হয়ে মোনাজাত শেষ হয় ১১টা ৩২ মিনিটে৷

মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সা’দ৷ আরবি ও উর্দু ভাষায় মোনাজাত করেন তিনি৷ এ সময় তার সঙ্গে হাত তোলেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি৷

মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন সবাই৷

এ সময় আব্দুল্লাহপুর থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত, টঙ্গীর নতুন বাজার থেকে ঢাকার তুরাগ থানার কামারপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়৷ আখেরি মোনাজাতের আগে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকার সড়ক-মহাসড়ক, অলি-গলি ও খালি জায়গায় মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়৷ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ইজতেমা এলাকা৷ আশপাশের উঁচু ভবনগুলোর ছাদে বসে নারী মুসল্লিদের মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়৷

ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে অনেক মুসল্লি খবরের কাগজ, পাটি, বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে কামাড়পাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন৷

এমনকি বাসা-বাড়ি ও কারখানার ছাদ, নৌকা, বাসের ছাদ, ফুটওভার ব্রিজ যে যেখানে পেরেছেন সেখানে বসেই দু’হাত তুলে মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন৷

এ ছাড়া আখেরি মোনাজাতের জন্য রবিবার আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালত ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ৷ কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা না হলেও কর্মকর্তাদের মোনাজাতে অংশ নিতে বাধা ছিল না৷

এদিকে ইজতেমা ময়দানে স্থাপিত পুলিশের কন্ট্রোল রুমে মোনাজাতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম৷

অপরদিকে ইজতেমা ময়দানের বাইরে পর্যাপ্ত মাইকের সংযোগ ব্যবস্থার অভাবে বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমান বয়ান শুনতে এবং সময়মতো আখেরি মোনাজাতে শামিল হতে দারম্নণ অসুবিধা ও বিভ্রানন্তিতে পড়েন৷ নারীদের জন্য কোনো ধরনের আয়োজন ছিল না ইজতেমা মাঠে৷ তবু দলে দলে নারী এসেছেন দূরদূরান্ত থেকে আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ৷ ইজতেমাস্থলেও আশপাশের বহুসংখ্যক নারী আখেরি মোনাজাতে শামিল হন৷

এছাড়া গাড়ির অভাবে যারা ইজতেমাস্থলে আসতে পারেনি তারা মোবাইল ফোন ও ওয়্যারলেস সেটের মাধ্যমে মোনাজাতে শরিক হন৷ ইজতেমা মাঠে না এসেও মোনাজাতের সময় হাত তুলেছেন অসংখ্য মানুষ৷ গাজীপুরের চন্দনা চৌরাসত্মা মসজিদ মাঠসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়্যালেস সেটে, মুঠোফোনেরও মাধ্যমে মোনাজাত প্রচার করা হয়৷ এসব স্থানে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল৷ আবার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সমপ্রচার করার কারণে অনেকে বাসায় বসেও মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন৷

গাজীপুর জেলা পুলিশের পরিদর্শক মনিনুল ইসলাম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে বাংলাদেশে আয়োজিত ৫০তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দফায় আখেরি মোনাজাতে কয়েক লাখ মুসলিস্ন অংশ নেন৷ পাশাপাশি বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ৮ হাজার বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন এবারের ইজতেমায়৷
মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নেয়৷

এবার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপে অংশ নিয়েছেন ঢাকাসহ ১৭টি জেলার তাবলিগের মুসলিস্নরা৷ ১৫ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেবে ঢাকাসহ ১৬টি জেলার মুসল্লিরা৷ আগামী ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এ বছরের দু’ধাপের বিশ্ব ইজতেমা৷ এ দুই ধাপে ৩৩টি জেলার মুসলিস্নরা অংশ নিচ্ছেন৷

বিশেষ ট্রেন:

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আখাউড়া, কুমিল্লা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এ ছাড়া আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে৷

আখেরী মোনাজাতে শাটল বাস চালু:

বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে মুসলিস্নদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে গাজীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ মুসল্লিরা মোনাজাত শেষে বিনা ভাড়ায় চান্দনা চৌরাস্তা ও মিরের বাজার পর্যন্ত শাটল বাসে যাতায়ত করতে পারবেন৷

১০ জানুয়ারি রবিবার সকালে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ পিপিএম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার যে সব মুসলিস্ন আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন তারা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন সেজন্য মোনাজাত শেষে ইজতেমা ময়দান থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ও মিরের বাজার পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

তিনি জানান, আখেরি মোনাজাতের পর পরই এ দু’টি রোডে বিশেষ শাটল বাসগুলো যাত্রী পরিবহন শুরম্ন করবে৷ যতক্ষণ পর্যনত্ম মুসল্লিরা ময়দানে থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বিআরটিসির শাটল বাস মুসল্লিদের পরিবহন করবে৷ এজন্য মুসল্লিদের কোনো ভাড়া দিতে হবে না৷

বিশ্ব ইজতেমায় ৯ মুসল্লির মৃত্যু:

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে ১০ জানুয়ারি রবিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া ৯ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে৷

ইজতেমার মুরম্নব্বী গিয়াস উদ্দিন আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, রবিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ১জন বিদেশীসহ মোট ৯ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে৷ এদের মধ্যে বেশীই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷

তিনি জানান, ১০ জানুয়ারি রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মোনাজাত চলাকালে হাফেজ আবুবক্কর (৬০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়৷ তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার উলিপুর এলাকায়৷ রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়৷

এদিকে রবিবার ভোর পৌণে ৫ টার দিকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর সদর উপজেলার লক্ষিপুর এলাকার মৃত কাছিম উদ্দিনের ছেলে দলিলুর রহমান (৭৫), বার্ধক্যজনিত এবং শ্বাস কষ্টজনিত কারণে একই জেলার ভেন্নাবাড়ি হরিনারায়নপুর এলাকার মীর হোসেন আকন্দের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৬০) রাত ১ টার দিকে মারা যান৷

গত শনিবার সকালে ঢাকা থেকে ইজতেমায় আসার সময় ইন্দোনেশিয়ান এক নাগরিক মারা যায়৷ তার নাম মি.পুর্নম সোপান ওরফে সোফা হাজী (৬৭)৷ সোফা হাজী হঠাত্‍ অসুস্থ্য হলে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিত্‍সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ গত শুক্রবার রাতে সোফা হাজী ইজতেমায় যোগ দিতে বাংলাদেশে এসে পৌছায়৷ ইজতেমা ময়দানে এশার নামাজের পর শনিবার তার জানাযার নামাজ শেষে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের কবরস্থানেই দাফন করা হয়৷

শনিবার ভোর ৫ টার দিকে হঠাত্‍ অসুস্থ্য হয়ে ইজতেমার ময়দানে সিলেটের মুসলিস্ন আলাউদ্দিন (৭০) মারা যান এবং রাত দেড়টার দিকে হৃদরোগে আক্রানত্ম হয়ে মারা যায় আবুল বাশার (৬০)৷ বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলার রনকালি এলাকার জয়নাল আবেদীন (৫৫), কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চকলাপাড় গ্রামের নূরুল ইসলাম (৭২) ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার বটিয়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন (৬৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷

এবার যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর বসেনি:

প্রতিবছর ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হলেও এবার সে আসর বসেনি৷

ইজতেমার মুরবি্ব মাহফুজুল ইসলাম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ‘ইজতেমায় বিয়ের আয়োজন করা হলে শুধু তাবলিগের মুসলিস্নরা জানতে পারেন৷ বর-কনের পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতে পারেন না৷ এতে পরিবারে বিয়ের আনন্দটা কমে যায়৷ তাই এবার ইজতেমা ময়দানে যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়নি৷’

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল চার্জ ৫০ টাকা:

মোবাইলে চার্জ অ্যান্ড্রয়েড ৫০ টাকা, নরমাল ৩০ টাকা৷ গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা৷ আর এই ইজতেমাকে ঘিরেই অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে মোবাইল চার্জ দেয়ার এই জমজমাট ব্যবসা৷ ৯ জানুয়ারি শনিবার ইজতেমা মাঠে প্রবেশে ১৮টি পথ এবং আশপাশের এলাকার অলিগলিতে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে৷ চার্জের দোকানগুলোতে যাওয়ার আগেই চোখে পড়বে ‘এখানে মোবাইল চার্জ দেয়া হয়৷ এখানে মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা আছে’ লেখা ব্যানার-ফেস্টুন৷

ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে টঙ্গীর আশরাফাবাদে আশরাফ-সেতু শপিং কমপ্লেক্সে পাশে ছোট গলির ভেতরে একটি ছোট টেবিলের উপরে প্রায় ৭০টি মোবাইল চার্জ দেয়ার চার্জার নিয়ে বসে আছেন বছর ত্রিশের যুবক আক্তার হোসেন৷ তার চার্জারে ছিল তখন ১৮টি মোবাইল৷

আক্তার হোসেন আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ‘আমি এবারই প্রথম মোবাইল চার্জ দেয়ার ব্যবসা করছি৷ সকাল থেকে এই পর্যন্ত ২০০টির মতো মোবাইল চার্জ দিয়েছি৷ আমি প্রতিঘন্টায় অ্যান্ড্রয়েড সেট প্রতি ৫০ টাকা নিচ্ছি৷ আর যেগুলো ক্যামেরা ছাড়া বা খুব কম দামের সেট সেগুলো ৩০ টাকা নিচ্ছি৷’

এতো টাকা নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই আপনারা শুধু দেখেন বেশি টাকা নিচ্ছি৷ কিন্তু ছয় দিনের জন্য এই টেবিলটার জায়গা নিয়েছি ৮ হাজার টাকা দিয়ে৷ তারপর এই মাথার উপরের বাতিটার জন্য দিনে ২০০ এবং রাতে ২০০ টাকা দিতে হয়৷ তারপর আমরা দুইজনে এটা করি, আমাদের খরচ আছে না? বরং আমি অ্যান্ড্রয়েড সেট ১০ টাকা কম নিচ্ছি৷ পাশেই একটু খবর নেন তারা ৬০ টাকা নিচ্ছে৷ আমরা এটাকে ব্যবসা মনে করি না, এটা মানুষের পাশে দাঁড়ানো মনে করি৷’

৮ হাজার টাকা কারা নিচ্ছে জানতে চাইলে আক্তার বলেন, ‘ভাই এটা বলা যাবে না৷ তাহলে আমার এ কাজটা বন্ধ হয়ে যাবে৷’

মোবাইল চার্জ দিতে আসা মুসল্লিদের কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে থাকেন কি না জানতে চাইলে আক্তার হোসেন বলেন, ‘মোবাইল চার্জ দিতে রাখার সময় আমরা একটি খাতায় তারা নম্বর এবং নাম লিখে রাখি৷ সেই সঙ্গে তাকে আমরা ভিজিডিং কার্ডের পিছনে একটি নম্বর লিখে দেই৷ মোবাইল মালিক পরবর্তীতে ওই কার্ড দিলেই তার মোবাইল দিয়ে দেই৷ আবার অনেকে শুধু ব্যাটারি চার্জ দিতে আসেন, তাদেরকেও আমরা একই ধরনর ব্যবস্থা দিয়ে থাকি৷ এতে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না৷’

এ সময় সেখানে মোবাইল চার্জ দিতে আসা গাইবান্ধার পালাশবাড়ী এলাকার শরীফ উদ্দিন ভূঁইয়া আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ‘আমি এই হলো তিনবার ইজতেমায় আসছি৷ প্রথমবার মোবাইল চার্জ দিয়েছি ৫ টাকায়৷ এরপর ১০ টাকায়৷ এবার দিলাম ৩০ টাকায়৷ এখানের সব দোকানেই একই দাম চায়৷ তাই এই দোকানে চার্জ দিচ্ছি৷’

তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একই এলাকার আছমত আলী আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ‘এবারই ইজতেমায় প্রথম আসছি, সব জিনিসেরই দাম অনেক বেশি৷ মোবাইল চার্জ দিতে যদি এই দেশে ৫০ টাকা লাগে তাইলে আমরা যাবো কই বলেন! ফোন যদি বন্ধ থাকে বাড়ির লোকজন চিনত্মা করবে, তাই বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়ে চার্জ দিচ্ছি৷’

ওই গলিতে আরো বেশ কয়েকটি মোবাইল চার্জের দোকান রয়েছে৷ প্রতিটিতেই নরমাল মোবাইলে চার্জ দেয়া বাবদ ৩০ টাকা এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে নিতে দেখা গেছে৷

আব্দুলস্নাহপুর বেড়িবাঁধের কামারপাড়া এলাকায় অস্থায়ী মোবাইল চার্জের ব্যবসা করছেন নুরম্নল ইসলাম৷ তিনি আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ‘আমার কাছে এক সাথে ২৫০টি মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ আমার কাছে যারা মোবাইল নিয়ে আসে আমি ফুল চার্জ দিয়ে দেই৷ ২০ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে থাকি৷ খরচ একটু বেশি তাই এবার টাকা বেশি নিচ্ছি৷ গতবার ১০ টাকা করে নিয়েছিলাম৷ তাছাড়া অনেক দূর থেকে লাইন এনেছি, সেখানে প্রতিদিন পাঁচশ টাকা বিদ্যুতের খরচ দিতে হয়৷’

এসময় সেখানে মোবাইলে চার্জ দিতে আসা আজিজুল ইসলাম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় তিনগুণ টাকা বেশি নিচ্ছে৷ তবে মনে কষ্ট নেই, কারণ ওনারা মোবাইলে চার্জ দেয়ার এ ব্যবস্থা করার কারণে আমরা চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা তো পেয়েছি৷’

এদিকে ইজতেমার মাঠকে ঘিরে মোবাইল চার্জের পাশাপাশি ফ্ল্যাঙ্ িলোডসহ মোবাইলের বিভিন্ন জিনিস নিয়েও দোকান বসেছে৷

উলেস্নখ্য, ১৯৪৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা৷ ঢাকার রমনা উদ্যান সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয়৷ ১৯৪৮ সালে ইজতেমা হয় বর্তমানে যেখানে হাজিক্যাম্প ময়দানে৷ ১৯৫৮ সালে ইজতেমা হয় সিদ্ধিরগঞ্জে৷ স্থানসংকুলান না হওয়য়ায় ১৯৬৬ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ের মাঠে ইজতেমা শুরম্ন হয়৷
গাজীপুরে বিশ্ব ইজতেমায় ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি,আটক ১
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শেষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাসত্মায় চাঁদাবাজি শুরু করে৷ এতে পুলিশ বাধা দিলে তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগ নেতারা৷ এ অভিযোগে সৈকত (২৫) নামে এক ছাত্রলীগ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ৷

১০ জানুয়ারি রবিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্থানীয় মধুমিতা রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷

বিশ্ব ইজতেমার পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, আখেরি মোনাজাতের পর ছাত্রলীগ কর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্থানীয় মধুমিতা রোড এলাকায় ফুটপাতের প্রতি দোকান থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছিল৷ এ সময় ওই এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেয়৷

এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে চাঁদাবাজদের বাকবিতন্ডা হয়৷ এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের ৭-৮ জন নেতাকর্মী পুলিশের তিন সদস্যকে ধরে জোরপূর্বক একটি গলির ভেতর নিয়ে যায় এবং তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে৷ পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ খবর পৌঁছালে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে৷

এ সময় পুলিশ টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সদস্য সৈকতকে আটক করতে সক্ষম হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়৷ পরে তাকে প্রথমে ইজতেমা ময়দানের পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে টঙ্গী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়৷

জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত নিজেকে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সদস্য বলে দাবি করে এবং পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে তার সহযোগী টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নাঈম, থানা ছাত্রলীগের সদস্য শাকিল, রনি, মানিক, শহিদুলের নাম প্রকাশ করে৷ পালিয়ে যাওয়া অন্যদের তিনি চিনেন না বলে পুলিশকে জানান৷
গাজীপুরে চাঁদা না পেয়ে দোকানে হামলা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদা না পেয়ে দোকানে হামলা ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা৷

৯ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে টঙ্গীর চেরাগআলী মার্কেটের একটি চশমার দোকানে একদল চাঁদাবাজ ৫ লাখ টাকা চাঁদা করে মালিকের নিকট৷ চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ককটেল হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়৷ তাদের হামলায় দোকানের মালিকসহ ৫জন আহত হয়৷ এসময় তারা একটি মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করে৷

দোকান মালিক ওমর ফারুক মনির আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানায়, চেরাগআলী মার্কেটে তাদের কলেজ অপটিকস নামের দোকানটিতে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে ১৪/১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত৷ এসময় কিছু বুজে উঠার আগেই ভাঙচুর চালিয়ে চলে যায়৷ হামলা চলাকালে ভয়ে লোকজন দিক-বিদিক ছোটাছুটি শুরম্ন করে৷

পুলিশ আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানায়, চেরাগআলী এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ভালস্নুইকা ইসমাইল ও হোয়াইট রনির নেতৃত্বে ১৪/১৫জনের চাঁদাবাজ দলটি এ হামলা চালায়৷ হামলাকারীরা আশপাশের কয়েকটি দোকানেও হামলা চালায় বলে দোকান মালিকরা জানান৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও চাঁদাবাজদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি৷

পুলিশ আরো জানায়, চশমার দোকানের মালিক তাদের একটি গাড়ি দোকানের সামনে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়৷ এ ঘটনায় টঙ্গী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)