মঙ্গলবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে ৭১ বছরেও শহীদ মিনার নেই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
বাগেরহাটে ৭১ বছরেও শহীদ মিনার নেই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক তৃতীয়াংশে নেই শহীদ মিনার। উপজেলার ৩০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬০টিতে নেই শহীদ মিনার। সরকারিভাবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মানের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে শহীদ ব্যধীতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ হয় অস্থায়ী ভিত্তিতে শহীদ মিনার করে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলাগাছের শহীদ মিনার তৈরি করে ফুল দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনার নির্মানে সরকারি কোন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া না হলেও স্থানীয় উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০২১ সালে ৯ মে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে অভিন্ন শহীদ মিনার তৈরি করতে।
সারাদেশে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নকশা পাঠানো হয়। পাঠানো হয় শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শহীদ মিনার তৈরির যাবতীয় তথ্য। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয় সেই সময়ে। সরকারের এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নে এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হয়নি শহীদ মিনার। মাত্র ৪৯টি বিদ্যালয়ে রয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার।
চিংড়াখালী ইউনিয়নে ১৯ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৪টি বিদ্যালয়ে রয়েছে শহীদ মিনার, দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে ২০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টি রয়েছে, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ১৯টির মধ্যে ৩টি রয়েছে, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নে ২৪টি মধ্যে ৩টিতে রয়েছে, বলইবুনিয়া ইউনিয়নে ১৪টি মধ্যে ৩টি রয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। এছাড়ও খাউলিয়া ইউনিয়নে ৩৩টি বিদ্যালয়ে একটিতেও নেই শহীদ মিনার।
এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবক ও সুধিসমাজের অভিমত আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দিতে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ভাষা প্রেম, উদ্ভুদ্ব করতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা দরকার শহীদ মিনার এমনটি মনে করে স্বাধীনতার চেতনার ভাষাপ্রেমী মানুষেরা।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০২১ সালের শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মানের পদক্ষেপ কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তিনি অবহিত নন। সদ্যমাত্র এ উপজেলার কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করায়। প্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ যাতে হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশনা শিক্ষা কমিটির সভায় তোলা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।





ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত
কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ