

মঙ্গলবার ● ২২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাউখালী পরিচালিত হচ্ছে ৪টি কিশোর কিশোরী ক্লাব
কাউখালী পরিচালিত হচ্ছে ৪টি কিশোর কিশোরী ক্লাব
মো. ওমর ফারুক :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের অধিনে উপজেলার চার ইউনিয়নে পরিচালিত হচ্ছে ৪ টি কিশোর কিশোরী ক্লাব।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে যথাক্রমে ১. বেতবুনিয়া মডেল ইউনিয়নের বেতবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ টি কিশোর কিশোরী ক্লাব যার দায়িত্বে রয়েছেন শর্মিলা বৈদ্য, ক্লাবের সময়কাল শুক্রবার - শনিবার ২ দিন, সকাল ১০-১২ টা পর্যন্ত মোট ২ ঘন্টা। শিক্ষার্থী সংখ্যা - মোট ৩০ জন, তারমধ্যে ছাত্র সংখ্যা -১০ জন, ছাত্রী সাংখ্যা- ২০ জন,
২. ফটিকছড়ি ইউনিয়নের ডাবুয়া বৃক্ষ ভানুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ টি কিশোর কিশোরী ক্লাব। যার দায়িত্বে রয়েছেন উচিংমে মারমা, ক্লাবের সময়কাল - শুক্রবার - শনিবার, সকাল ১০-১২ পর্যন্ত মোট ২ ঘন্টা। ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা - মোট-৩০ জন। ছাত্র -১০ জন,ছাত্রী- ২০ জন।
৩ নং ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ টি কিশোর কিশোরী ক্লাব, যার দায়িত্বে রয়েছেন ২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা, রনি দে, অপরজন মেমোরি চাকমা, সময়কাল- শুক্রবার - শনিবার, ২ দিন, বিকাল ৩-৫ টা পর্যন্ত। মোট -২ ঘন্টা।
অপরদিকে কলমপতি ইউনিয়নের কিশোর কিশোরী ক্লাব টি বর্তমানে কাউখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানান। এই কিশোর কিশোরী ক্লাবের দায়িত্বে রয়েছেন ২ জন প্রাণতোষ বড়ুয়া, অপরজন হাসনা হেনা, সময়কাল - শুক্রবার - শনিবার, ২ দিন, বিকাল ৩-৫ টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা । মোট ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা - ৩০ জন, ছাত্র -১০ জন, ছাত্রী-২০ জন। প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর নাস্তার জন্য সরকার ১৫ টাকা হারে ২ দিনে মোট ৩০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয় বলে জানা যায়। প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিকার জন্য প্রতি ক্লাসের জন্য সম্মানী ভাতা ৫০০ (পাঁচ শত) টাকা করে সরকার বরাদ্দ প্রদান করেন।
আবার প্রতিটা কিশোর কিশোরী ক্লাবের জন্য সরকার বরাদ্দকৃত বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্ট প্রদান করেন। সেই সাথে প্রতি বছর প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সরকার হতে টি স্যার্ট, ট্রাউজার প্রদান করা হয়। প্রতি বছর নতুন বছেরর জন্য নতুন করে ছাত্র ছাত্রী মোট ৩০ জন করে নেওয়া হয়। তার মধ্যে ১০ জন ছাত্র, ২০ জন ছাত্রী। এ সকল কিশোর কিশোরী ক্লাব গুলি মনিটরিং করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। জেলা মহিলা বিষয়ক কায্যালয় থেকে ফিল্ড সুপারভাইজার।
এ বিষয় নিয়ে কথা বলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নীতা চাকমা। তিনি বলেন আমরা চেষ্টা করি উপজেলার এসব কিশোর কিশোরী ক্লাব গুলি যথাযথ ভাবে মনিটরিং করার কিন্তু সব সময় হয়ে উঠেনা। কারণ আমাদের অফিসে স্টাফ নাই। তিনি বলেন রাঙামাটি জেলা অফিস হতে একজন ফিল্ড সুপারভাইজার ( মহিলা) স্কুটি নিয়ে ফিল্ড ভিজিট করেন। হয়তো পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে দূর্গম পাহাড়ি এলাকার রাস্তা ঘাটের অবস্থা একরকম থাকেনা বলে তিনি জানান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা এ সকল কিশোর কিশোরী ক্লাবের সকল সরকারি বরাদ্দ যথাযথভাবে দায়িত্বরত ব্যাক্তিদের হাতে দিয়ে দেই। তারা সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী কিশোর কিশোরী ক্লাবের কায্যক্রম পরিচালনা করেন বলে জানান।
সরকার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্য্যালয়ের অধিনে এই কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন যদি কিশোর কিশোরীদের কাজে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করেন তাহলে হয়তো সরকারের এই প্রকল্প কিছু টা হলেও ছাত্র ছাত্রীদের জ্ঞান অর্জনে ভবিষ্যতে তাদের কাজে আসবে বলে মনে করেন। কিন্তু যদি যথাযথ ভাবে মনিটরিং করা না হয় তাহলে এই কার্যক্রম কাগজ কলমে সীমাবদ্ধ থেকে যাবে যা ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যতে কোন কাজে আসবে না বলে উপজেলার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা জনরা এটাই মনে করেন।