

মঙ্গলবার ● ২৯ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে ১১ দফা দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে ১১ দফা দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন
মিরসরাই প্রতিনিধি :: মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা বর্তমানে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল। চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ড এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় প্রায় ৩৩ হাজার ৮ শত একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এটি। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শিল্প কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে এবং এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ১১ দফা দাবী তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে মিরসরাইয়ের সচেতন নাগরিক সমাজ, পরিবেশ সংরক্ষন ও মানবাধিকারকর্মীবৃন্দের ব্যানারে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ‘উন্নয়ন চাই, পরিবেশ বিনষ্ট করে নয়’-এই শ্লোগানে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জনস্বার্থে পরিবেশ ও স্থানীয় উন্নয়ন সংক্রান্ত ১১ দফা দাবী তুলে ধরেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজি নিজাম উদ্দিন।
এসময় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন এনজিও সংস্থা অপকা’র নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর, শিক্ষা ও নজরুল গবেষক ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর, নিজামপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মেজর (অব.) মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা নুরুল করিম, মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. মহি উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহ মো. ফোরকান উদ্দিন চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইন, ইছাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মনজুরুল হক মনজু, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মিরসরাই উপজেলার প্রধান সংগঠক প্রফেসর আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী, লায়ন মাওলানা মো. ইউসুফ।
১১ দফা দাবীগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিকল্পিত নগরায়ন বাস্তবায়নে মিরসরাই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন, সুপার ডাইকের পশ্চিমে জেগে উঠা চরে সমগ্র কোস্টাল এরিয়ায় আবার ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট তৈরি, বর্তমানে অক্ষত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট যেটি শিল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়নি সেটি পরিপূর্ণ সংরক্ষণ এবং মায়া হরিনের আবাসস্থল হিসেবে অঞ্চলটিকে ঘোষণা, নতুন করে আর কোন কৃষি জমি অধিগ্রহণ না করা, মাস্টারপ্ল্যানে প্রস্তাবিত জোন ৯ ও জোন ১০ প্রস্তাবিত আবাসনসহ অন্যান্য প্রকল্প বাতিল করে সেখানে কৃষি জমি ও ওয়াটার রিটেনশন এরিয়া হিসেবে ঘোষণা ও সংরক্ষণ, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী প্রস্তাবিত প্রতিটি রাস্তার দুই পাশে কৃত্রিম খাল খনন এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতকে এককভাবে দেওয়া ৯০০ একরের প্লট বাতিল, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মিরসরাইয়ের জনশক্তিকে কর্মসংস্থান উপলক্ষে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগে ব্যবস্থাকল্পে কর্মসূচী, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রাকৃতিক খালের পাশাপাশি কৃত্রিম খাল খনন; যা আকস্মিক বন্যা থেকে মিরসরাইবাসীকে মুক্ত করবে, শিল্প কারখানায় চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মিরসরাইয়ের নাগরিকদের ২০% কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার বন্ধ করা।