শিরোনাম:
●   চুয়েটে ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং ফর ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স-২ শীর্ষক প্রশিক্ষণ ●   ঝালকাঠিতে ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার ●   টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি ●   গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান এলিম, ভাইস-চেয়ারম্যান নাবেদ, শিলা ●   মিরসরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নয়ন বিজয়ী ●   কুষ্টিয়া সদরে আতাউর রহমান খোকসায় শান্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত ●   সন্দ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক বিতরণ ●   গোলাপগঞ্জে পুনঃনির্বাচিত মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম ●   ঘোড়াঘাট উপজেলায় শুভ চেয়ারম্যান,বাবু ও নার্গিস ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাটির নিচে পাওয়া গেলো প্রাচীন রৌপ্য মুদ্রা ●   ঘোড়াঘাটে ভোট গণনা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা ●   কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান সামশু দোহা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিংবাইউ নির্বাচিত ●   সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান আনোয়ার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হালিমা নির্বাচিত ●   নির্বাচনী ডিউটিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও ●   হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ ●   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিরসরাইয়ে ভোটার ৩ লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন ●   প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল ●   রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব ●   ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ●   ঘোড়াঘাটে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন ●   খাগড়াছড়িতে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে জেলা পুলিশের ব্রিফিং ●   নিয়মরক্ষার উপজেলা নির্বাচন অপ্রয়োজনীয়, অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র ●   জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের স্বীকৃতির দাবির স্মারকলিপি হস্তান্তর ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাষ্টের কার্যনিবাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ●   কুষ্টিয়া বিএডিসি অফিসের এডি’র বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ ●   ঘোড়াঘাট বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত ●   নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে : সাইফুল হক ●   কাউখালীতে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু ●   রাঙামাটিতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা
রাঙামাটি, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ৬ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » পরিবেশ দূষণরোধে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » পরিবেশ দূষণরোধে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা
৪৮৯ বার পঠিত
সোমবার ● ৬ জুন ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পরিবেশ দূষণরোধে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা

---লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল :: এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বন্য প্রাণী ও পরিবেশ, বাঁচায় প্রকৃতি বাঁচায় দেশ’৷ বিশ্ব জুড়ে বন্য প্রাণী হত্যা ও চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উল্লেখিত মূল প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত বন্য প্রাণী বলতে বাংলাদেশ ১৯৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫৭৮ জাতের পাখি, ১২৪ জাতের সরীসৃপ, ১৯ জাতের উভয়চরকে সনাক্ত করা হয়েছে৷ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ২৩ প্রজাতির বণ্য প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন৷ এই তালিকায় আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতাবাঘ, হাতি, অজগর, কুমির, হরিয়াল ইত্যাদি৷ বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে ২৭টি বন্য প্রাণী প্রজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন৷ আরো ৩৯টি প্রজাতি হুমকির সম্মুখীন৷ গত শতাব্দীতে ২০টি প্রজাতি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে৷ এর মধ্যে আছে ৩ ধরনের গন্ডার, বুনো মহিষ, এক ধরনের কালো হাঁস, নীল গাই, কয়েক ধরনের হরিন, রাজ শকুন, মিঠা পানির কুমির প্রভৃতি৷ মানুষের সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপনের স্বার্থে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা আবশ্যক৷ বাংলাদেশের সুন্দরবনের বাঘ, হরিন, কুমির, অজগরসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী হত্যা চলছে৷ এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির বাজার গড়ে উঠেছে৷ এর সঙ্গে জড়িত সুন্দরবন সংলগ্ন ৪টি উপজেলার স্থানীয় কিছু শিকারী এবং বাইরে থেকে আসা চোরাচালানী চক্র৷ মূলতঃ কবিরাজি ঔষধ, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস, গয়না এবং দর্শনীয় বস্তু হিসেবে বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি হচ্ছে৷ এইভাবে বাঘ নিধন চলতে থাকলে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে এই প্রাণিটি হারিয়ে যাবে৷ বিশ্বে অনেক দেশ থেকে বাঘ বিলুপ্ত হয়ে গেছে৷ বাংলাদেশের সুন্দরবনে বর্তমানে মাত্র ১০৬টি বাঘ আছে বলে জানা যায়৷ আমাদের জাতীয় পশু ও বীরত্বের প্রতীক বাঘকে রক্ষা করতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন৷ তানাহলে আমাদের জাতীয় পশু বাঘ চিরতরে এদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে৷ পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের অভিমত জলবায়ু পরিবর্তনে যেসব সংকট সৃষ্টি হবে তা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও পরিবর্তিত পরিবেশে টিকে থাকার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে ধীরে ধীরে৷ তথ্যমতে, গত ১০০ বছরে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ০.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৫ মিটার৷ বিশেষজ্ঞদের মতে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধি পেলে বৃহত্তর খুলনার শতকরা ৬৫ ভাগ, বরিশালের ৯৯ ভাগ, নোয়াখালীর ৪৪ ভাগ, ফরিদপুরের ১২ ভাগ ও পুরো পটুয়াখালী এলাকা তলিয়ে যাবে৷ ফলে উদ্বাস্তু হবে দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ৷ বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন ভূপৃষ্ঠের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও কৃষির পরিবর্তনের মাধ্যমে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৫ কোটি মানুষ পরিবেশগত দুর্যোগের সম্মুখীন হবে৷ জানা যায়, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে দেশের আভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি ঘটবে৷ ফলে মোট ভূখণ্ডের ২০ ভাগ ক্ষতির সম্মুখীন হবে৷ এছাড়া লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে দেশের ৩২ ভাগ ভূমিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং সুন্দরবনের ৪ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর ভূমিসহ বনায়নকৃত বনভূমি পর্যায়ক্রমে ধ্বংস হতে থাকবে৷ পরিবেশ বিজ্ঞানীরা পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন, ১৷ উন্নত বিশ্বের পারমানবিক অস্ত্র পরীক্ষা ২৷ কলকারখানা ও গাড়ীর কালো ধোঁয়া ৩৷ শস্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার ৪৷ ফসলের জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগ ৫৷ কলকারখানা থেকে নিক্ষিপ্ত রাসায়নিক বর্জ্য ৬৷ অপরিকল্পিত ও যত্রতত্র তৈরী করা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৭৷ শব্দ দূষণ ৮৷ বাতাসের বিষাক্ত গ্যাস ৯৷ নদী ও জলাধার দূষণ ১০৷ যত্রতত্র বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা রাখা ১১৷ বায়ু দূষণ ১২৷ পানি দূষণ ১৩৷ অপ্রতুল সুয়ারেজ ১৪৷ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ ১৫৷ নদী ও জলাধারে পায়ু বর্জ্য ও শিল্প বর্জ্য নিক্ষেপ করা ১৬৷ ফসলের জন্যে অধিক পানি সেচ ১৭৷ অধিকহারে বৃক্ষ নিধন ও বনভূমি উজাড় ১৮৷ বন্য প্রাণী নিধন ১৯৷ পাহাড় ও টিলা কেটে ধ্বংস করা ২০৷ খাল-নালা ও জলাভূমি ভরাট করা ২১৷ ভূমিক্ষয় ২২৷ গ্রীণ হাউজ প্রভাব ২৩৷ আবহাওয়া ভূমন্ডলীর তাপ বৃদ্ধি ২৪৷ সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ২৫৷ মরুময়তা ২৬৷ ওজনস্তর ক্ষয় ২৭৷ পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্যের যথেচ্ছা ব্যবহার ২৮৷ ধূমপান, তামাক এবং তামাকজাত সামগ্রীর ব্যবহার ইত্যাদি৷ পরিবেশ বিপর্যয়ের উল্লেখিত ক্ষতিকর দিকগুলো চিহ্নিত করে সেই সাথে ব্যাপক গণসচেতনতা বাড়াতে হবে৷ এজন্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে৷ পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের এখনি যথাযথ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷ পরিবেশ উন্নয়ন ও দূষণ রোধে গণসচেতনতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে৷ আর এই কাজে প্রশাসন ও গণমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে৷ আমাদের সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন দূষণমুক্ত নিরাপদ পরিবেশ৷ পরিবেশ দূষণ ও দূষণরোধে নিজেদের সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কোন একক ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষে অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়৷ এজন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক সম্মিলিত প্রচেষ্টা৷ এক্ষেত্রে প্রশাসন ও গণমাধ্যমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা প্রয়োজন৷ আসুন, পরিবেশের ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে আমরা নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যদেরকে সচেতন করে তোলার মাধ্যমে আমাদের পরিবেশকে নিরাপদ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সুস্থ্য-সুন্দর করে গড়ে তুলি৷

লেখক  : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
শিক্ষক, কলাম লেখক, প্রাবন্ধিক ও সংগঠক





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)