শনিবার ● ৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » আলীকদমে ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি: নীতিমালা পরিপন্থী বিজ্ঞাপনে টোল পয়েন্ট ইজারা
আলীকদমে ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি: নীতিমালা পরিপন্থী বিজ্ঞাপনে টোল পয়েন্ট ইজারা
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (২৩ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংরাদেশ সময় রাত ৯.৪৬মি.) বান্দরবানের আলীকদমে উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়ালে উল্লেখিত ‘সরকারি হাট-বাজারসমূহের ব্যবস্থাপনা, ইজারা পদ্ধতি এবং উহা হইতে প্রাপ্ত আয় বন্টন সম্পর্কিত’ একটি নীতিমালা উপেক্ষা করে উপজেলায় রেপারপাড়া টোল পয়েন্ট ইজারায় ১০ লাখ টাকার অধিক রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়ালে বর্ণিত ইজারা পদ্ধতি সম্পর্কিত নীতিমালা। এ নিয়ে স্থানীয় সরকার সচিব ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
কম রাজস্ব নিয়ে টোল পয়েন্ট ইজারা না দিতে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ করলেও তা আমলে নেননি (ইউএনও) মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। তাঁর দাবী উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়ালে ‘টোল পয়েন্ট ইজারা’ সংক্রান্ত নীতিমালা নেই।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক জুলাই, ২০১৩-এ প্রকাশিত উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়ালে দেখা যায়, ‘সরকারি হাট-বাজারসমূহের ব্যবস্থাপনা, ইজারা পদ্ধতি এবং উহা হইতে প্রাপ্ত আয় বন্টন সম্পর্কিত’ একটি নীতিমালা আছে। সরাসরি ‘টোল পয়েন্ট ইজারা পদ্ধতি’ সংক্রান্ত নীতিমালা নেই। এর সুযোগ নিয়েছেন ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কমমূল্যে ইজারা দেয়া হচ্ছে টোল পয়েন্ট।
অভিযোগকারী ঠিকাদার আব্দুল হামিদ ও অংশেথোয়াই মার্মা সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, ইজারা সংক্রান্ত নীতিমালায় উল্লেখ আছে, ‘ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি মূল্য উল্লেখ থাকতে হয়’। কিন্তু ইউএনও’র স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ‘সরকারি মূল্য উল্লেখ’ নেই। সিডিউলে পণ্যের ইজারা মূল্যের চার্ট সংযোজন করা হয়নি। এক্ষেত্রে নেয়া হয় কঠোর গোপনীয়তা।
ইজারা নীতিমালা মতে ‘দরপত্রদাতাকে উদ্ধৃত মূল্যের ৩০% অর্থ ব্যাংক ড্রাফট/ পে-অর্ডারের মাধ্যমে দরপত্রের সাথে জমা’ দিতে হয়। অথচ ইউএনও’র স্বাক্ষরিত শর্তাবলীতে ‘দরপত্রের উদ্ধৃত দরের ১০০% টাকা পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট্’ করার কথা বলা হয়। এছাড়াও নীতিমালায় বর্ণিত ‘দরপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিনের অন্ততঃ ১৫ দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের স্থলে তিনদিন আগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। নেয়া হয়নি ব্যাপক প্রচারের কোন ব্যবস্থাও।
এ ব্যাপারে আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, ‘আমরা এ টোল পয়েন্ট ১৬ লাখ টাকায় ইজারা গ্রহণের প্রার্থী রয়েছে বলে ইউএনওকে জানিয়েছি। শুনেছি ১৩ লক্ষ টাকায় ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আগামি বৈঠকে আমি এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করবো’।
এ ব্যাপারে ইউএনও মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়ালে টোল পয়েন্ট ইজারা দেওয়ার নীতিমালা নেই। হাট-বাজার ইজারা দেওয়া সংক্রান্ত নীতিমালা আছে। তাই উপজেলা চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে এ সংক্রান্ত একটি কমিটির আরোপিত শর্তাবলী অনুযায়ী ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যা আমার পক্ষে এ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।’