সোমবার ● ৮ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » গ্রিনজোন হিসেবে ঘোষনার পরদিনই ঝিনাইদহে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত
গ্রিনজোন হিসেবে ঘোষনার পরদিনই ঝিনাইদহে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে গ্রিনজোন হিসেবে ঘোষিত হওয়ার একদিন পর ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬০ জন। সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম আজ ৮ জুন সোমবার জানান, খুলনা, যশোর এবং কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ঝিনাইদহে মোট ২৮ টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে থেকে ৫ টি পজেটিভ। আক্রান্ত ব্যাক্তিদের একজনের বাড়ী ঝিনাইদহ সদরে, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন এবং হরিনাকুন্ডু উপজেলায় একজন রয়েছেন । সুত্রমতে আক্রান্ত ৬০ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৩৮ জন।
হরিণাকুন্ডুতে আলমসাধুর ধাক্কায় যুবক নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে ইঞ্জিন চালিত আলমসাধুর সাথে মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইমদাদ হোসেন মিথুন (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি চাঁদপুর ইউনিয়নের দরিবিন্নি গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে ওই ইউনিয়নের লক্ষিপুর এলাকায় সড়কের উপর এ দূর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, নিহত ওই যুবক সকালে মোটরসাইকেল যোগে ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে লক্ষিপুর গ্রামে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি আলমসাধু এসে দাড়িয়ে থাকা মটরসাইকলে ধাক্কা দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মিথুন। মাটিতে পড়ে তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে হরিণাকু-ু থানার পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় হরিণাকু-ু থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় দুই যুবক বিজিবির হাতে আটক
ঝিনাইদহ :: অবৈধ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের সময় ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মান্দারতলা মাঠের আনিছ মিয়ার কলা বাগান থেকে দুইজনকে আটক করেছে খালিশপুর ৫৮ বিজিবি। এ সময় বিজির উপস্থিতি টের পেয়ে আরো বেশ কিছু ব্যক্তি পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলেন মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা বাজারপাড়ার আজিজুল খলিফার ছেলে আফান খলিফা ও একই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মনজুরুল ইসলাম হৃদয়। বাঘাডাংগা বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ৬০/৭৫-আর থেকে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে তাদের আটক করতে সক্ষম হন। ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খাঁন সোমবার বিকালে এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানান। বর্তায় আরো উল্লেখ করা হয় বিজিবির অভিযানকালে নেপাবিলা গ্রামের মস্ত মালুর ছেলে মোঃ মোজাহিদ, বাঘাডাঙ্গা কল্লটিপাড়ার আব্দুস সবুরের ছেলে মোঃ আহাদ এবং একই গ্রামের আমানুল্লার ছেলে মোঃ শাহিন পালিয়ে গেছে। এদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ১১(১)(গ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া হাজি রফিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চলতি বছরের বরাদ্দকৃত স্লিপ, প্রাক ও ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পে অনিয়ম ও প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কালিচরনপুর ইউনিয়নের মান্দারবাড়ীয়া হাজি রফিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চলতি ২০১৯/২০ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের ১,৫০,০০০ টাকা বরাদ্দ করেন । বরাদ্দের এই ১,৫০,০০০ টাকা তিনি স্কুল মেরামতের কাজে না লাগিয়ে নতুন দুই রুম বিশিষ্ট টিন সেডের কক্ষ তৈরি করছেন। যাহাতে ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œ মানের ইট,বালি ও খোয়া। কোন প্লান না করেই নিজের ইচ্ছামত মাটির নিচেই কোনমতে এক সারি দশ ইঞ্চি গেঁথে এর উপর পাঁচ ইঞ্চি করে গাঁথা হচ্ছে। একেতো তিন নাম্বার সারির ইট তারপর নির্মানের ভিত্তি দুর্বল হওয়ার কারনে কমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিয়ে জীবনের ঝুঁকির প্রহর গুনছেন স্থানীয় সচেতন মহল।তারা বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে যে টাকা স্কুলের খুদ্র মেরামতের কাজ দেখিয়ে নেওয়া হয়েছে তা দিয়ে যদি স্কুলের পুরাতন বিল্ডিং’র কাজ করানো হয় তবে পুরাতন ঐ বিল্ডিং এর নতুনত্ব ফিরে পাওয়া সম্ভব। তারা এ ও বলেন, প্রধান শিক্ষিকা এবছরের স্লিপ, প্রাক ও ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের নামমাত্র কাজ ও নি¤œ মানের সামগ্রী ক্রয় করে মনগড়া ভাবে ভাউচার তৈরি করে শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগসাজশ করে ফায়দা লুটিয়ে নিচ্ছেন। ফলে শিক্ষার গুণগত মান ও সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা খাতুনের কাছে প্রকল্পের কাজ কে করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সবকিছু করছেন। আমি কিছু জানি না, আমি শুধু দেখভাল করছি। বিষয়টির উপর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার সুধাংশ কুমারের সাথে কথা হলে তিনি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা শুধু বাজেট পাস করেছি, কাজটি অ্যাডোব কমিটির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষিকাই করছেন। এছাড়াও কাজের ইস্টিমেট দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কেউই দেখাতে পারেননি।
ঝিনাইদহের আম্ফান ঝড়ে পেপে খালেকের ক্ষতি ৩০ লাখ টাকা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে আম্ফানের কারনে ভেঙ্গেছে গাছ-পালা, বাড়িঘর, ভেসে গেছে খামার-পুকুরের মাছ। সেই সাথে নষ্ট হয়েছে মাঠের পর মাঠ কলা, পান, পেপে সহ বিভিন্ন সবজি। এই আম্ফানের কবল থেকে বাদ পড়েনি ঝিনাইদহ পৌসভার পেপে চাষী আব্দুল খালেক। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে লিজ ও বর্গা নিয়ে ২০ বিঘা ১০কাঠা জমিতে পেপে বাগান করেন। সেই বাগানে কানাই কানাই পরিপূর্ণ ছিলো পেপেতে। কিন্তু নির্দয় আম্ফান ঝড়ের কারনে নিঃশেষ হয়ে গেছেসব। জানা যায়, ঝিনাইদহ পৌর এলাকার পেপেচাষী মোঃ আব্দুল খালেক। এলাকার লোক তাকে পেপে খালেক বলেই চিনে। ইউসিবিএল ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা থেকে লোন নিয়ে এলাকার জমির মালিকদের থেকে লিজ ও বর্গা নিয়ে তিনি প্রায় ৯ একর (২১ বিঘা) জমিতে পেপে বাগান করেছিলেন। ৬এরক জমির পেপেগাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ দিন পরেই পেপে বিক্রয় করা প্রস্তুতি চলছিলো। বাকি ৩ একর জমিতে নতুন চারা রোপন করা হয়েছে মাত্র। এর মধ্যেও আবার কিছু কিছু গাছে ফুল এসেছে। এবছর প্রায় তার পেপে বাগান থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বেশি পেপে বিক্রয় করা সম্ভবনা ছিলো। প্রতিবছরের ন্যায় কালবৈশাখী ঝড় হলেও তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হতো না তার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার লক্ষ পূরণ করে দায়দেনা মিটিয়ে নতুন সবজীর প্রজেক্টে শুরু করার কথা ছিলো। কিন্তু সেই স্পপ্ন তছনছ করে দিলো আম্ফান। তাকে ব্যাংকের কাছে ঋণিই হয়ে থাকতে হলো। আম্ফানের কবলে পড়ে তার পেপে বাগানগুলো মাটির সাথে মিশে গেছে। মাটিতে পড়ে আছে পেপেসহ গাছ গুলো। এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার জাহিদুল ইসলাম, শিক্ষক ও সাধারণ কৃষকেরা মনে করেন আব্দুল খালেক পেপে চাষ করতে গিয়ে ঝড়ের কারনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কখনই সম্ভব না। সরকার যদিতাকে প্রনোদনা দেয় তাহলে সে একটু হলেও ঘুরে দাড়াতে পারবে। এবং তাকে কৃষী কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আগামীতে ওই জমি গুলোতে নতুন সবজীর আবাদ করতে হবে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, এই জেলার মাটি খুবই উর্বর, কৃষির জন্য খুবই উপযোগী হওয়ায় সবজী চাছ বেশি হয়। আর এই জেলায় ৬ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার কৃষক আম্ফানের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এক হাজার ২৫ হেক্টর শাক শবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। পেপেসহ অন্যান্য ফসল যা রয়েছে তা সংরক্ষণ ও বিপণণের জন্য কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আব্দুল খালেক ঝুকি নিয়ে পেপে বাগান করেছে। তার বাগানে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগীতা দেওয়া হবে।





ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত
কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ