শনিবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে সওজ’র জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে স্থায়ি বিল্ডিং
বিশ্বনাথে সওজ’র জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে স্থায়ি বিল্ডিং
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ’র) জায়গা দখল করে স্থায়ি বিল্ডিং নির্মান করছেন এক প্রভাবশালী ব্যক্তি৷ তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শেখপাড়া ধলিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল রহিমের পুত্র আছকির আলী (৪৮)৷ কয়েকদিন পূর্বে রামপাশা সেতুর পশ্চিমমুখে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় প্রথমে তিনি বাঁশ দিয়ে দোকানের একটি প্রেইম তৈরী করেন৷ এতে কোনো প্রতিক্রিয়া না আসায় বেশ কয়েকদিন ধরে রাজমিস্ত্রী দিয়ে প্রায় ৩০ফুর্ট লম্বা ও ২০ফুর্ট প্রস্থের দালানের তৈরী দোকান ঘরের কাজ শুরু করেছেন৷ কাজটি অনেকটা এগিয়ে গেলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা৷ তাই নির্ভয়ে বিল্ডিংয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এতে সড়কের পাশ দিয়ে হালচাষ করতে গরু নিয়ে জনসাধারণের যেমন দূর্ভোগ পোহাতে হবে তেমনি বাজেহাত হবে সরকারি জায়গা৷ সজওজ’র জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণের কথা স্বীকার করে আছকির আলী বলেন, সড়কের উভয় পাশে বিভিন্ন স্থানে অনেক ব্যক্তি দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন৷ পরবর্তিতে সরকার চাইলে আমি ওই দখল ছেড়ে চলে যাব৷ শুধু তাই নয় রশিদপুরস্থ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হইতে লামাকাজি পর্যন্ত বিশ্বনাথ উপজেলার অংশে সড়ক ও জনপদের প্রায় ১৭কিলোমিটার পাঁকা সড়ক রয়েছে৷ আর এই সড়কের উভয় পাশে ছিল সওজ’র বড় দুটি খাল৷ এদুটি খাল দখলবাজদের খপ্পরে পড়ে প্রায় বিলিন হয়ে গেছে৷ ওই সড়কের পাশে উপজেলা সদরের বাসিয়া নদীর সাথে সংযুক্ত হয়ে রামপাশা পর্যনত্ম বড় একটি খাল ছিল৷ সেই খালটি নকিয়াখালি পর্যনত্ম প্রায় দখল হয়ে রয়েছে৷ মাঝে মধ্যে খালের অংশ দেখা গেলেও উপজেলা সদরের বাসিয়া নদী থেকে শুরু করে জানাইয়া এমপি সড়ক নামক স্থান পর্যন্ত খালের কোনো চিহৃই নেই৷ দখলবাজরা খালটি দখল করে নামমাত্র শুধু একটি ড্রেন রেখে নিজ নিজ স্থাপনার সামন ভরাট করে রেখেছেন৷ এছাড়াও রশিদপুর থেকে শুরম্ন করে বিশ্বনাথ পর্যনত্ম সড়কের খাল দখল করে নিয়েছেন প্রভাশালী ব্যক্তিরা৷ যারফলে মাছের আবাসস্থল বিলিন হয়ে গেছে৷ পাশাপাশি পানির জন্য কৃষকরা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না৷ বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা৷ এখন নতুন করে আছকির আলী রামপাশা সেতুর মুখে সওজ’র জায়গা দখল করে ওই বিল্ডি নির্মাণ করার জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷ দখল হওয়া খান উদ্ধার না হলে ভভিষ্যতে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবেন উপজেলার কৃষকসহ সাধারন মানুষ৷ এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল৷