শনিবার ● ২৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ‘পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গী-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি’ শ্লোগানে ঝিনাইদহে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত
‘পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গী-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি’ শ্লোগানে ঝিনাইদহে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত
ঝিনাইদহ প্রনিধি :: ‘পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গী-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে নানা আয়োজনের মধ্যে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত হয়েছে। জেলা পুলিশের আয়োজনে আজ শনিবার সকালে শহরের হামদহ এলাকা থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। এতে ব্যানার, ফেস্টুন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড, আব্দুর রশীদ। বক্তারা, সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দুর করতে পুলিশকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আলোচনা সভা শেষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।
অবৈধ প্রভাব আর ক্ষমতার জোরে রাতারাতি সরকারী সুবিধা পাওয়া স্কুল ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুধসর ডিজিটাল স্কুল
ঝিনাইদহ :: স্বামী বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব আর স্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। এই ক্ষমতার জোরে মাত্র এক বছর আগে স্বামীর নিজের গ্রামে প্রতিষ্ঠিত একটি অখ্যাত স্কুলে সরকারী ভাবে ৮৫ লাখ টাকার ভবন বরাদ্দ পেয়েছে। পেয়েছে ১২টি ল্যাপটপ ও টিআর কাবিখার বেশুমার আর্থিক বরাদ্দ। অথচ একই গ্রামে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত আরেকটি স্কুলের কোন ভবন নেই। নেই সরকারী ভাবে কোন আর্থিক বরাদ্দ। অবৈধ প্রভাব আর ক্ষমতার জোরে রাতারাতি সরকারী সুবিধা পাওয়া স্কুলটি হলো ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুধসর ডিজিটাল স্কুল। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার দুধসর আব্দুস সোবহান জোয়ার্দ্দার নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। ১৮ বছর হয়েছে শিক্ষাবোর্ড তাদের পাঠদানের অনুমতি দিয়েছে। আর একাডেমিক স্বীকৃতির বয়স ১৫ বছর। প্রতিষ্ঠানটি বাঁচিয়ে রাখতে শিক্ষাকরা বেতন ছাড়াই দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন পাঠদান করে অবশেষে এবার এমপিও ভুক্তির তালিকায় নাম লেকিয়েছে। তাদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলও সন্তোষজনক। শুধু নেই সরকারি তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা। অথচ শিক্ষা অধিদপ্তরের বেশিরভাগ নিয়ম ভেঙ্গে মাত্র একবছর পূর্বে একই দুধসর গ্রামে আরেকটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার নাম দুধসর ডিজিটাল স্কুল। চলতি বছর ২৮ মে যশোর শিক্ষা বোর্ড তাদের পাঠদানের অনুমতি দিয়েছেন। অল্প সময়ে তাদের ভাগ্যে চলে এসেছে ১২ টি ল্যাপটপ, আর নতুন ভবন নির্মানের জন্য পেয়েছেন ৮৫ লাখ টাকার বরাদ্ধ। এছাড়াও স্থানিয় টি.আর-কাবিখার সকল সুযোগ-সুবিধাও পেয়ে থাকেন তারা। অভিযোগ রয়েছে অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হচ্ছে। দুধসর এলাকার সাধারণ মানুষ বলছেন, দুধসর ডিজিটাল স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি হচ্ছেন মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ। তিনি বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব হিসেবে কর্মরত। সভাপতি হিসেবে স্কুলের কাগজপত্রে যে সাক্ষর করেছেন, সেখানে তার নামের সঙ্গে মন্ত্রনালয়ের পদবীও ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। দুধসর আব্দুস সোবাহান জোয়ার্দ্দার নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুমারেশ চন্দ্র বিশ^াস অভিযোগ করেন মফস্বলে মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে হলে কমপক্ষে ৩ কিলোমিটার দুরত্ব থাকার কথা থাকলেও দুধসর ডিজিটাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে একই গ্রামে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে। দুধসর ডিজিটাল স্কুলের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কাগজপত্রে দক্ষিন, উত্তর, পূর্ব ও পূর্ব-দক্ষিনের চারটি বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হলেও, পশ্চিমে নিজ গ্রামের আব্দুস সোবাহান জোয়ার্দ্দার নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কথা গোপন করা হয়েছে। আর এই প্রত্যায়ন দিয়েছেন শৈলকুপার এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হুদা। এদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা এস.এম রফিকুল ইসলাম দুধসর ডিজিটাল স্কুলটি গত ১৩ মার্চ আকষিক পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন ফরমে ওইদিন বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী উপস্থিত দেখিয়েছেন ৬১ জন। আর বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ১৫৫ জন উল্লেখ আছে। এছাড়া সরকার বর্তমানে এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দিলেও দুধসর ডিজিটাল স্কুলে সেই নিয়ম না মেনে স্থানিয় ভাবে ১১ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠদানের অনুমোদন চেয়ে করা আবেদনে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ স্কুলের জমির নামপত্তন হয়েছে। ২৫ মার্চ ভুমি কর প্রদান, একই দিনে বিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তহবিলে ৫০ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে গত ২৩ মে ২০১৯ পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়। এরই মাত্র ৫ দিন পর যশোর শিক্ষা বোর্ড অনুমতিপত্র দিয়েছেন। আর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে টি.আর-কাবিখা প্রকল্প থেকে গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) প্রায় ১২ লাখ টাকা বরাদ্ধ পেয়েছেন। তারা মোট ৪০ মেঃ টন গম বরাদ্ধ পান। পরবর্তীতে খাদ্যগুদাম থেকে ২৭ মেঃ টন চার উত্তোলন করেন বলে শৈলকুপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, এই বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিল মাঠের মাঠি ভরাট কাজে। দুধসর আব্দুস সোবহান জোয়ার্দ্দার নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুমারেশ চন্দ্র বিশ^াস জানান, এতো অনিয়ম করে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে পারে এটা ভাবতে পারি না। দুধসর ডিজিটাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিজুর রহমান জানান, তারা বিদ্যালয় করছেন নিয়ম মেনেই। তাছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতি করতে নয়। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, তারা বিধি মোতাবেক সবকিছু করছেন। নিয়মের বাইরে কিছুই হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন। আর ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, তারা একটা ভালো স্কুল করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। কাউকে ক্ষতি করার কোনো উদ্দেশ্য তাদের নেই। তিনি বলেন, দুধসর ডিজিটাল স্কুলটি এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করার সময় এখনও আসেনি। যারা পুরাতন স্কুল আছে তারা এমপিওভুক্ত হলে কারো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, তাদের স্কুলটিতে ভালোভাবে পাঠদান হচ্ছে, স্কুলের পরিবেশও অনেক ভালো। আর যারা পুরাতন বলে দাবি করছেন তাদের প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখার মান খুবই নি¤œমানের। অবকাঠামগত সমস্যাও রয়েছে। তিনি বলেন, এলাকার মানুষের জন্য অনেক কষ্ট করে একটা স্কুল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। স্কুলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়ে বলেন, তারা নিজেরাও অনেক জমি দিয়ে স্কুল করেছেন। আর সরকারি দপ্তরগুলোর কমকর্তারা তাদের এই কথা শুনে তারাও এগিয়ে এসেছেন। সে কারনে অল্পদিনে ভবন পেয়েছেন। এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ জানান, স্কুল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাদের কোনো কিছু করার থাকে না। স্থানিয়রা উদ্যোগ নিয়ে করে থাকেন। এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। আর ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দেব বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কথা বলতে চাননি। তবে এক গ্রামে দুইটি স্কুলের বিষয়ে বলেন, এটাও বলা মুশকিল, এমনটি হবার কথা নয়। তবে শিক্ষা বিভাগের একটি সুত্র জানায়, স্বামী স্ত্রীর ক্ষমতা ও প্রভাবের কারণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরকারী নিয়ম ভঙ্গ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন মাঠে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে সোলার পাম্প স্থাপন, ১বছরে অচল
ঝিনাইদহ :: কৃষকরা অল্প ব্যায়ে ফসলের ক্ষেতে পানি পাবেন, চাষ করে লাভবান হবেন। এই লক্ষ্যে এনজিওদের দিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে ঝিনাইদহের বিভিন্ন মাঠে সোলার পাম্প চালিত ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই সেই পাম্পগুলো নষ্ট হতে শুরু করেছে। এ বছর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার হরদেবপুর গ্রামের মাঠে স্থাপিত ৪ টি পাম্প নষ্ট থাকায় শতাধিক কৃষকের প্রায় ৫ শত বিঘা জমিতে ধানের চাষ করতে পারেনি। বিঘার পর বিঘা জমি পড়ে আছে। অবশ্য কৃষকরা বলছেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে এই পাম্পগুলো স্থাপন করা হয়। ইনপ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপপমেন্ট লিমিটেড (ইডকল), এনার্জিপ্যাক ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ও এইড ফাউন্ডেশন এই পাম্পগুলো স্থাপন করেন। কিন্তু পাম্পগুলো একবছর ভালোভাবে চলার পর নষ্ট হয়ে গেছে। কালীগঞ্জ উপজেলার হরদেবপুর গ্রামের ৫টি পাম্প নষ্ট হয়ে যায়। যার মধ্যে একটি ভালো করা হলেও বাকিগুলো আজো নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। হরদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা উদয় শংকর বিশ^াস জানান, ২০১৫ সালে পূর্বে তারা হরদেবপুর গ্রামের মাঠে গড়ার বিলে নানা ফসলের চাষ করতেন। কৃষকরা তেমন লাভবান না হলেও ক্ষতির মধ্যে পড়েনি। এরপর ওই বছরের জানুয়ারি মাসে তাদের মাঠে সোলার পাম্প চালিত ডিপ-টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেন এইড ফাউন্ডেশন নামের ঝিনাইদহের একটি এনজিও। তারা গ্রামে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কৃষকদের জানানো হয় অল্প পয়সায় তারা জমিতে সেচ পাবেন। বছরের সব সময় পানি পাওয়া যাবে। বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এই সকল কথায় কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হন, তারা অল্প টাকায় জমি দেন। উদয় শংকর বিশ^াস জানান, তাদের গ্রামের মাঠে গড়ার বিলে প্রায় ৬ শত বিঘা জমি আছে। এখানে ২০১৫ সালে ৫ টি সোলার পাম্প স্থাপন করা হয়। কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি থাকে বোরো মৌসুমে ধানের জমিতে বিঘা প্রতি ৩৬ শত টাকা তারা এইড ফাউন্ডেশনকে পরিশোধ করবেন। অন্য মৌসুমে আরো কম লাগবে। যার স্যালো মেশিন দিয়ে চাষ করতে গেলে কৃষকদের খরচ হতো বোরো মৌসুমে বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা। এভাবে চুক্তির মাধ্যমে ২০১৬ সালের বোরো মৌসুম থেকে তারা পানি ক্রয় করতে শুরু করেন। প্রথম বছর ভালো ভাবে পাম্পগুলো চলেছে, কৃষকরাও লাভবান হয়েছেন। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে পাম্প নষ্ট হতে শুরু করে। পর্যায় ক্রমে তাদের গ্রামের ৫ টি পাম্পই নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকরা পড়ে যান বিপাকে। বিভিন্ন চাষ থেকে ধানের চাষে ফিরে এসে এখন পানির অভাবে ধান চাষ করতে না পারলে তারা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হন। বর্তমানে ওই মাঠে প্রায় ৫ শত বিঘা জমি পড়ে আছে। কৃষক উদয় শংকর আরো জানান, এই অবস্থায় তারা এইড ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা দাবি করেন পাম্পগুলো চালুর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু তারা এনার্জিপ্যাক ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড কে দায়ি করেন। তারা জানিয়ে দেন মেরামতের দায়িত্ব তাদের। কারন এই পাম্প স্থাপনে তারা মালামাল সরবরাহ করেছেন। তাদের লোকজন থেকেই স্থাপন করেছেন। আর এনার্জিপ্যাক এর কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন এইড ফাউন্ডেশন তাদের ঠিকঠাক বিল পরিশোধ করেনি, যে কারনে তারা নতুন করে কোনো কিছু করতে পারছেন না। এ বিষয়ে এইড ফাউন্ডেশনের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক মোঃ আশাবুল হক জানান, ঝিনাইদহ জেলার সদর, কোটচাঁদপুর, হরিনাকুন্ডু, শৈলকুপা ও কালীগঞ্জ ৪২ টি সোলার পাম্প স্থাপন করেন তারা। ২০১৫ সাল থেকে এই পাম্পগুলোস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫ টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৮ টি, হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ৪ টি, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৪ টি ও শৈলকুপা উপজেলায় ১ টি পাম্প স্থাপন করা হয়। এগুলো স্থাপনে বাজেট ছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা। সোলার পাম্প এর মাধ্যমে প্রতিটিতে কমপক্ষে ৮০ বিঘা জমি চাষ করা সম্ভব। হিসাব অনুযায়ি ৩ হাজার ৩৬০ বিঘা জমি চাষ করা সম্ভব হবে এই পাম্পগুলো দিয়ে। তিনি আরো জানান, ২০১৭ সাল থেকে এই পাম্পগুলোর কিছু কিছু নষ্ট হতে শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে ১২ টি পাম্প নষ্ট হয়। যার মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলার হরদেবপুর গ্রামের ৫ টি পাম্প নষ্ট হয়। আশাবুল হক জানান, ইতিমধ্যে অন্য কোম্পানী থেকে মালামাল ক্রয় করে যে পাম্পগুলো তারা স্থাপন করেছিলেন সেগুলো সচল করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু হরদেবপুর গ্রামে এনার্জিপ্যাক ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এর স্থাপন করা ৫ টি ভালো করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশ্য ইতিমধ্যে তারা একটি সচল করে দিয়েছেন, বাকিগুলো করেননি। তিনি আরো বলেন, ইডকল থেকে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তারা এনার্জিপ্যাক ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এর বিল পরিশোধ করবেন। যে কারনে তাদের দেড় কোটি টাকার মতো বকেয়া রয়েছে। তারা দাবি করেছিলেন, কৃষকের স্বার্থে পাম্পগুলো চালু করার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু তারা করছেন না। যে কারনে এলাকার কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এনার্জিপ্যাক ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এর সিইও মোঃ আক্তারুজ্জামান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, এইড ফাউন্ডেশনের কাছে তারা এখনও ২ কোটির অধিক টাকা পাবেন। এই টাকা পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে প্রকল্পে ব্যয় করতে পারছেন না। তারপরও কৃষকের কথা চিন্তা করে তারা একটি সচল করে দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তার ভাষায় পাওনা পরিশোধ করলে অবশ্যই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতো, কৃষকরা উপকৃত হতো।
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে জেলা কারাগারে নন্দ কুমার দাস (৪৫) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা কুল্লা পাড়া গ্রামের মৃত গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে। ঝিনাইদহ কারাগারের জেলার নিজাম উদ্দিন জানান, গত ২২ অক্টোবর ডাকাতি মামলায় আদালত নন্দ কুমার দাস কে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সকালে হঠাৎ তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করে। সেখান থেকে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এপিওভুক্ত করায় আনন্দ র্যালী
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এপিওভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র্যালী করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এতে কলেজটির শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। পরে কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এসময় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভার মেয়র পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু, প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, প্রভাষক আলমগীর হোসেন, পৌরসভার সচিব মুস্তাক আহম্মেদ, কাউন্সিলর সাইদুল ইসলাম মধু, জাহিদুল ইসলাম, বশির উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী শিক্ষক সাবিনা খাতুন, সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা, পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এপিওভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান সেই সাথে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।





কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে কুষ্টিয়ার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি