রবিবার ● ৯ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » মাল্টা চাষে ভাগ্য খুলছে প্রবাস ফেরত প্রেমতোষের
মাল্টা চাষে ভাগ্য খুলছে প্রবাস ফেরত প্রেমতোষের
আমির হামজা :: দেশের মাঠেতে ব্যাপক আকারে ফলন হচ্ছে বিদেশি ফল। অল্প পুঁজিতে লাভ অধিক হওয়াতে মাল্টা চাষের দিকে ঝুঁকছে দেশের বেকার ও কৃষকরা। অল্প পুঁজি দিয়ে মাত্র কয়েক বছরে ফল পাচ্ছেন কৃষ। এতে দেশের চাহিদায় মাল্টা যোগান দিচ্ছি এসব সফল মাল্টা চাষিরা। একসময় চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় এই ধরণের চাষে আগ্রীহ ছিলনা মানুষ। গতকয়েক বছর ধরে মাল্টা আমসহ দেশী-বিদেশী ফলন চাষে আগ্রহ বাড়ছে। অন্যদিকে রাউজানের মাঠি এসব ফলন এর জন্য ব্যাপক উপযোগী। যদিও মাল্টা ভিয়েতনাম, ভারত, চীন এসব দেশ গুলো মাল্টা ব্যাপক হারে চাষ করেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখে গেল বাংলাদেশে মাল্টা চাষ করে সফল হচ্ছেন। সেই সাথে উৎপাদিত রাউজানের মাল্টা মিষ্টি ও সুস্বাদু। রাউজানে পাহাড়ী কয়েকটি এলাকায় শুরু হয়েছে মাল্টা চাষ। তারমধ্যে প্রবাস ফেরত প্রেমতোষ মাল্টা চাষে প্রথম স্থানে রয়েছে ও দ্বিতীয় রয়েছে ব্যবসায়ী মো: ইসহাক। এছাড়াও ইসহাক এর উৎপাদিত মিষ্টি জাতের আম দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বেড়েছে তার আমারে চাহিদা। সামনে বর্ষ সময়ে ইসহাকের আম উৎপাদান শুরু হবে। এছাড়া ইসহাকের আমের বাগানের পাশাপাশি রয়ছে মাল্টা ও লেবু যা দেশের চাহিদা মেটাছেন। এদিকে প্রবাস ফেরত প্রেমতোষ বড়–য়া ভারতের কৃষি গবেষক সুভাষ পালা করের পরামর্শে রাউজানে অসময়ে মাল্টা চাষের বাম্পার ফলন করে দেশে জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। জানা যায় রাউজান উপজেলার ৭নং রাউজান ইউনিয়নের পুর্ব রাউজান জয়নগর বড়–য়া পাড়ার প্রবাস ফেরৎ প্রেমতোষ বড়–য়া অল্প পুঁজি নিয়ে কৃষি কাজে শুরু করেন। নিজের উদ্ভাবিত জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে সফলতা আসে কৃষি কাজে। ২ একর জমিতে পৃথক ভাবে মাল্টা গাছের চারা রোপন করে। কোন প্রকার রাসায়নীক সার প্রয়োগ ছাড়া সম্পর্ণূ প্রকৃতিক পদ্ধতিতে মাত্র দুই বছরের মধ্যে মাল্টা উৎপাদন শুরু হয়। তার বাগানের বিষমুক্ত মাল্টার চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে পুরো চট্টগ্রামে। বছরের জুন-জুলাই মাসে মাল্টা খাওয়ার উপযোগী হয়। এবার ব্যতিক্রম পদ্ধতি ব্যবহার করে অসময়ে দ্বিতীয় বার মাল্টা উৎপাদন দেশের কৃষি গবেষকদের মাঝে নতুন ভাবে সারা ফেলে দিয়েছে। বর্তমানে প্রেমতোষ বড়–য়ার বিষমুক্ত মাল্টা রাউজানের বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রয় করা হচ্ছে। অসময়ে মাল্টা উৎপাদন প্রসঙ্গে সফল চাষী প্রেমতোষ বড়–য়া বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ভারতের বিশিষ্ট কৃষি গবেষক সুভাষ পালা করের পরামর্শে রাউজানে অসময়ে মাল্টা চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে। কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে নিজের তৈরী জৈব সার ব্যবহার করে মাল্টা বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। তিন একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছি। একটি এক একর আয়তনের মাল্টা বাগানে গত মৌসুমে প্রচুর পরিমাণ মাল্টার ফলন হয়। তখন ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রয় করেছি। বর্তমানে অপর এক একর আয়তনের বাগানে ৩শত ২০ টি মাল্টা গাছ থেকে অসময়ের মাল্টা উৎপাদনে এসেছে।





আত্রাইয়ে পাট চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা
কাউখালীতে কৃষি অধিদপ্তরের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
কাউখালীতে জাতীয় ফল মেলা অনুষ্ঠিত
ঝালকাঠিতে আম বাগান হয়ে উঠেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক
আত্রাইয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের বীজ চাষ
শরীরের জন্য পুষ্টি, তাপ ও শক্তি যোগাতে পুষ্টিকর খাবারে কোনো বিকল্প নেই : মনিরুজ্জামান খান
ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা
রাউজানে সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি
সুরাইয়া বিলকিসের বিষমুক্ত ছাদ বাগান