

বুধবার ● ১২ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ফটিকছড়িতে মেশিনে তৈরি মুড়িতে বাজার সয়লাব
ফটিকছড়িতে মেশিনে তৈরি মুড়িতে বাজার সয়লাব
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) :: ফটিকছড়িতে হাতে ভাঁজা মুড়ির চেয়ে মেশিনে তৈরি মুড়িতে বাজার সয়লাব হয়ে উঠেছে। পবিত্র রমজান মাসের ইফতারির অন্যতম অংশ মুড়ি। এ ইফতারিকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে মুড়ি বিক্রি।
তবে মেশিনে তৈরি মুড়িতে সয়লাব উপজেলার হাটবাজার।
জানা যায়, রমজানের অনন্য আয়োজন ইফতারি ।ইফতারি অইটেমের অন্যতম উপাদান ও অবিচ্ছদ্য অংশ হচ্ছে মুড়ি। ইফতার করার জন্য যত প্রকারের খাবারের আয়োজন হোক না কেন ছোলার সাথে মুড়ি চাই চাই তা না হলে যেন ইফতার করা হয় না। ইফতার করার রুচি বা সন্তুষ্টিটুকু যেন হয়না। এমন মত প্রকাশ করলেন অনেক রোজাদার। অনেক বয়ো বৃদ্ধরা বলেন, বুদ্ধির বয়স থেকে ইফতারে ছোলার সাথে মুড়ি খেয়ে আসছি। মুড়ি না হলে ইফতারীর মত লাগেনা। তাই ইফতারীর সাথে মুড়ি অতীব প্রয়োজনীয় উপাদান। রমজানে ইফতারি আইটেমের পাশাপাশি মুড়ি ও বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। গ্রাম গঞ্জের পাড়ায় পাড়ায় মুড়ি বিক্রির হাক ডাকে মুড়ি বিক্রেতারা।
বিশেষ করে রমজানে মুড়ি বিক্রির এ দৃশ্য বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া মুড়ি বাঙ্গলীর সারাবছরের একটি নিত্য খাদ্য। গ্রাম গঞ্জে এখনো চায়ের সাথে মুড়ির প্রচলন রয়েছে। তবে সারাবছরের চেয়ে রমজানে মুড়ির চাহিদা বেশি। উপজেলার মুড়ি পাড়াগুলোতে চলছে এখন ব্যস্থ সময়। যেন দম ফেলবার ফুসরত নেই। সরেজমিনে ফটিকছড়ির সুয়াবিল ও চারালিয়াহাট এলাকার কয়েকটি মুড়ি ভাঁজা পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় এসব পাড়ার নারী পুরুষ সবাই ব্যাস্থ মুড়ি ভাঁজায়। তবে আগেকার জৌলুস আর নেই। সভ্যতার ক্রম বিকাশে এখন মুড়ি তৈরি হয় মেশিনে। যার ফলে হাতে ভাজার মুড়ির কদর কমছে এবং বাজার দখল করছে মেশিনে তৈরি মুড়ি। মেশিনে তৈরি মুড়ি সস্তা ও বাহারি প্যাকেটজাত করে পাওয়া যায় বিধায় ব্যবসায়ীরা মেশিনের তৈরি মুড়ি বিক্রি করতে আগ্রহী। উপজেলার রাজিরহাট, বিবিরহাট, নানুপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুওে দেখা যায় হাতে ভাঁজা মুড়ি তেমন একটা নেই।
বিভিন্ন কোম্পানির মেশিনে তৈরি প্যাকেটজাত মুড়ি বিক্রি করছেন। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, হাতে ভাঁজা মুড়ি বিক্রিতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। পাড়া থেকে গিয়ে মুড়ি আনতে হয়, প্যাকেট করতে হয় এছাড়া মূল্যও বেশি।
অন্যদিকে মেশিনে তৈরি মুড়ি মূল্য কম, প্যাকেট করা এবং দোকানে এসে দিয়ে যায়। মোহাম্মদ হারুন,এয়াকুব,আবুল বশরসহ আরো অনেকে মত প্রকাশ করে বলেন, মেশিনের তৈরি মুড়ির চেয়ে হাতে ভাজা মুড়ি সুস্বাদু।
এছাড়া মেশিনের অনেক মুড়িতে রাসায়নিক পর্দাথ মিশ্রিত করা হয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে হাতে ভাজা মুড়ি আগের মত তেমন একটা পাওয়া যায় না বিধায় বাধ্য হয়ে মেশিনের তৈরি মুড়ি খেতে হয়।
মুড়ি বিক্রেতা আবদুর রহমান বলেন,হাতে ভাঁজা মুড়ি দাম বেশি। এ দামে ক্রেতারা নিতে চাইনা। তাই মেশিনে তৈরি মুড়ি বিক্রি করি।