শিরোনাম:
●   আজ নিতেই হবে এমন প্রতিজ্ঞা বলে পশু ক্রয়ে ছুটছেন ক্রেতারা ●   রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠন ‎ ●   ফটিকছড়িতে পশু জবাই ও মাংস কাটা সরঞ্জাম কেনার হিড়িক ●   মধ্যপাড়া পাথর খনি লোকসান কাটিয়ে লাভে পথে ●   ঝালকাঠিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ফাইলবন্ধী : বরাদ্ধের অর্থ প্রানীসম্পদ কর্মকর্তার পকেটে ●   ফটিকছড়িতে শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরাবানি পশুর হাট ●   রাঙামাটিতে হৃদের পানিতে ডুবে এক ছাত্র নিখোঁজ ●   শান্তিবাহিনীর সদস্যদের গণহত্যায় দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারের দাবি ●   চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকী-সম্পাদক রুবেল ●   দিন রাত টুং টাং শব্দ ছন্দ ফটিকছড়ির কামারের দোকান ●   রাঙামাটিতে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস উদযাপন ও বৃক্ষ রোপন ●   মার্কা নয় ব্যক্তি দেখে ভোট দেবেন : সারজিস আলম ●   তরুণ প্রজন্ম সুরক্ষায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ জরুরি ●   কষ্টিয়ায় হেলালের শেল্টারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজন গ্রেফতার ●   জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা : জনদুর্ভোগ ●   ফটিকছড়িতে তাল শাঁসের কদর বেড়েছে ●   দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলবাসে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বাস খাদে ●   ঈশ্বরগঞ্জে বাস-মাহেন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ●   আস্থা অর্জনে সরকারকে তাদের নিরপেক্ষ বৈশিষ্ট রক্ষা করতে হবে ●   প্রার্থীদের দলের প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক : ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি ও এসপিদের নেতৃত্বে জেলা কমিটি বাতিল : ইসি ●   ভেষজ শরবতের আয়ে সংসার চলে ফজলের ●   মানুষের মন বুঝতে না পারায় সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও বামপন্থীরা বড় কিছু করতে পারেনি ●   পিসিপি’র বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির প্রমান মিলেছে ●   মিরসরাইয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত-১ ●   ফটিকছড়িতে হেলে পড়েছে সাত তলা ভবন ●   বেতবুনিয়াতে ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের জায়গা বিক্রয়ের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর এর বিরুদ্ধে ●   রাঙামাটিতে আবু বক্কর সিদ্দিক এর বিরোদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসি ●   ঈশ্বরগঞ্জে শিক্ষামূলক লিফলেট বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে যুবদল নেতাকে বহিষ্কার ●   প্রকৌশলী সজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আ’লীগ পূণঃগঠনের অভিযোগ
রাঙামাটি, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ৪ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ফটিকছড়িতে শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরাবানি পশুর হাট
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ফটিকছড়িতে শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরাবানি পশুর হাট
বুধবার ● ৪ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফটিকছড়িতে শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরাবানি পশুর হাট

--- মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,ফটিকছড়ি :: বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে শেষ সময়ে এসে জমজমাট হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কোরাবানি পশুর হাট। এ সময়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার হাটবাজার ও গরুর শোরুম খ্যাত বিভিন্ন খামারগুলো।
কয়েকদিনের টানা বর্ষণে প্রথমে হাটবাজার না জমলেও এখন জমে উঠেছে পুরোদমে। হাসি ফুটেছে বিক্রতাদের মাঝে।
জানা যায়,ইতোমধ্যে উপজেলার নাজিরহাট, বিবিরহাট, নানুপুর,চামার দিঘি,ইসলামিয়া হাট, কাজিরহাট,চিকনচড়া,বাগানবাজার,দাঁতমারা,শান্তিরহাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারের কোরবানি পশুর হাট জমে উঠেছে।
বিক্রি হচ্ছে বড়, ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু মহিষ ও ছাগল। ছোট এবং মাঝারি গরুর দাম চড়া বলে জানান ক্রেতাগণ।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়,প্রচুর গরু এনেছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাও কম নয়। ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমে যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। তবে গরু বিক্রি কম হতে দেখা যায়। বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বলে জানান ক্রেতারা। তারপরও যারা দরদামে মিলাতে পারছেন তারা নিয়ে নিচ্ছেন।
নাজিরজাট বাজারে গরু ক্রয় করতে আসা রুবেল বলেন,বাজার ঘুরে গরু দেখছে দরদামে হলে নিয়ে নেব।
বিক্রেতা জসিম বলেন,নিজের পালিত চারটি গরু নিয়ে এসেছি দাম যত টাকা চেয়েছি কাছাকাছি উঠেছে।অল্প বাড়তি পেলে ছেড়ে দিব।
বিক্রেতা কামাল বলেন,ক্রেতা আসছে দাম জিজ্ঞেস করছে। চাহাদা অনুযায়ী দাম উঠছেনা।
নাজিরহাট বাজারের ইজারাদার মো. সফিউল আলম জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার গরু বিক্রি কম। এছাড়া, গতবারের চেয়ে গরুর দাম ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে। তাই ক্রেতারা দাম করতে সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে বিভিন্নস্থানে স্থায়ী খামারের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের গড়ে তোলা প্রায় শতাধিক খামার। কোরবানকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু মহিষ সংগ্রহ করে এনে মৌসুমি ব্যাবসায়ীরা গড়ে তোলেছেন এসব খামার।অধিকাংশ খামার গড়ে উঠেছে প্রধান সড়কগুলোর পাশে।যাতায়াত সুবিধা থাকায় এবং ছোট বড় চাহিদানুযায়ী পশু পাওয়া যাওয়ায় কোরবানি পশু ক্রয়ে ক্রেতাদের ভীড় জমছে এসব খামারে।সরেজিনে গরুর শোরুম খ্যাত বিভিন্ন খামারে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের ভীড় এবং ভালই বিক্রি হচ্ছে কোরবানি পশু।হাটবাজারের
ঝামেলা এড়াতেই এসব অস্থায়ী খামার থেকে কোরবানি পশু ক্রয়ে আসছেন বলে জানান অনেক ক্রেতা।
খামার থেকে কিনে ঈদ পর্যন্ত খামারে রাখার সুবিধা থাকায় পশু ক্রয় করে অনেক খামারে রেখে যাচ্ছেন।
আবার অনেক বলেন এসব খামার থেকে পশু নিল হাঁচিল দিতে হয়না।
উৎসুক ক্রেতাগণ এক খামার থেকে অন্য খামের গরু মহিষ দেখতে ছুটে যাচ্ছেন,পছন্দের গরু মহিষ দেখছেন এবং মূল্য যাচাই করে ভাল লাগলে কিনে ফেলছেন। খবর নিয়ে বাড়ি বাড়িও ছুটছেন অনেক ক্রেতা। পছন্দ ও দরদামে মিললে নিয়ে নিচ্ছেন গৃহস্থিদের পালিত পশু।
গরু ক্রয় করতে আসা শাহ নেওয়াজ সেবুল বলেন,বাজারে থেকে গুরু নিতে ঝামেলাই পড়তে হয়,ভীড়ের মধ্যে দেখেশুনে গরু নেওয়া যায়না। ঝামেলা এড়াতেই খামার থেকে গরু নিতে আসলাম।
খামারী রুবেল বলেন,অধিকাংশ ক্রেতা গরু মহিষ নিয়ে খামারে রেখে যাচ্ছেন। কেউ কেউ কোরবানির দিন নিয়ে যাবে, কেউ কেউ আগের দিন নিয়ে যাবে।
ক্রেতা মোহাম্মদ হেলাল বলেন,বাজার থেকে নিলে হাঁচিল দিতে হয় খামার বা বাড়ি থেকে নিলে দিতে হয়না।
মৌসুমী গরুর ব্যাবসায়ী হাসান বলেন,দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু সংগ্রাহ করে এনেছি। আমাদের ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের গরু রয়েছে। ভালই বিক্রি হচ্ছে।
মাইজভাণ্ডার এলাকার রহমানিয়া ফার্মের মালিক মোহাম্মদ লিটন বলেন,আমাদের ফার্মে ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের গরু মহিষ আছে।
আবুল কাসেম এগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারী মুন্সি মিয়া বলেন,যথেষ্ট ক্রেতা আসছে। দরদামে মিললে দিয়ে দিচ্ছি।
খাঁন ডেইরি ফার্মের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম খাঁন বলেন,যথেষ্ট ক্রেতা আসছেন। বিক্রিও মোটামুটি ভাল হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন হাট বাজারের অনেক ইজারাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,লাখ লাখ টাকা দিয়ে আমরা বাজার নিলাম নিয়েছি। আমরা আশায় থাকি কোরবান মৌসুমে আমাদের টাকা উঠে আসবে। বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট ও খামারগুলো কারনে বাজরে বিক্রি কমে গেছে।
ইজারাদার মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, এসব অস্থায়ী খামার গড়ে উঠায় বিগত কয়েকবছর যাবৎ হাটবাজারে কোরবানি পশু বেচা বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। বিনিয়োগ করা টাকা তুলে আনতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ইজারাদার মো. আলমগীর বলেন, যত্রতত্র অস্থায়ী গরুর হাট বসানোর কারনে এ বছর অনেক বেপারী কিংবা ব্যবসায়ীরা হাট-বাজারে গরু এনে মার খাচ্ছেন। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাস্তার ধারে অবৈধভাবে বসা গরুরহাট না বসাতে ইতিমধ্যে ম্ইাকিং করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
কোরবানি পশু রাখা ও পালন করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই কোরবানি পশু ক্রয় করেন শেষ সময়ে।
বৃষ্টি বাদলে গরু রাখার ঝামেলায় এত আগে গরু নেননি বলে জানান ব্যবাসায়ী মোহাম্মদ আকরাম।
শেষ সময়ে পশু ক্রয়ে কেউ কেউ লাভবান হয় আর কেউ ঠকেন। মানুষের মুখে মুখে শুনা যায়, অমুকের পশুটা ভাল হয়েছে সে জিতেছে আর অমুকের গরুটা মূল্য বেশি হয়েছে সে ঠকেছে।কেউ কেউ এরকমও বলতে শোনা যাচ্ছেযে কেউ কিনছে গরু আর কেউ কিনছে দড়ি।
কোরবানি পশু ক্রয় বিক্রয়ের এ শেষ সময়ে উপজেলার সর্বত্রই এমন দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। চলছে কোরবানি পশু নিয়ে আলোচনা ও মূল্য নিয়ে হিসাব নিকাষ। ক্রয় করে কোরবানি পশু নিতে দেখলেই জিজ্ঞেস করছে দাম কত হয়েছ? উত্তর দিতে দিতে রীতিমত অনেকে হাঁপিয়ে উঠছে।
গরু ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ মামুন বলেন,দাম কত হয়েছে উত্তর দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছি, আর পারছিনা।
এ পসঙ্গে মোহাম্মদ ইউছুপ বলেন,আসলে এটাই হচ্ছে একটা আনন্দ।কোন গরু কত হয়েছে তা জানা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৭ হাজার ৩২০ টির মতো। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৪১৯টি। এরমধ্যে ৩৪ হাজার ২১১টি গরু, ৪ হাজার ১১২টি মহিষ, ২৮ হাজার ৭৪০টি ছাগল, ২ হাজার ৩৫৬টি ভেড়া।
স্থায়ী হাট ২৯টি অস্থায়ী হাট ২৫টি,পশু মোটাতাজা করা খামার ৩শত ৭৭টি,মৌসুমি ব্যবসায়ী প্রায় শতাধিক।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমিন বলেন, আসন্ন কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সব পশুর হাটে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে যেখানে প্রয়োজন সেখানে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসানো হয়েছে। পশুদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

ফটিকছড়িতে কলঘর শ্রমিকদের ব্যস্থতা

ফটিকছড়ি :: পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানি) কে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেশিনে চাল,মরিচ,হলুদ মসলা গুড়া করার কাজে সংশ্লিষ্ট কলঘর শ্রমিকরা। যেন দম ফেলবার ফুসরত নেই। রাত দিন মেশিনের আওয়াজেই জানান দিচ্ছে কোরাবানির সময় আর বেশি দিন নেই।
উপজেলার নাজিরহাট,বিবিরহাট,মাইজভাণ্ডার,কাজিরহাট,নানুপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, চাল,মরিচ,হলুদ মসলা গুড়া করার মেশিনের দোকানঘর গুলোতে ভীড়। গুড়া করার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।
কোরবানি মাংস রান্ন এবং খাওয়ার অন্যতম উপাদান এসব জিনিস। তাই গৃৃহস্থি ঘরের বউ ঝিঁয়েরা চাল,মরিচ,হলুদ মসলা ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুড়া করার জন্য কলঘরে পাঠায়।
শুধুমাত্র দোকানঘর গুলোতে নয় অনেকে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় মেশিন নিয়ে ঘুরে ঘুরে হাঁক ডাকে চাল,মরিচ,হলুদ মসলা গুড়া করছেন। সহজেই হাতের নাগালে পাচ্ছেন বলে চাল,মরিচ,হলুদ মসলা গুড়া করে নিচ্ছেন। যারা হাতের নাগালে পাচ্ছেননা তরা দোকানঘরে নিয়ে আসছেন।
চাল গুড়া করতে আসা মামুন বলেন,চালের গুড়া দিয়ে তৈরি রুটি দিয়ে কোরাবানি মাংস খাওয়া অন্যরকম স্বাধ। তাই প্রতিবছরের ন্যায় চাল নিয়ে আসলাম গুড়া করতে।

মরিচ হলুদ,মসলা গুড়া করতে আসা আরমান বলেন,বাজার থেকে কেনা গুড়া মরিচ মসলা ভেজাল থাকে,মাংস রান্না তেমন স্বাধ হয়না। কোরাবানি মাংস বলে কথা তাই মরিচ,হলুদ,মসলা ধুয়ে শুকিয়ে গুড়া করতে নিয়ে আসলাম।
নাজিরহাটে মরিচ,হলুদ,মসলা গুড়া দোকানের স্বত্তাধিকারী রাশেদ বলেন,ইনশাআল্লাহ ভালই চলছে। দিন রাত পরিশ্রম করে গ্রাহকদের যথাসময়ে তাদের গুড়া বুঝিয়ে দিচ্ছি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩টি ডায়ালাইসিস মেশিন এবং ডায়ালাইসিস সরঞ্জাম প্রদান করেছেন মাইজভাণ্ডারী শরিফের ট্রাস্ট

ফটিকছড়ি :: শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট এর অর্থায়নে প্রদানকৃত ৩টি ডায়ালাইসিস মেশিন এবং ডায়ালাইসিস সরঞ্জাম হস্তান্তর ও ডায়ালাইসিস কার্যক্রমের উদ্বোধন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭ নং নেফ্রোলজী ওয়ার্ডে ৪ জুন বুধবার সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজী বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নুরুল হুদা, শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট এর সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর, এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিয়াসাদ শাহাবুদ্দিন, ইউরোলজি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মাইমুন রিদয়ান, ডা. ইব্রাহিম, ডা. মামুন, ডা. সামিউল করিম। অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ১৬% মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিডনী রোগে আক্রান্ত। এ বিপুল জনগোষ্ঠীর কিডনী রোগের চিকিৎসা ও ডায়ালাইসিস সেবা চলমান রাখা সরকারি হাসপাতালগুলোর একার পক্ষে সম্ভব নয়। আজকে ট্রাস্টের পক্ষ হতে প্রদানকৃত ৩টি ডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন আরো ২৫জন রোগী নতুন করে ডায়ালাইসিস করার সুযোগ পাবে। এতে করে চমেকের সক্ষমতা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য ট্রাস্টের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের প্রশাসিনক ও সমন্বয় কমকর্তা তানভীর হোসাইন, ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ডের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম আল মাসুদ, ডা. কৌশিক সাইমন শুভ, ডা. কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ৩টি ডায়ালাইসিস মেশিনসহ ১০০০ রোগীর ডায়ালাইসিস করার সরঞ্জাম যার মূল্যমান প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা চমেক পরিচালক মহোদয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)